ফাইল ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ঊনিশ হাজার পশু। এদের মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা। এলাকায় চাহিদা রয়েছে প্রায় সতেরো হাজার পশুর। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে সাড়ে ছাব্বিশ’শ পশু। বিক্রি নিয়ে শংকা থাকলেও লোকশান হবে না বলে জানিয়েছেন খামারীরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও খামার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৩৫ টি পশুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ টি পশু। এদের মধ্যে গরু ১২ হাজার ২৫ টি,মহিষ ২২২ টি,ছাগল ৬ হাজার ৯৮৫ টি, দুম্বা-ভেড়া ২০৫টি। কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৮৩৫ টি। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে ২ হাজার ৬৩৫টি পশু।
উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের খামার মালিক ও পশু পালন কারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খামারের বাইরে ও অনেক ব্যক্তি গরু মহিষ ছাগল ভেড়া দুম্বা পালন করে থাকেন। গত বছর থেকে শ্রীপুরে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরের উপদ্রবে গ্রাম পল্লীতে কৃষক পর্যায়ে অনেকে গরু পালনে উৎসাহ হারিয়েছে। সঠিক পদ্বতিতে গরু পালন করলে এবং পশু খাদ্যের দাম সহনীয় থাকলে পশু পালন করীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। এবার বাজার ভালে তাই লোকশান গুনতে হবেনা বলে মনে করছেন তারা। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে কুরবানী কিছু টা কম হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
শ্রীপুর পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের মাষ্টার এগ্রোর মালিক মাহফুজুর রহমান জানান, চোরের আশংকায় এবার গরু কম পালন করেছেন। তার খামারে জেলার সব থেকে বড় ৩০ মনের ভাওয়াল রাজা রয়েছে। তিনি গরুটির দাম হাঁকেন সাড়ে আট লাখ টাকা।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের ময়না ডেইরী ফার্মের মালিক মো. আ.কাইয়ুম জানান, এবার কোরবানীর জন্য তার খামারে ৮০ টি গরু প্রস্তুত করেন। তিনি খামার থেকেই গরু বিক্রি করে থাকেন। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশী গরু বিক্রি হয়ে গেছে। দু-তিন দিনের মধ্যে বিক্রি শেষ হবে। আল্লার রহমতে এবার লোকশানের শংকায় নেই।
উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের ডিজাইন এগ্রো পার্কের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম জানান, এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারে ১৫০টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এদের মধ্যে ১১০০ কেজির গরুসহ ৯০০ কেজির ভারতীয় কংকারাজ জাতের গরু। প্রকৃতিক ঘাস, খড়, দানাদার খাবার দিয়ে এসব গরু লালন পালন করা। এরই মধ্যে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে লোকশানের আশংকা নেই।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. আশরাফ হোসেন জানান, কোরবানী উপলক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ১৯৪৬৭ টি গরু মহিষ ছাগল ভেড়া দুম্বা পালন করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১৬৮৩৫ টি পশুর। উদ্বৃত্ত থেকে যাবে ২৬৩৫ টি পশু। বৃষ্টির কারণে বাজার একটু থেমে আছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাজার ঘোরে দাড়াবে। লোকশানের আশংকা না থাকলেও কুরবানী কমে গেলে বাড়তি চাপে পরবেন তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুষখালী ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম (৩৫) এর উপর সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।রবিবার (১৫ জুন) রাত ৮ টায় মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঠবাড়িয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, কুদ্দুস মাস্টার আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে উপজেলার মৎসজীবী ক্ষুদ্র ঋণ সমিতি নাম গঠন করে জেলেদের নিকট থেকে নানা উপায়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়। এর প্রতিবাদে মৎসজীবী দল তুষখালী ইউনিয়নে জানখালী বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপজেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক জেলেদের নিকট থেকে বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে জোড়ালো বক্তাব্য রাখেন। ভিকটিম মোঃ ইব্রাহীম অবৈধভাবে নদীতে অবৈধ জাল পাতা সহ জেলেদের নিকট থেকে অবৈধ চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে কুখ্যাত কুদ্দুস মাস্টার, তার সহযোগী সগীরের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা মৎসজীবীদলের সাভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে নানা রকম প্রমাণহীন মিথ্যা বানোয়াট কল্প কাহিনী পোষ্ট দিতে থাকে।তিনি বলেন, সে ফেইসবুকে অবৈধ বাণিজ্য রক্ষার জন্য প্রতিটি জায়গায় ২০/২৫ জন ক্যাডার আছে বলে মঠবাড়িয়া উপজেলা মৎসজীবীদলের সভাপতি, সম্পাদক ও ইব্রাহীমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। যার স্কিনসর্ট আমাদের কাছে আছে। কুদ্দুস মাস্টারের প্রচারনায় তুষখালী ক্ষুদ্র ঋণ সমিতির ছগিরের মাধ্যমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে অবৈধভাবে নদীতে জাল পাতা ও বলেশ্বর নদীতে অবাধে মসৎ ধ্বংসের কাজ অব্যাহত রাখার জঘন্য উদ্দেশ্য বস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাজস তুষখালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক যেঃ ইব্রাহীমকে নদীর পারে একলা পেয়ে কুদ্দুস মাস্টারের লেলিয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রট, লোহার হ্যামার দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে মৃত্যু হয়েছে জেনে চলে যায়। সে বর্তমানে ঢাকায় রাজার বাগস্থ একটি হাসপাতালে ভর্তি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় থানা পুলিশ একজন মহিলা আসামি ছাড়া অন্য আসামীদের এখনো গ্রেপ্তার করে নাই। যেটা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়। আমরা ধরতে সহযোগিতা করলেও তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছেন। হামলার সাথে জড়িত যারা তাদেরকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম মধু, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির মাতব্বর, মৎস্যজীবী দলের উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের মঠবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, মৎস্যজীবী দলের মঠবাড়িয়া শাখার দপ্তর সম্পাদক লাবু সহ মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীরা।ভোরের আকাশ/জাআ
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর দ্বিতীয় জানাজার নামাজ ঢাকার কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, স্বজনসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ নেন।সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় কেরানীগঞ্জে মোস্তফা মোহসীনের দ্বিতীয় জানাজার নামাজের সময় নির্ধারিত ছিল। এর আগেই সকাল আটটা থেকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ মোস্তফা মোহসীন মন্টুর পৈতৃক বাড়ির পাশের নেকরোজবাগ মাঠে এসে জড়ো হতে থাকেন। সকাল নয়টার দিকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করেন। এ সময় জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত মরহুমের মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।জানাজায় অংশ নিতে আসেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নাজিমউদ্দিন মাস্টার, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান প্রমুখ।জানাজার আগে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর একমাত্র ছেলে কনক মোস্তফা শোকাহত কণ্ঠে বলেন, ‘বাবা কেরানীগঞ্জকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। তিনি এখানকার মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য সবসময় কাজ করে গেছেন। আমি বাবার দেখানো পথে হাঁটব ও তাঁর শেখানো আদর্শ ধরে রাখব। তিনি যেভাবে পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন, আমিও সেভাবে চেষ্টা করব। আপনারা সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।’সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরামে যোগ দেওয়া মোস্তফা মোহসীনের জানাজায় অংশ নিতে আসেন।নেকরোজবাগ এলাকার সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ হারুন মিয়া বলেন, ‘চোখে দেখছি কেমন কইরা মন্টু সাহেব যুদ্ধের সময় মানুষজনরে একসাথে কইরা রাখতেন। যুদ্ধের সময় বড় বড় নেতারা আইলে উনিই তাগো কেরানীগঞ্জে ঠাঁই দিতেন। কাওরে ভয় পাইতেন না মন্টু সাহেব। কেউ বিপদে পড়লে আগাইয়া আসতেন। ওই রকম সোজা আর সাহসী মানুষ এখন আর দেহা যায় না। জানাজায় আইসা তার লাশ দেইখ্যা মনটা কেমন জানি করতাছে। মনে হইতাছে মন্টু ভাই না, আমার আপনজন মারা গেছে।’কালিন্দী এলাকা থেকে একসঙ্গে তিন বন্ধু এসেছিলেন জানাজায় অংশ নিতে। তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ হোসেন বলল, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি; কিন্তু মন্টু সাহেবের কথা ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছে শুনে আসছি। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তখন তিনি বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক সফল অপারেশন করেছেন, যা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক ছিল। সেটা আমাদের জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা।’কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকা থেকে আসা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ওনার এলাকায় থাকি না; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে ওনার অবদানের কথা এত শুনেছি যে মনে হতো উনি আমাদের সবার নেতা। আজ জানাজায় এসে ওনার প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। সত্যি বলতে, এমন মানুষগুলো হারিয়ে গেলে সমাজ একেকটা আলো হারায়।’মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেরানীগঞ্জের সভাপতি নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হওয়ায় ২ এপ্রিল মোস্তফা মোহসীনকে হত্যার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। গণহত্যা শুরুর আগে পাকিস্তানি সেনারা বুড়িগঙ্গার অপর প্রান্ত কেরানীগঞ্জের ঘাটে ঘাটে মন্টুকে খুঁজতে এসেছিল, তখন কোনো মানুষ একবারের জন্যও তাঁর অবস্থান চিনিয়ে দেয়নি। আমাদের কাছে জনপ্রিয় ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।’রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) ক্লাবের সভাপতি কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান হিসেবে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্ব ও ত্যাগ আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। আমৃত্যু তিনি কেরানীগঞ্জের মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে কেরানীগঞ্জবাসী একজন অভিভাবক এবং সৎ, নির্লোভ ও আদর্শবান নেতাকে হারিয়েছে।’উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। গতকাল রোববার বাদ এশা রাজধানীর কাঁটাবন ঢালের বাইতুল মামুর জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাজমুল হোসেন (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর মুত্যু হয়েছে।সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের মানাবাড়ি কাচারিপাড়া গ্রামে বাড়ির পাশে জমিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি রাজারহাট বাজারের স্বপ্ন সুপার শপের ডিলার ছিলেন।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হোসেন দুপুরে বাড়ির পাশের জমিতে বৈদ্যুতিক সেচপাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে মাছ ধরতে যান। এ সময় পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনে স্পৃষ্ট হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের জাহেদুল ইসলামের ছেলে।রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামে করোনায় শফিউল ইসলাম (৭৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরও ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন।সোমবার (১৬ জুন) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত করোনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদন তথ্য অনুসারে, করোনায় মৃত্যু হওয়া শফিউল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি পোস্ট অপারেটিভ জটিলতা ও কিডনি ফেলিউর সমস্যা নিয়ে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একাধিকবার ডায়ালাইসিস করেন।পরে তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ত্যাগ করে বাড়ি চলে যান। বাড়িতেই তিনি মারা যান।এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২০টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন চট্টগ্রাম নগরের এবং ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া মোট ২৮ আক্রান্তের মধ্যে ২২ জন নগরের ও ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার ১৭টি ল্যাবের পাঁচটিতে ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন এবং এ মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৯টি নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।ভোরের আকাশ/জাআ