সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৪৫ পিএম
ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করিব হোসেন হত্যার মামলার আসামি এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা। ঘটনার প্রায় একমাস পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াসদানি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে র্যাব সদস্যরা যুবদল নেতা জহুরুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এনায়েতপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ছাত্রদল নেতা করিব হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে গত ২২ মার্চ এনায়েতপুর থানায় ২৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি যুবদল নেতা জহুরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১০নং আসামি জাবেদ শেখ এলাকায় এসে মামলার আসামিদের সাথে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। এতে বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট হওয়ায় এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন আসামিদের বলতে গেলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকী প্রদান করে।
গত ১৮ মার্চ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২,৩ ও ৭ নংওয়ার্ডের আয়োজনের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আসামিরাও একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আহবান করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের স্থান করোনা বাজারে স্থানান্তরিত করা হয়। নিহত ছাত্রদল নেতাসহ অন্যান্য নেতারা ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল সহ অন্যান্য সামগ্রী সরাতে গেলে আসামীরা বাঁধা দেয়।
এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতাকে আশঙ্কা জনকে অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার এ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১৪ ঘন্টা আগে
ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করিব হোসেন হত্যার মামলার আসামি এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা। ঘটনার প্রায় একমাস পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াসদানি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে র্যাব সদস্যরা যুবদল নেতা জহুরুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এনায়েতপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ছাত্রদল নেতা করিব হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে গত ২২ মার্চ এনায়েতপুর থানায় ২৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি যুবদল নেতা জহুরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১০নং আসামি জাবেদ শেখ এলাকায় এসে মামলার আসামিদের সাথে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। এতে বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট হওয়ায় এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন আসামিদের বলতে গেলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকী প্রদান করে।
গত ১৮ মার্চ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২,৩ ও ৭ নংওয়ার্ডের আয়োজনের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আসামিরাও একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আহবান করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের স্থান করোনা বাজারে স্থানান্তরিত করা হয়। নিহত ছাত্রদল নেতাসহ অন্যান্য নেতারা ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল সহ অন্যান্য সামগ্রী সরাতে গেলে আসামীরা বাঁধা দেয়।
এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতাকে আশঙ্কা জনকে অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার এ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ