ছবি: ভোরের আকাশ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের এমপি পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকায় গুলির ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিশাল মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের পদপ্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে মশাল মিছিলটি ফকির মজনু শাহ্ সেতু'র পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে চত্বরে এসে শেষ হয়।
উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল মশাল মিছিলে ১১টি ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, মৎস্যজীবী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও গাজীপুর জজ কোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট সোলাইমান দর্জি, বিএনপি নেতা আব্দুল করিম বেপারী, নির্বাচন প্রচারণা কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসাইন।
জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ও কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ফকির ইস্কান্দার আলম জানু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদুল আলম বুলু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, সাবেক সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন শিশির, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ফরিদ শেখ, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ মজিবুর রহমান টিক্কা, সদস্য সচিব ফোরকান মুকুল, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মেম্বার, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হবু প্রমুখ।
পরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান। সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সকাল ১১ টায় উপজেলা সদরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করার সিদ্ধান্ত হয়।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ঝালকাঠির নলছিটির ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িটি এখন শোকে স্তব্ধ। হাদিশূন্য তার বসতভিটায় ভিড় করছেন চেনা-অচেনা বহু মানুষ। শোকের মাতম চলছে শ্বশুর বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও। শেষবার মত দেখার অপেক্ষার প্রহর গুনছে এখন গ্রামবাসী।পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাদির ইচ্ছে ছিলো তাকে যেন তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নিহত হাদির ভগ্নপতি আমীর হোসেন জানান, হাদির ইচ্ছে ছিল তাকে তার বাবার পাশে সমাহিত করার।টিনসেড ঘরেই জন্ম নিয়েছিলেন সৈয়দ শরীফ ওসমান হাদি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাদির বেড়ে ওঠা এখানেই। তবে এই ঘরে হাদি যেন এখন কেবলই, ছবি। ঘাতকের গুলিতে চিরতরে বিদায় নেয়ায়, শূন্যতায় ছেয়ে তার জন্মভূমি।ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল পৌর এলাকায় ১৯৯৩ সালের জন্ম নেয় ওসমান হাদি। বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ঘরে ৬ সন্তানের মধ্যে হাদি ছিলেন সবার ছোট।এলাকাবাসী জানান, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের এক কণ্ঠস্বর। নেছারাবাদ এন এস কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ চুকান। স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামবাসীর কাছে হাদি যেন কেবল একটি নাম নয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি হয়েছেন। তাইতো তার নিহতের ঘটনা মানতে পারছে না কেউই। কেউ অঝরে, কেউ কাঁদছেন গুমরে গুমরে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই চেনা, অচেনা বহু মানুষ ভিড় করেন হাদির এই ভাঙাচুরা ঘরের সামনেই। বাড়িতে থাকা হাদির বোন আর বোনের পরিবারকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা পাচ্ছে না আগতরা। এ সময় কেউ স্মৃতি আওড়ান, কারো মুখে হাদি হত্যার বিচারের দাবি। অপরদিকে, হাদির শ্বশুরবাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও চলছে শোকের মাতম। অল্প বয়সে স্বামী হারা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দাবি, আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয় হাদির মত।প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওসমান হাদি। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
খুলনার আদালত পাড়ায় দুই হত্যা মিশন সফল করতে সরাসরি ৭ জন অংশ নেয়। আরও বেশ কয়েকজন আদালত চত্বরকে সেন্টারে রেখে বিভিন্নস্থানে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নেয়। প্রতিপক্ষ হামলা চালালে তাদের ওপর পাল্টা হামলার প্রস্তুতিও নিয়েছিল তারা।গত ৩০ নভেম্বর সকাল থেকে আদালত পাড়ায় সোর্সও নিয়োগ করা হয়। সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুনে অংশ নেওয়া একশন টিমের ৭ জন হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনের ওপর হামলা চালায়।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ইজাজুল হোসেনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল নিস্তার আহমেদ।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীদের সাথে ইজাজুল ছিলেন। আদালত চত্বর থেকে ধারণ করা ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে হলুদ গেঞ্জি পরা অবস্থায় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। রাতভর তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া ৭ জনের নাম উল্লেখ করেছে আটক ইজাজুল। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি র্যাবের ওই কর্মকর্তা।সাংবাদিকদের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আদালত পাড়ায় নিয়োগকৃত সোর্সের মাধ্যমে একশন টিমের সদস্যরা খবর পায় হাসিব এবং রাজন হাজিরা দিয়ে বের হয়েছে এবং প্রধান ফটকের পাশে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে একশান টিমের ৭ সদস্য হাসিব এবং রাজনের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তাদের দু’জনকে গুলি এবং পরে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”তিনি আরও জানান, “খুলনার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এলাকার আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং মাদক কারবার নিয়ে দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুলনায় একাধিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড গুলোর সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত করছে।”উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রবেশ দ্বারের পাশে সন্ত্রাসীরা গুলি এবং কুপিয়ে হাসিব হাওলাদার এবং ফজলে রাব্বি রাজনকে হত্যা করে। নিহত দুই যুবক ওইদিন আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে এসেছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ায় পানিভর্তি গর্তে পড়ে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাড়ির পেছনে মাটি কাটার ফলে সৃষ্ট পানিভর্তি একটি গর্তে পড়ে প্রাণ হারায় আবদুল মাবুদের শিশু সন্তান নোমান এবং তার প্রতিবেশী বেলাল উদ্দিনের শিশুকন্যা জন্নাতুল ফেরদৌস। তারা দুজনই একই পাড়ার বাসিন্দা ও খেলাধুলার সঙ্গী ছিল।স্থানীয়দের মতে, দুপুরে খেলতে গিয়ে অজান্তে গর্তে পড়ে যায় শিশু দুটি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল হক জানান, ঘটনাটি থানাকে অবহিত করা হয়েছে এবং এ ধরনের গর্ত দ্রুত ভরাটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বরগুনার পাথরঘাটায় জামায়াতের কর্মীসভায় সোলায়মান বাহিনীর হামলায় জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আসরের নামাজের পর জামায়াতের ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নেতারা দাবি করেন খুলনা শ্রমিকলীগের নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনির ভাইয়ের ছেলে সোলায়মান সাদিকে তাদের কর্মীদের উপর এ হামলা করেন। তবে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাংচেনলা বলেন এই ঘটনার সত্যতা নাই। এবং এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মোশারফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে জামায়াতের কর্মী বৈঠকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জামায়াত।এঘটনায় আহতরা হলো, পাথরঘাটা পৌর যুব বিভাগের সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম, পাথরঘাটা পৌর প্রচার সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী ওয়ালিদ পহলান, ফুলমিয়া, ইলিয়াস, মোহাম্মদ হানিফ, ফিরোজ হোসেন, মাহবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, ইউনুছ হাওলাদারের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে আব্দুল কাইয়ুম এবং তাওহিদুল ইসলামকে রেফার করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাসুদুল আলম জানান, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা নাচনাপাড়া ইউনিয়ন এর জামাত কর্মীর বাড়িতে নিয়মিত দলের কর্মসূচি পালন করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে খুলনা পরিবহন শ্রমিকলীগের নেতা সোলাইমান সাদিক তার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় এতে আমাদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই।এসময় ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এসএম সোলায়মান বাদশা বলেন, বিএনপি'র ভাইস-চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনির ভাইয়ের ছেলে এই সুলাইমান সাদিক একসময়ে খুলনাতে শ্রমিক লীগ সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন। জুলাই আগস্ট এর পর তিনি তার নিজ বাড়িতে এসে বিশেষ বিএনপির নব্য নেতা হিসাবে সমাজকর্মী দাবি করে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন। এরপর থেকে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি জমি দখল সালিশ নামে অন্যের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে আসছে। সোলাইমান সাদিক ফুটপাতের একজন টোকাই থেকে গত এক বছরে কোটিপতি হয়ে গেছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীর বিচার দাবি করছি। তা না হলে আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সোলায়মান বাহিনী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তিনি জানান। এসময় তিনি এই বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য জামায়াতের ও ইসলামী আন্দোলনের সবাই আড়াই হাত গাবের কচা প্রস্তুত রাখতে বলেন।জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলের পরপরই তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এনামুল হোসেন। এসময় বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, সদ্য সাবেক পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এম ইসমাইল সিকদার এসমে সহ বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পর তারাও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে শহরে উত্তপ্ত ছড়িয়ে পড়ে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোলায়মান সাদিক জানান, আমি ৫ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করতেছি। জামায়াত নেতারা নির্বাচনী ফায়দা নেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করতেছেন। আমি বিএনপি পরিবারের সদস্য। আমাকে জোর করে শ্রমিকলীগের নেতা বানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার চাচা বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। তিনি বিএনপি'র ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। তার জনপ্রিয়তা দেখে জামাত নেতারা নানা রকমের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে । এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাংচেনলা দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, জামায়াতের লোকজন যেভাবে বুধবার রাতের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন আসলে ঘটনানি তেমন না। জামায়াতের কর্মীসভা শেষে স্থানীয় কিছু লোকদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে এমনটাই জানা গেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্তাপের বিষয়ে ওসি জানান, পাথরঘাটা আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। যাতে কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে অতিরিক্ত নজরদারি রয়েছে পাথরঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি বিষয়টি ওসির কাছ থেকে জেনে নিন।ভোরের আকাশ/মো.আ.