ময়মনসিংহে আড়াই হাজার স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টায় নগরীর কাঁচিঝুলি আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মুফতি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ৮ টায়। এছাড়া নগরীর বড় মসজিদ, আকুয়া বাইপাস মাদানীনুর মার্কাস মসজিদ, মোমেনশাহী সেনানিবাস, পুলিশ লাইন্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মুসল্লীরা জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি করা হয়।
আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুল করিমসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান জামাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জেলার বড় বড় স্থানে ঈদের নামাজে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
নামাজ শেষে আমিনুল ইসলাম নামে এক মুসল্লী বলেন, ঈদুল আজহার সবচেয়ে বড় খুশির খবর হচ্ছে আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। এতে করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখি।
নাজমুল ইসলাম নামে আরেক মুসল্লী বলেন, ত্যাগের মহীমায় হোক আমাদের ঈদের আনন্দ। হানাহানি বিদ্বেষ ভুলে আমরা সকলে এক হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গলকামনায় কাজ করব।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাগর হোসেন (১৬) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।শনিবার (৭ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার যাদবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত সাগর হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে।আহতদের মধ্যে রয়েছেন একই গ্রামের আহাতাব মণ্ডলের ছেলে মারুফ (১৫), লাভলু মণ্ডলের ছেলে রাজীব মণ্ডল (২৪), রিংকু (১৮), তামিন (১৫) এবং শুকুর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন। তাদের মধ্যে মারুফ ও রাজীবের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আমিরুল ইসলাম জানান, দুটি মোটরসাইকেলে মোট সাতজন আরোহী ছিলেন। যাদবপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি বাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। এতে প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সাগর হোসেনের মৃত্যু হয়।আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ।।হ.র
শাকিব খান অভিনীত তাণ্ডব সিনেমা চলাকালীন সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় ময়মনসিংহ নগরীর ছায়াবানী সিনেমা হলে ভাঙচুর করেছে দর্শকরা।ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকেলে নগরীর সিকে ঘোষ রোড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সিনেমা হলটি এ হামলার পর এক ঘণ্টা শো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে পুনরায় ছবি চালু হয়।শিক্ষা সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহে অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটরিয়াম এই পাঁচটি সিনেমা হল ছিল। আশির দশকে এসব হলগুলো ছিল দর্শক প্রিয়। এক হল থেকে অন্য হলে মানুষ ছুটে চলতেন পছন্দের সিনেমা দেখতে। কিন্তু দিন দিন মানহীন সিনেমা, দর্শক খরা ও ২০০২ সালে সিনেমা হলে বোমা হলে তা বন্ধের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় অজন্তা, অলকা ও সেনা অডিটরিয়াম। এরপর শহরে চালু ছিল পূরবী ও ছায়াবাণী সিনেমা হল। বেশ কিছুদিন ধরে দর্শক খরা নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল এই হল দুটি। কিন্তু ব্যবসায়িক মন্দাভাবের কারণে পূরবী সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ৫-৬ মাস ধরে পূরবী সিনেমা হল ভাঙার কার্যক্রম চলছে।সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ছায়াবানী হলেও বছরের দুই ঈদ ছাড়া তেমন দর্শক হয়নি বললেই চলে। শাকিব খানের সুপার হিট তাণ্ডব ছবি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আসন সংখ্যার তুলনায় দর্শক বেশি হওয়ায় শো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।সাড়ে ৭শ আসন সংখ্যার দু’তলা হলটিতে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার শো-এর শেষ সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে সিনেমা বন্ধ হয়ে দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে হলের ভেতরে বাইরে ভাঙচুর করে। এতে বেশ কয়েকটি আসন, চেয়ার, পোস্টার, টিকিট কাউন্টারের দরজা জানালা ভাঙা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত শো বন্ধ থাকে।দর্শক আল-আমীন হোসেন বলেন, বিভাগের মধ্যে এই হলটি মোটামুটি ভালো। তাই আমি শেরপুর থেকে এসেছি ছবি দেখতে। সবকিছু ঠিকঠাক ছাড়া ঈদের মধ্যে কেমনে কর্তৃপক্ষ সিনেমা চালানোর সিদ্ধান্ত নিল। টিকিট কাটতে গিয়ে পড়তে হয়েছে সমস্যায়, হলের ভেতরে পানি। ছবি চলার সময়ে শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া, এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। তাই দর্শকরা ভাঙচুর করেছে।হাসান জাকির নামে আরেক দর্শক বলেন, হলের সামনে অপেক্ষমান শতশত দর্শক। শো শেষ না হলেও কর্তৃপক্ষ অনবরত টিকিট ছাড়ছেন। এটা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। ছবি চলাকালীন সময়ে কখনো সাউন্ড নেই, আবার কখনো ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর। সুপার হিট ছবি তাণ্ডব। এই জন্য দর্শকরা উত্তেজিত।হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ বলেন, সমস্যা বলে কয়ে আসে না। কিন্তু দর্শকরা এমন করবে তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। সমস্যা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সমাধানও হয়েছে। কিন্তু দুতলা থেকে দর্শকরা যেমনে একের পর এক আসন নিচে ছুড়ে মারছে এতে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। তারা চেয়ার, ক্যাশকাউন্টার ভাঙচুর করে টাকাও লুট করেছে। এমন হলে হল চালানো যাবে না।এ বিষয়ে নগরীর ৩ নম্বর ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই মো.রাসেল বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অতিরিক্ত আবেগের কারণে এমন হয়েছে। কোনো কিছুর সমস্যা হতেই পারে, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক না।ভোরের আকাশ।।হ.র
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন সময়েও পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগধীন সদর ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সমূহে সাধারণ সেবা অব্যাহত রয়েছে।এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর ক্লিনিক, মালিখালী, দেউলবাড়ী দোবড়া, দীর্ঘা, সেখমাটিয়া এবং শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োজিত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগণ সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে জরুরি সেবাসহ অন্যান্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।নাজিরপুর উপজেলায় কর্মরত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জওহর বালা জানান, সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে শহর থেকে অনেকেই গ্রামে এসে ঈদ উদযাপন করেন,তারমধ্যে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পরেন, আমাদের সেবাকেন্দ্র খোলা রেখে সেই সকল জনসাধারণের (গর্ভবতী মহিলা, শিশু, কিশোর কিশোরী, সাধারণ রোগী,পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী গ্রহীত) সেবাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জরুরী সেবাদান অব্যাহত রাখা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ইলিয়াস মিয়া (৪০) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।আজ রাত ১১টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ। নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার রামভদ্র খানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৬ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি মাছের খামার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় গানডার বিল খানাবাড়ি এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইলিয়াসকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।এদিকে, ইলিয়াসকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে একজনের প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস বলেন, সুন্দরগঞ্জের মজিবরের ছেলে যুবলীগকর্মী সুমন, ডাকুয়ার ছেলে যুবাইর ও তালেবের ছেলে সহ চারজন মিলে লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তিনি দাবি করেন, তাকে অন্তত ২০০ বার আঘাত করা হয়েছে।সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।তিনি আরও বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নিহত ইলিয়াসের ভিডিওতে নাম আসা যুবলীগের সুমনের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ