ছবি: ভোরের আকাশ
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে "টেকসই উন্নয়নে পর্যটন" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালিটি পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারীর সভাপতিত্বে ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. করিম মাহমুদ লিমনের পরিচালনায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ তপন তালুকদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, জাফলং হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মিনহাজ উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল হোসেন, গোয়াইনঘাট থানার এস আই মারুফ আল মুকিত, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ, আশুক সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মির্জা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আমির উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জাফলং শাখার সভাপতি অংশু গোসাই রানা, জাফলং সীমান্ত ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ডালিম আহমেদসহ জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতি, বৃহত্তর জাফলং সংগ্রাম পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতি, জাফলং ট্যুরিস্ট গাইড ও ষ্টুডিও মালিক সমিতি, জাফলং ট্যুরিস্ট গাইড ও পর্যটন নৌকা চালক যুব সংঘ, জাফলং পর্যটন ইঞ্জিন নৌকা চালক যুব সংঘ, জাফলং ফটোগ্রাফার সমিতি, জাফলং ট্যুরিস্ট গাইড ও হ্যান্ডবোর্ড যুব সংঘ, জাফলং পর্যটন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ জাফলং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় পর্যটন খাতকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। পর্যটনে বিনিয়োগের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পর্যটনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি তৈরিতে এই শিল্পের ভূমিকা অনেক। তাই এটিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’- এই স্লোগানকে ধারণ করে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের শীর্ষ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫।দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের সূচনা করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। এর পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি হোটেল মোটেল জোন এলাকা প্রদক্ষিণ করে লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দল, ট্যুরিস্ট পুলিশের সুসজ্জিত মোটর বাইক সহকারে র্যালিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী-কর্মী, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, স্কুল শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই আয়োজনে অংশ নেন।এরপর সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। পরে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটনের সাথে এ জেলার সব মানুষ কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত। আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করছি। কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে কিভাবে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করা যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।পর্যটন দিবস ও পূজার ছুটিকে সামনে রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।তিনি বলেন, কক্সবাজারের এই সময়ে এক ধরনের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে অবকাশ যাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।এদিকে পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন মোটেলসহ তারকা মানের হোটেলগুলোতে রয়েছে নানা আয়োজন। হোটেল মোটেল গুলোতে দেয়া হয়েছে ছাড়। সাজানো হয়েছে পর্যটন এলাকা।ভোরের আকাশ/জাআ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী (ইউএনও) নাহিদ ইভা।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রী শ্রী জিউর আখড়া দূর্গা মন্দির, কুলেশ্বরী বাড়ী কালি মন্দির সহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় প্রসাশনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।পরিদর্শনকালে ইউএনও কাজী নাহিদ ইভা পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মন্ডপে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কমিটি কর্তৃক নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।এছাড়া সকল ধরনের অপপ্রচার, উসকানি কিংবা গুজবের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন। তাছাড়া কোন অবস্থাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ কোন অনলাইন প্লাটফর্মের খবর যাচাই বাছাই না করে প্রতিক্রিয়া দেখানো পরিহার করতে বলেন। তিনি পূজা মন্ডপের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের সাথে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী সেবার মোবাইল নাম্বারসমূহ, নামাজের সময়সূচির ফেস্টুন মন্দিরে প্রদশর্নের জন্য প্রদান করেন। এবছর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৬টি (দুটি ব্যক্তিগত) মন্দিরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। কোথাও রংতুলি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দেবীকে পাশাপাশি চলছে আলোকসজ্জা। মন্দিরে প্রবেসের রাস্তাঘাটও সংস্কার করছেন প্রশাসন।জেলা প্রসাশক ফৌজিয়া খান পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেসমিন আক্তার উপজেলার বিভিন্ন মন্ডব পরিদর্শন করে নিরাপত্তা জোরদারসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
খাগড়াছড়িতে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে তাই ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুর ০২.০০ ঘটিকা হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে খাগড়াছড়িতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ। শনিবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সাথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সঙ্গে দীঘিনালা,পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ ৯ উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শাহীন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।মানববন্ধনে মনজুর আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম চৌধুরী, ছদাহা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, আবদুস সবুর, মোজাফফর, শাহাদত হোসেন, নোমান ও জিয়াবুল সওদাগরসহ আরও অনেকে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “নিহত শাহীনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের কর্মসূচি আরও বেগবান করা হবে।”উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বাজালিয়া এলাকায় শাহীনের শ্বশুরবাড়িতে স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর মিলে তাঁকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। নিহত শাহীনের ৩ বছরের এক ছেলে ও ৮ মাসের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ