ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আরও জোরালো অবস্থান থাকা প্রয়োজন ছিল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এটি খুবই জোরালো ছিল।ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অন্তত কোনো সংশয় নেই। আমরা যারা রজনৈতিক দলগুলো আছি আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা কনভিন্সড ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি এজন্য যে, প্রথমবারের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতির যে ঐক্য সেটিকে প্রকাশ করা। যেটা ইউনিক একটা এফোর্ট। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা খুবই প্রয়োজন। সেটার তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। সেজন্য আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। আমাদের নেতা তারেক সেজন্য এটিকে সমর্থন করেছেন।
এরপর পিআর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নিম্নকক্ষ পিআরের পক্ষে নই। আমরা ওপরের দিকেও পিআরের কথা বলিনি। তবে, সেগুলো পরবর্তীতে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে কাউকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে কাউকে এক মিনিটের জন্যও কর্মস্থল ফেলে রাস্তায় আসতে হবে না। ইনসাফের ভিত্তিতে যার যেটা পাওনা সেটা তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভাঙাচোরা শিক্ষা ব্যবস্থা আর রাখা হবে না। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে, যা মানুষকে কেবল জ্ঞান নয়, নৈতিকতা শেখাবে। যে শিক্ষা দুর্নীতি ও অনৈতিকতার জন্ম দেয়, সেই শিক্ষাকে বিদায় জানানো হবে। বরং এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ বানাবে, অন্যকে সম্মান করতে শেখাবে। নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সমন্বয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে, যেখানে শিক্ষাজীবন শেষে কেউ বেকার থাকবে না। সবাই হয় উদ্যোক্তা হবে, নয়তো চাকরির সুযোগ পাবে।তিনি বলেন, শুধু ডিগ্রির ভিত্তিতে এই কল্যাণ রাষ্ট্রে কারো মর্যাদা নির্ধারণ হবে না। কাজের ভিত্তিতে মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে।এসময় তিনি আরো অঙ্গীকার করেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতির জোয়ার কেটে দেওয়া হবে। বলেন, এতে অনেকের অস্বস্তি তৈরি হবে, তবে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন জরুরি। একই সঙ্গে প্রতিটি সেবার গুরুত্ব ও গভীরতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের আস্থা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে আর কাউকে বঞ্চিত হতে হবে না। ইনসাফের মাধ্যমে প্রত্যেকেই তার প্রাপ্য অধিকার পাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আরও জোরালো অবস্থান থাকা প্রয়োজন ছিল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এটি খুবই জোরালো ছিল।ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অন্তত কোনো সংশয় নেই। আমরা যারা রজনৈতিক দলগুলো আছি আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা কনভিন্সড ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি এজন্য যে, প্রথমবারের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতির যে ঐক্য সেটিকে প্রকাশ করা। যেটা ইউনিক একটা এফোর্ট। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা খুবই প্রয়োজন। সেটার তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। সেজন্য আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। আমাদের নেতা তারেক সেজন্য এটিকে সমর্থন করেছেন।এরপর পিআর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নিম্নকক্ষ পিআরের পক্ষে নই। আমরা ওপরের দিকেও পিআরের কথা বলিনি। তবে, সেগুলো পরবর্তীতে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থানের কারণে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় গঠনতন্ত্রের ৩৬(১) ধারা অনুযায়ী দলের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুরের চিকিৎসাজনিত কারণে বিদেশে অবস্থান করায় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান সভাপতির রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।এর আগে, গণঅধিকার পরিষদে মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদমর্যাদায়) হিসেবে যোগ দেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তাকে এই পদে মনোনীত করেন।গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅধিকার পরিষদে (জিওপি) যোগ দেন ফারুক হাসান।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে, সে জন্য দলের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে, এই ভেবেই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি আপাতত চুপ করে আছে। তবে জনগণ চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণ বিভক্ত হয়, এমন কাজ করা উচিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য মাঠে নামবে কি না, তা পূজার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে। বিএনপির চুপ থাকা দুর্বলতা কি না, সেটা সরকারকেই বুঝতে হবে।তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাইছে। কোনো কারণে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিবাদই লাভবান হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা