শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০১:০৬ পিএম
শিবচরে খাজনামুক্ত বাহাদুরপুর হাট
মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন শত বছরের ঐতিহাসিক বাহাদুরপুর হাট-বাজারটি এবারেই প্রথম আগামী এক বছরের জন্য ইজারা বা খাজনা মুক্ত করে দিয়েছেন হাট ইজারাদার মালিক পাঁচ্চর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন (নান্নু মোল্লা)।
বুধবার সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে ইজারা মুক্ত হাটে বিভিন্ন ক্রেকা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি। বিগত বছর গুলোতে এই হাটে শতকরা ১০ টাকা করে খাজনা দিতে হতো। এবারেই প্রথম খাজনা মুক্ত করা হয়েছে।এতে আমরা সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাগন খুশি।
মাছ বাজারে গিয়ে নাম না বলা একক্রেতা বলেন, আগে খাজনা ছিল দাম বেশির অজুহাত ছিল। এখন খাজনা নেই,সে হিসাবে তো দাম আগের তুলনায় কম হওয়ার কথা,আগে পাঙ্গাশ মাছ ছিল, ২০০ টাকা করে, সেখানে এখন খাজনা না থাকলেও সেই পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছে।
মাছ বিক্রেতা বলছে ভিন্ন কথা, আমরা তো মাছ চাষ করি না, যেদিন মোকামে দাম বেশি দিয়ে মাছ কিনতে হয়। সেদিন দাম বেশি বেচতে হয়। আবার যেদিন মোকামে দাম কম যায়। সেদিন আমরাও বাজারে কম দাম বিক্রি করছি।
রামদাস নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, আগে যে দাম ছিল,খাজনা দেওয়া লাগতো, দাম কিছুটা বেশিই ছিল। এখন খাজনা দেওয়া লাগছে না, তাই মাছের দাম কিছুটা কমেই বিক্রি করছি।
ঐতিহাসিক হাটটি সাপ্তাহিক প্রতি শনিবার ও বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টার মত বাজার বসে। স্থানীয় হাটটিতে পাঁচ্চর ইউনিয়নসহ আশেপাশের ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখানে ক্রয়-বিক্রয় করে সুবিধা পেয়ে থাকে বলে অনেকেই এখানে বাজার করতে আসে বলে জানতে পারি। এখন যেহেতু খাজনা মুক্ত করা হয়েছে। সেহেতু সাধারণ মানুষ সকলেই খুশি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে হাটটি প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ডাকা আনেন। হাট-বাজার ইজারাদার মালিক শাখাওয়াত হোসেন নান্নু মোল্লা, তিনি তার ব্যক্তি ফান্ডের ইজারার টাকা আগামী এক বছরের জন্য সরকারী কোষাগারে পরিশোধ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় পহেলা বৈশাখ থেকে আগামী এক বছরের খাজনা সর্বসাধারনের জন্য মওকুফ করে দিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
শিবচরে খাজনামুক্ত বাহাদুরপুর হাট
মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন শত বছরের ঐতিহাসিক বাহাদুরপুর হাট-বাজারটি এবারেই প্রথম আগামী এক বছরের জন্য ইজারা বা খাজনা মুক্ত করে দিয়েছেন হাট ইজারাদার মালিক পাঁচ্চর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন (নান্নু মোল্লা)।
বুধবার সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে ইজারা মুক্ত হাটে বিভিন্ন ক্রেকা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি। বিগত বছর গুলোতে এই হাটে শতকরা ১০ টাকা করে খাজনা দিতে হতো। এবারেই প্রথম খাজনা মুক্ত করা হয়েছে।এতে আমরা সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাগন খুশি।
মাছ বাজারে গিয়ে নাম না বলা একক্রেতা বলেন, আগে খাজনা ছিল দাম বেশির অজুহাত ছিল। এখন খাজনা নেই,সে হিসাবে তো দাম আগের তুলনায় কম হওয়ার কথা,আগে পাঙ্গাশ মাছ ছিল, ২০০ টাকা করে, সেখানে এখন খাজনা না থাকলেও সেই পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছে।
মাছ বিক্রেতা বলছে ভিন্ন কথা, আমরা তো মাছ চাষ করি না, যেদিন মোকামে দাম বেশি দিয়ে মাছ কিনতে হয়। সেদিন দাম বেশি বেচতে হয়। আবার যেদিন মোকামে দাম কম যায়। সেদিন আমরাও বাজারে কম দাম বিক্রি করছি।
রামদাস নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, আগে যে দাম ছিল,খাজনা দেওয়া লাগতো, দাম কিছুটা বেশিই ছিল। এখন খাজনা দেওয়া লাগছে না, তাই মাছের দাম কিছুটা কমেই বিক্রি করছি।
ঐতিহাসিক হাটটি সাপ্তাহিক প্রতি শনিবার ও বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টার মত বাজার বসে। স্থানীয় হাটটিতে পাঁচ্চর ইউনিয়নসহ আশেপাশের ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখানে ক্রয়-বিক্রয় করে সুবিধা পেয়ে থাকে বলে অনেকেই এখানে বাজার করতে আসে বলে জানতে পারি। এখন যেহেতু খাজনা মুক্ত করা হয়েছে। সেহেতু সাধারণ মানুষ সকলেই খুশি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে হাটটি প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ডাকা আনেন। হাট-বাজার ইজারাদার মালিক শাখাওয়াত হোসেন নান্নু মোল্লা, তিনি তার ব্যক্তি ফান্ডের ইজারার টাকা আগামী এক বছরের জন্য সরকারী কোষাগারে পরিশোধ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় পহেলা বৈশাখ থেকে আগামী এক বছরের খাজনা সর্বসাধারনের জন্য মওকুফ করে দিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ