ফাইল ছবি
দেশে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫, আর উৎপত্তিস্থল যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টা ২৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মনিরামপুরেই। এই নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয়বারের মধ্যে ভূমিকম্প অনুভূত হলো। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সাত দিনের মাথায় ২১ সেপ্টেম্বর আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে। সিলেট বিভাগের জেলা সুনামগঞ্জের ছাতকই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর সাংবাদিকদের বলেন, আজ ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এটি নিম্ন মাত্রার ভূমিকম্প। মনিরামপুর এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
আজ দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে অনুভূত হওয়া এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, উৎসব আয়োজন মানেই সামাজিক মেলবন্ধন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে সরকারি অনুদান বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিটিতে ১০,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি সব বাহিনী একযোগে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপ কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আনন্দের উৎসব নয়, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। তাই সব বিভেদ ভুলে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে হবে।অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলা প্রশাসকের আন্তরিক তত্ত্বাবধান, নিয়মিত খোঁজখবর ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে তাঁরা সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ পদ সাহা, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের মহানগর সদস্য সচিব খোকন সাহা এবং জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক পূজামণ্ডপ কমিটিগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
নওগাঁর রাণীনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার সকল মন্দির কমিটির সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। শনিবার বেলা ১১টায় রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনজির হোসেনরে সভাপতিত্বে এবং জামায়াতে সেক্রেটারি শামিনুর ইসলাম শামিমের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ও নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের জামায়াতে ইসলামীর এমপি মনোনীত প্রার্থী খবিরুল ইসলাম।সভায় খবিরুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে রোববার থেকে। এবার উপজেলায় মোট ৪৩টি পুজামন্ডপে দুর্গাপূজা উনুষ্টতি হচ্ছে। উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায় তাদের শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য প্রতিটি পুজামন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা ইবনে আব্বাস।অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার মহন্ত, যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণপদ মহন্ত ও সকল মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ
মধুখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে চ্যানেল এস-এর সিনিয়র সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলীর রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় মধুখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।মধুখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মৃধা মন্নুর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল এস এর মধুখালী উপজেলা প্রতিনিধি মফিজুর রহমান মুবিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হায়দার আলি মোল্লা।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মধুখালী পৌর বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ফকির, মধুখালী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান হেলাল, অর্থ সম্পাদক মো. সালেহীন সোয়াদ সাম্মী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক শিকদার, সদস্য লেলিন মাহমুদ প্রমুখ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিক, পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক রজব ইসলাম, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হোসেন রাসূম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলি, অসিম কুমার দত্ত, বিপ্রজিৎসহ আরও অনেকে।উল্লেখ্য, গত ডাকসু নির্বাচন চলাকালীন সময়ে চ্যানেল এস-এর সিনিয়র সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে।অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেষে দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। মধুখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সমাজ মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
আইনি ভিত্তি সহ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন। লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের সুতী গোরস্থান কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গোপালপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোপালপুর বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।উপজেলা জামায়াতের আমির মো. হাবিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশের বক্তব্য পেশ করেন টাংগাইল -২ (গোপালপুর -ভুয়াপুর) জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির।উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. ইদ্রিস হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডঃ মুহাম্মদ আতাউর রহমান।উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।সমাবেশে উপজেলা এবং ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ