ছবি : সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলের ভেতরে বসেছিলেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস এ তথ্য জানায়।
প্রেস উইং জানায়, ড. ইউনূস এবং তার প্রতিনিধি দলের বসে থাকা ছবিটি ইউএনজিএ’র ৮০তম অধিবেশনে তার (ড. ইউনূস) নিজের ভাষণ দেওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে তোলা হয়েছিল। এটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে তার বক্তব্য দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে।
প্রেস উইং আরও জানায়, এদিকে, নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক দেশের শতাধিক কূটনীতিক গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং গণহত্যার প্রতিবাদে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও চেম্বার ত্যাগ করে। নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না।
এএফপি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ছবিগুলো এটি নিশ্চিত করে- নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের নেমপ্লেটের আসনটি খালি ছিল।
প্রেস উইং জানায়, তাই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছয় রাজনৈতিক প্রতিনিধির যে ছবি প্রচারিত হচ্ছে, তা নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে ছবিটির অপব্যবহার করে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ওয়াকআউট করেনি। যাচাইকৃত প্রমাণ থেকে জানা যায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় তারা চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল এমন প্রচারণা পতিত শক্তির অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, মিথ্যাই এখন তাদের একমাত্র অবলম্বন।ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি তার পোস্তে উল্লেখ করেন, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার দুটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রথম কর্মসূচি ছিল বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম নিজামী গাঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, যা সকাল ৯টায় হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সকাল সাড়ে ১০টায়।তিনি বলেন, কর্মসূচি শেষে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল যখন সাধারণ পরিষদের হলরুমে প্রবেশ করে, তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেন্ট ভিনসেন্টের প্রধানমন্ত্রী রালফ গণজালভেস।এর আগে ইসরায়েল, পাকিস্তান ও চীনের প্রধানমন্ত্রীরা তাদের বক্তব্য শেষ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হলের ভেতরে বসেছিলেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস এ তথ্য জানায়।প্রেস উইং জানায়, ড. ইউনূস এবং তার প্রতিনিধি দলের বসে থাকা ছবিটি ইউএনজিএ’র ৮০তম অধিবেশনে তার (ড. ইউনূস) নিজের ভাষণ দেওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে তোলা হয়েছিল। এটি মূলত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে তার বক্তব্য দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে।প্রেস উইং আরও জানায়, এদিকে, নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক দেশের শতাধিক কূটনীতিক গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং গণহত্যার প্রতিবাদে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও চেম্বার ত্যাগ করে। নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না।এএফপি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ছবিগুলো এটি নিশ্চিত করে- নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশের নেমপ্লেটের আসনটি খালি ছিল।প্রেস উইং জানায়, তাই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ছয় রাজনৈতিক প্রতিনিধির যে ছবি প্রচারিত হচ্ছে, তা নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে ছবিটির অপব্যবহার করে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ওয়াকআউট করেনি। যাচাইকৃত প্রমাণ থেকে জানা যায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় তারা চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম নাসির উদ্দিন। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারাও (কর্মকর্তারা) কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’-এ যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে আটশ উপজেলা, জেলা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন। একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া হবে।কমিশনের ওপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ আস্থা রয়েছে জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন ঐতিহাসিক নির্বাচন করব। আমরা অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, আইন মেনে কাজ করবো। আমরা অন্যায় নির্দেশনা দেবো না। বেআইনি নির্দেশনা, কারও পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেবো না। সঠিক কাজটি সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেবো।কর্মকর্তাদের প্রতি নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা কারও পক্ষে কাজ করবেন না। কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। বিশেষভাবে বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের শপথ রক্ষা হবে আপনাদের ভূমিকার ওপর।এ সময় ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের মেরুদণ্ড সোজা রয়েছে। ভোট সুষ্ঠু করতে শতভাগ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে কমিশন।ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। এর মধ্যে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ ও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ অন্যতম।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস্ কনফারেন্সে (আইপিএসিসি) অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়, গত ২৩-২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেনাপ্রধানরা মৈত্রী ও সহযোগিতা জোরদার, অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মতবিনিময় এবং আঞ্চলিক সংকটে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে সেনাবাহিনী প্রধান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিযোগিতার পরিবর্তে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি তিনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, পেশাদারিত্ব ও গঠনমূলক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডিং জেনারেল জেনারেল রোনাল্ড প্যাট্রিক ক্লার্ক এবং মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল তান শ্রী দাতো শ্রী মুহাম্মদ হাফিজুদ্দিন জনতানের সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, পেশাগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে প্রযুক্তি হস্তান্তর, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়াদি আলোচনা করেন।গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সেনাবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন।ভোরের আকাশ/তা.কা