ছবি : ভোরের আকাশ
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজারে দোকানের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মিন্টু মিয়ার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ফিড ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া জানান, দুপুরে খাবারের জন্য দোকান বন্ধ করে বের হওয়ার সময় হঠাৎ হামলার শিকার হন তিনি। জামায়াত নেতা মিন্টু মিয়া ও তার সহযোগীরা দোকানে প্রবেশ করে তাকে আটকে রেখে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, মিন্টু মিয়া প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে দোকান ঘরে প্রবেশ করেন। ভাড়াটিয়াকে জিম্মি করে মালপত্র রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং পরে তার ছেলেরা তা সরিয়ে নিয়ে দোকান দখল করে। এ সময় পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা বজলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টু মিয়া বলেন, প্রায় ১৭ বছর আগে ডিসিআর করা জমিতে তিনি ব্যবসা করছিলেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন সেটি দখল করে নেন। বর্তমানে তিনি নিজের সম্পত্তি উদ্ধার করেছেন এবং ভাড়াটিয়ার মালপত্র রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে। তার দাবি, সব কাগজপত্র বৈধ এবং অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন বাজারে একাধিক দোকান দখল করে রেখেছেন।
অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন বলেন, ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন সময় জেলা প্রশাসক আইনজীবীদের ডিসিআরের মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেন। সেই বরাদ্দে তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট মনোয়ারা মালিকানা পান এবং দীর্ঘদিন ধরে দোকানটি ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু জামায়াত নেতা মিন্টু মিয়া জোর করে দোকান দখল করেছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পর পুলিশ বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপি–জামায়াত নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশের অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে। আপাতত দোকানটি ব্যবসায়ী সুমনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সালিশের মাধ্যমে চূড়ান্ত মালিকানা নির্ধারণ হবে।
ওসি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য, ভোলা জেলার সাবেক আমির ও ভোলা-৪(চরফ্যাশন মনপুরা) আসনের জামায়াতের মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ঋণ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জুলাই গণহত্যার বিচার করবে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ জনগণকে হতাশ করেছে।”শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর চরফ্যাশন সদর রোডে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আরও বলেন, দেশের জনগণ এখন তাদের ভোটাধিকার ও নিরাপত্তার জন্য পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোট আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতার অংশীদার হয়েছিল। তারা একদিকে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল, অন্যদিকে মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরকারের শরিক ছিল। তাই ফ্যাসিবাদের অংশীদার হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের নিষিদ্ধ করা উচিত।তিনি আরও বলেন, “বর্তমান নির্বাচনী মাঠ এখনও সব দলের জন্য সমান সুযোগের নয়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।”সমাবেশে চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ শরীফ হোসেন সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ) আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ প্রমুখ।সমাবেশে উপজেলা ও পৌর জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/হ.র
গাজীপুরের শ্রীপুরে নাটকের কথা বলে এক নারীকে রিসোর্টে এনে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। এঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন, মোঃ নাছির (৩৫) ও মোঃ বাবর (৩২)। অভিযোগপত্রে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী একজন আর্টিস্ট ও মডেল। মামলায় অভিযুক্ত মো: নাছির নাটকের পরিচালক ও মোঃ বাবর তার সহযোগী। গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে স্যুটিং এর কথা বলে ঢাকার মিরপুর থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের রাস রিসোর্টের একটি কক্ষে আটকে রাখে। এসময় নাছির, বাবরসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ওই নারীকে পালাক্রমে জোর করে ধর্ষণ করে। এসময় ওই নারীর ব্যবহৃত ২লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন রেখে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে মারধর করে অভিযুক্তরা রিসোর্ট থেকে ওই নারীকে বের করে দেন বলে মামলায় অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।এবিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। ভোরের আকাশ/হ.র
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা উত্তর শাখার উদ্যোগে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড রানা প্লাজার সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বাংলার মানুষ অন্যায়, জুলুম ও বিদেশি আধিপত্য আর মেনে নেবে না।” তারা ঘোষণা দেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি হিসেবে উত্থাপিত ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।৫ দফা দাবিগুলো হলো:জুলাই সনদের অবিলম্বে বাস্তবায়ন।আওয়ামী লীগের দোসর ও আধিপত্যবাদী ভারতের এজেন্ট জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা।জুলাই গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে PR (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি বাস্তবায়ন।বক্তারা আরও বলেন, যারা ভারতের আধিপত্যের কাছে দেশ বিক্রি করছে এবং জুলাই গণহত্যার বিচার ধামাচাপা দিতে চাইছে, তারা জনগণের প্রকৃত শত্রু। ৫ দফা দাবি মানা না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন কাসেমী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফারুক হোসাইন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী।বক্তারা আরও ছিলেন—সহ-সভাপতি ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন কাসিম, জেলা সহ-সভাপতি ও বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী মুফতি সুলতান মাহমুদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা শাহেদ জহিরি, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মুফতি মাহমুদুল হাসান আওলাদ, মুফতি নাজমুল ইসলাম শাকিল, মুফতি খন্দকার কাউসার হোসাইন, মুফতি আলমগীর রহমানী, মাওলানা ইসমাঈল হোসাইন, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মুফতি সালাহ উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মুফতি মাহবুবুর রহমান গুলজার, মুহাম্মদ আফিফ আহমদ, মাওলানা আব্দুস সবুর খান, মাওলানা রাফিউল ইসলাম, মৌলভী আওলাদ হাসান, মাওলানা শোয়াইব আহমদ, মাওলানা আবুল কাশেম প্রমুখ।সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল রানা প্লাজার সামনে থেকে শুরু হয়ে পাকিজা মোড় ঘুরে সিটি সেন্টারের সামনে এসে শেষ হয়। ভোরের আকাশ/হ.র
আগামী ফেব্রুয়ারিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং কেন্দ্র ঘোষিত ৫-দফা দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।শুক্রবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিকেলে শ্রীপুর রেলওয়ে মসজিদ চত্ত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্রীপুর উপজেলার আমির মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর জেলা আমির ও গাজীপুর-৩ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ডক্টর মো: জাহাঙ্গীর আলম। ড.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে জুলাই সনদ রচিত হয়েছে কিন্তু একটি মহল তা বাস্তবায়ন হতে দিচ্ছে না।আমরা হুশিয়ারী করে দিতে চাই অনেক স্থানে আমাদের বিল বোর্ড, ফ্যাস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে আমরা প্রতিবাদ করছি। তিনি আরও বলেন,৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারেনি। আমরা স্বৈরাচার মুক্ত প্রশাসন ও দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসন চাই।পৃথিবীর প্রায় ৮০ টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। বাংলাদেশেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে।এদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতির দাবী জানাচ্ছে।বাংলাদেশে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে ওই ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শাসন আবারও কায়েম হবে।তাই আমাদের পাঁচ দফা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করুন। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের। মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান,শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা জাহাঙ্গীর কবির, উপজেলা সেক্রেটারি ডাঃ জসিম উদ্দিন, পৌর আমির ডাঃ আনিসুজ্জামান, গাজীপুর ইউনিয়ন সভাপতি আইয়ুব আলী,বরমী ইউনিয়ন আমির মাওলানা আমিনুল ইসলাম, গোসিংগা ইউনিয়ন সভাপতি আবু সাঈম খান, প্রহলাদপুর ইউনিয়ন আমির মাওলানা মোঃসুলাইমান হোসাইন, তেলিহাটি ইউনিয়ন আমির মাওলানা জুবায়ের সরকার,ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপজেলা সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান প্রমুখ।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেংরা রাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়।এসময় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে সজ্জিত হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। ভোরের আকাশ/হ.র