ছবি: ভোরের আকাশ
পিরোজপুরের কাউখালীতে নদীবন্ধু সমাজের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিশ্ব নদী দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কচা নদীর বেকুটিয়া সেতু সংলগ্ন ডলফিন চত্বরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
‘এসো নদীর বন্ধু হই, নদী সংরক্ষণে ব্রতী রই’— এ স্লোগানকে সামনে রেখে ডলফিন চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বেকুটিয়া সেতু পরিদর্শন করে। পরে কচা নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ, নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং নদী সুরক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা ও পিরোজপুর জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নদীবন্ধু সমাজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রাণ কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম মিলন, নদীবন্ধু সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং সংগঠনের সদস্য দেবদাস মজুমদার।
পরে বাংলাদেশ নদীবন্ধু সমাজের আয়োজনে নদী বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নদীবন্ধু মো. আলামিন বাকলাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “বিশ্ব নদী দিবসে উপকূলীয় পিরোজপুরের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ জেলায় কচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালিগঙ্গাসহ অসংখ্য শাখা নদী বহমান। এসব নদী মরে গেলে এ অঞ্চলের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের এ নদীর সঙ্গে মানুষের জীবন প্রবাহ একাকার। তাই নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে এবং এর গতিধারা অক্ষুণ্ণ রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে নদীর বন্ধু হই, নদীকে বাঁচাই।”
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
‘জলাতঙ্ক নির্মূলে, কাজ করি সবাই মিলে’ এই স্লোগানে কুড়িগ্রামে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়েছে। জলাতঙ্ক নির্মূলে অগ্রগতি তুলে ধরতে এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে র্যালি, আলোচনাসভা ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ, ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ প্রধান, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুল ইসলাম ও খামারিসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।এ সময় বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কুকুর বা বিড়ালের কামড় ও আচড়ের মাধ্যমে এ রোগ হয়ে থাকে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এ ছাড়া অনেক মানুষ আছে যারা এ বিষয়ে সচেতন না। তাই এর প্রতিরোধের জন্য রাস্তা ঘাটে যে কুকুরগুলো থাকে যেগুলোকে আমরা কমিউনিটি ডগ বলি এই কুকুরগুলোকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায় থেকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিতে হবে। এদেরকে একটি নিয়ম নীতির আওতায় আনতে পারলে শেয়ালের মাধ্যমে ছাড়ানো এই ভাইরাসের হারও কমে যাবে।আলোচনাসভা শেষে কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণিকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। ভোরের আকাম/মো.আ.
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আকন্দ ফাউন্ডেশন।রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় পৌর শহরের রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান শুরু হয়। পরে মুক্তমঞ্চ ও মডেল মসজিদ এলাকায় এ কার্যক্রম চলে। এতে পাঁচ শতাধিক তরুণ সেচ্ছাসেবী যোগ দেন। দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।আকন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার জাহিদ হাসান আকন্দের উপস্থিতিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য পীরজাদা এসএম রুহুল আমিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল মনসুর মন্ডল, আকন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান আকন্দ প্রমুখ।ব্যারিস্টার জাহিদ হাসান আকন্দ বলেন, "বদলে যাবো আমরা বদলে যাবে দেশ" এ স্লোগানকে সামনে রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি আমরা।আমাদের প্রত্যাশা, সবার সহযোগিতায় আগামীর বাসযোগ্য একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলবো। তবে সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ আমরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবো না। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিচ্ছন্ন থাকলে আশপাশ সহ দেশ এমনিতেই পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
পিরোজপুরের কাউখালীতে নদীবন্ধু সমাজের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিশ্ব নদী দিবস পালিত হয়েছে।রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কচা নদীর বেকুটিয়া সেতু সংলগ্ন ডলফিন চত্বরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।ছবি: ভোরের আকাশ‘এসো নদীর বন্ধু হই, নদী সংরক্ষণে ব্রতী রই’— এ স্লোগানকে সামনে রেখে ডলফিন চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বেকুটিয়া সেতু পরিদর্শন করে। পরে কচা নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ, নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং নদী সুরক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা ও পিরোজপুর জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নদীবন্ধু সমাজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রাণ কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম মিলন, নদীবন্ধু সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং সংগঠনের সদস্য দেবদাস মজুমদার।পরে বাংলাদেশ নদীবন্ধু সমাজের আয়োজনে নদী বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নদীবন্ধু মো. আলামিন বাকলাই।ছবি: ভোরের আকাশঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “বিশ্ব নদী দিবসে উপকূলীয় পিরোজপুরের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ জেলায় কচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালিগঙ্গাসহ অসংখ্য শাখা নদী বহমান। এসব নদী মরে গেলে এ অঞ্চলের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের এ নদীর সঙ্গে মানুষের জীবন প্রবাহ একাকার। তাই নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে এবং এর গতিধারা অক্ষুণ্ণ রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে নদীর বন্ধু হই, নদীকে বাঁচাই।”ভোরের আকাশ/তা.কা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে শাহনাজ বেগম পাখি (৩৮) নামে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাছিমা বেগমকে (৪২) নামে স্থানীয় এক নারীসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন গৃহবধূর মা হাজেরা।এর আগে, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাছিমা বেগমকে (৪২) ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার শিকার শাহনাজ বেগম পাখি বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।আগুনে পুড়ে যাওয়া পাখির স্বামী আমিন খান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমি বাড়ির পাশে দোকানে বসে ছিলাম। ওই সময় আমার ভগিনা শাকিল জানায় তার মামির গায়ে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিক আমি বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকে ঘরের পাশে ডোবায় পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার শরীরে অনেক জায়গা আগুনে পুড়ে গেছে। ওই অবস্থায় বাড়ির লোকজনের সহায়তায় স্ত্রীকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই রাতেই তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাখির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। সে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী পাখির সঙ্গে প্রতিবেশি প্রবাসী হাফেজ ফয়েজ আহাম্মদের স্ত্রী নাছিমা বেগমের সুদে নেওয়া টাকা পরিশোধ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এসব বিষয় নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। এর আগে, নাছিমা আমার স্ত্রীকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করে এবং হুমকি-ধমকি দেয়। এসব ঘটনায় আমার স্ত্রী আদালতে মামলাও করেছে। ওই মামলা চলমান আছে। সবশেষ নাছিমা তার লোকজনসহ পাখির হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে।একই বাড়ির নুরুল ইসলাম খানের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বলেন, ঘটনার সময় ঘরের লোকজনের চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি আমিনের ঘরে আগুন, আর রান্না ঘরের পাশের ডোবার পানির মধ্যে পড়ে আছে পাখি। তখন লোকজন জড়ো হয়। সে বলছিল আমাকে বাঁচান। পরে তার স্বামী আমিন এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য এবং ওই বাড়ির বাসিন্দা নুরজাহান বেগম বলেন, আমার জানা মতে পাখি আর নাছিমা আপন বোনের মত সম্পর্ক ছিল। টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ আগেই মীমাংসা হয়েছে। বাড়ির লোকসহ আরও কয়েকজন বসে স্ট্যাম্প করে লেনদেনের সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। এর বাইরে কোনো লেনদেনের বিষয় আমরা জানি না।ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, সুদের টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা দুটি স্ট্যাম্প পাই। একটিতে ২৫ হাজার টাকা। ওই ২৫ হাজার টাকা সুদসহ পাখি ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। আরেকটিতে পাই ৫০ হাজার টাকা। এই টাকার সুদ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। তবে নাছিমা আমাদের কাছে বলে পাখি আরও দুই লাখ নিয়েছে। ওই টাকার পরিমাণ সাদা কাগজে লেখা রয়েছে। তবে ওই কাগজে যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা বলেছেন, তারা টাকা লেনদেন সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং তাদের সামনে লেনদেন হয়নি।স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, নাছিমা ও পাখির লেনদেন দিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে। শুধুমাত্র পাখির সঙ্গে নয়, সুদের কারবার নিয়ে নাছিমার সঙ্গে অন্যদেরও বিরোধ হয়েছে। এর আগেও পাখির ঘরে রাতে ইটপাটকেল মারা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব কথা পাখি আমাদেরকে জানিয়েছে। নাছিমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় লোকজন কয়েকদিন আগে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনও করেছে।এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনা জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে পাখি ও নাছিমার মধ্যে বিরোধ। এ সব ঘটনায় উভয়পক্ষের অভিযোগ আছে। পুলিশের একাধিক টিম পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। পাখির মা বিকেলে মামলা করেছে। অভিযুক্ত নাছিমাকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.