কোরবানির ঈদকে ঘিরে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত গাইবান্ধার খামারিরা
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার খামারিরা। কোরবানির জন্য দেশি-বিদেশি, শাহীওয়াল, হরিয়ানা, শংকরজাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করেছেন তারা। পশু মোটাতাজাকরণে নিচ্ছেন বাড়তি যত্ন।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দপ্তরের নির্দেশিত উপায়ে মোটাতাজাকরণ করায় কোরবানির পশুর মাংস নিরাপদ। এ জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রায় ৭০ হাজার কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয়ের তথ্যমতে জেলার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩০৫টি পশু। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৩৬৮ খামারে ষাঁড় ৩৮ হাজার ৫৩২, বলদ ৩ হাজার ২৯৫, গাভি ২৪ হাজার ৪১, মহিষ ১৭৩, ছাগল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৩ ও ভেড়া ১০ হাজার ৫৭৬টি মজুদ আছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক।উল্লেখ্য, কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪১টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর, দাড়িয়াপুর, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট, মাঠেরহাট, ভরতখালিসহ আরও বিভিন্ন হাটে গত তিন-চার দিন থেকে জমতে শুরু করছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আরও বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে পশু কেনা-বেচা হচ্ছে।ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রত্যোকটি পশুরহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা ঠকাবার শঙ্কায় ভুগছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশি বিক্রিত টাকা দালালদের পকেটে ঢুকছে বলে একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ। এ থেকে পরিত্রাণ চান তারা।কথা হয় ফ্রেন্ডস ক্যাটল ফার্মের মালিক জুয়েল মিয়ার সঙ্গে তিনি জানান, এবছর তার ফার্মে ছোট-বড় দুই শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। তার ফার্মে সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকার গরু রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মহিষ রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে এবার হাটে দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক ভোরের আকাশকে বলেন, এ জেলায় চাহিদা পূরণ রেখেও অতিরিক্ত ৬৯ হাজার ৯৭২টি কুরবানি পশু মজুদ আছে। আশা করছি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা এসব পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে।তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ