ছবি : ভোরের আকাশ
ন্যায্য ও সম্ভবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার, গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, শ্রেষ্ঠ কর্মী, প্রতিষ্ঠানের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান, সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার শর্মিষ্টা রাণী বর্মণ, সদর পুলিশ ফারির ইনচার্জ বেলাল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. মো. আতিকুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে জেলার সাত উপজেলা থেকে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশুস্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ৪ জন শ্রেষ্ঠ কর্মী ও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়।
শেষে প্রধান অতিথি ৪ শ্রেষ্ঠ কর্মী ও ৫ প্রতিষ্ঠানের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরে গুপ্ত সংগঠনের দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে জেলা স্টেডিয়াম চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাব মাঠে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যক ছাত্রদল নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন তালুকদার কুমার।এ সময় বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাঙ্গন ও যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন একের পর এক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা এবং সারাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।বক্তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলসহ দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক ইউনিট থেকে এ ধরনের অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী, ছাত্রসমাজ এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্বামীকে নিয়ে বিষন্নতায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ফাতেমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ। বিয়ের পর থেকে প্রতিবন্ধি স্বামী সুজন মিয়ার (২৭) সেবাযত্ন থেকে বঞ্চিত ছিলেন ওই গৃহবধূ। এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার একপর্যায়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার।সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত ফাতেমা খাতুন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর (পূর্বপাড়া) এলাকার তারা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার স্ত্রী ও উপজেলা শহরের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস ছাত্তার মিয়া ও কবিরন বেওয়া দম্পতির পালিত মেয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর দেড়েক আগে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর (পূর্বপাড়া) এলাকার তারা মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমার। তখন থেকে স্বামীর অবহেলায় ভুগছিলেন তিনি। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বিষয়ে হয়নি কোনো সমাধান। এ কারণে অধিকাংশ সময়ে মা কবিরন বেওয়ার বাড়িতে অবস্থান করেন ফাতেমা আক্তার। সেখানে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকায় একপর্যায়ে সোমবার সকালে বাড়ির লোকজনের অজান্তে বিষপান করেন। পরে টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন।বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহাবুল আলম হিটলু বলেন, সুজন মিয়া প্রতিবন্ধির মতো। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে ফাতেমা মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। বিষয়টি নিয়ে থানা থেকে শুরু করে স্থানীয়ভাবে মিটিং দরবারও হয়েছিল। এরই মধ্যে আজ সকালে বিষ খেয়ে ফাতেমা আত্মহত্যা করেন।সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, বিষ খেয়ে ফাতেমা নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, পরিবেশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বিত অভিযানে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসাহাক আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড় এলাকার একাধিক হোটেল ও খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ব্যর্থতার অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।নিমতলা মোড়ের রাজধানী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করাসহ বাসি খাবার রাখার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ইসাহাক আলী মোবাইল কোর্টে ভোক্তা অধিকার আইনে ৪৩ ও ৫২ ধারায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।এদিকে দিনাজপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন মুন্সি হোটেলে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ধারায় ২৫০০ হাজার টাকা এবং ফেমাস ফার্মেসিতে ৩৭ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন।অভিযানে যুক্ত ছিলেন জেলা ক্যাবের নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা ক্যাবের সভাপতি মাসউদ রানা, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর সুমঙ্গল চন্দ্র রায়।এ সময় সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ ফোর্স, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. এরশাদ আলী, ফুলবাড়ী উপজেলার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. রুবেল ইসলাম।উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বঙ্গের আলীগত খ্যাত ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল সরকারি সা'দত কলেজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সরকারি সা'দত কলেজ অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সরকারি সা'দত কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোরশেদ আলী খান পন্নী, কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৃদুল চন্দ্র পোদ্দার, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসিনুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ ফরিদ ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুমি।মতবিনিময় সভায় সা'দত কলেজের শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে অত্র কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর ও সফল শত বছর উদযাপন অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ