শিবচর পদ্মানদীতে গণমাধ্যমকর্মীদের মিলনমেলা
প্রমত্তা পদ্মায় নতুন পানির আগমন। পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরগুলোয় বর্ষার নতুন পানির ছোঁয়া। ডুবে গেছে বেশ কিছু চরও। ঝকঝকে নীল আকাশের প্রতিবিম্বে পদ্মার স্বচ্ছ পানিতেও নীলাভ আভা। মৃদুমন্দ বাতাস, পদ্মার ঢেউ আর মাথা তুলে দাঁড়ানো পদ্মাসেতু। সব মিলিয়ে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। ঈদের ছুটিতে পদ্মানদীর তীরে গণমাধ্যমকর্মীদের আনন্দ মেলা পরিণত হয় মিলনমেলায়।
এশিয়ান টিভি জেলা প্রতিনিধি রুবেল মোড়লের আয়োজনে এই নৌকা ভ্রমণে জেলা, উপজেলার নবীন-প্রবীণসহ একঝাঁক তরুণ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১২ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিবচর পদ্মানদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক। গণমাধ্যম কর্মীদের এ আনন্দ যেন উৎসবে পরিণত হয়েছিল।
শিবচরের কাঁওড়াকান্দি ঘাট থেকে পদ্মাসেতুসহ নদীর আশেপাশের চর এলাকা ভ্রমণ করেন তারা। সূর্যাস্ত উপভোগ, কাছ থেকে পদ্মাসেতু দর্শনসহ পদ্মানদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন সাংবাদিকেরা। এসময় ঈদের ছুটিতে পদ্মাসেতুর পাড়ে শত শত দর্শনার্থীদের পরিবারসহ ঘুরতে দেখা গেছে।
নৌভ্রমণে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সময় টেলিভিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এম এ মান্নান মিয়া, কেবল টিভি দর্শক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মো. মোশাররফ হোসেন।
এ ব্যাপারে আয়োজক রুবেল মোড়ল বলেন, শিবচরে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের জন্য এই নৌভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে । সকলের সাথে সকলের ভ্রাতৃত্ববন্ধন অটুট রাখা ছিল মূল উদ্দেশ্য। দলমত নির্বিশেষে আমরা পরস্পরের ভাই। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই আসতে পারেননি। তবে এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। সব মিলিয়ে একটি প্রাণবন্ত সময় কেটেছে পদ্মার বুকে।
নৌভ্রমণ নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন সময় টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এমএ মান্নান মিয়া, ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না, বিজয় টেলিভিশন ও ভোরের ডাক পত্রিকার সাংবাদিক আবুল খায়ের খান, ভোরের দর্পন পত্রিকার মীর ইমরান, বাংলানিউজ ও আজকের পত্রিকার ইমতিয়াজ আহমেদ, দ্বীপ্ত টিভির রফিকুল ইসলাম রাজা, আমার দেশ পত্রিকার সরোয়ার হোসেন মিঠু, মানবজমিন পত্রিকার বিএম হায়দার আলী, ডেইলি সান পত্রিকার দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যরা।
উপস্থিত সাংবাদিকরা আগামীতে এরকম ভ্রমণের আয়োজন অব্যাহত রাখতে বলেন।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম (জনকন্ঠ), আহসান হাবীব শাহীন ( নয়াদিগন্ত), মতিউর রহমান (দিনকাল), মো. বজলুর রহমান (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ), নাজমুল হোসেন লাভলু (সকালের সময়), মো. সোবাহান মিয়া (নতুন বাংলার খবর), তামিম ইসমাইল (সময়ের কণ্ঠস্বর), এস কে শাহীন আলম (ভোরের আকাশ), সৈয়দ সালোয়ার হোসেন (সংবাদ সারাক্ষণ), রিয়াজ রনক (লাল সবুজের দেশ), সাখাওয়াত মোল্লা (দৈনিক জনতা), শাহীন বীন আনিস ( দৈনিক জবাবদিহি) কৃষিবিদ মো. শাহীন (বাংলার নবকন্ঠ), খান ই আজম রুবেল, গোলাম মস্তফা, রবিন চৌধুরী প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোড মার্চ চট্টগ্রামে প্রচট্টগ্রাম প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচাতে, করিডোর ঠেকাতে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোড মার্চ পৌঁছেছে চট্টগ্রামে।শনিবার (২৮ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বন্দর ভবনের সামনে পৌঁছায় এ রোড মার্চটি।এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা।এর আগে শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় এ রোড মার্চ। এতে অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ছয় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করা এবং রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচি দেয় ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’। তাদের দাবি মধ্যে আরও রয়েছে-স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করা।এদিকে শনিবার সকালে রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর হাজারী রোড মোড় থেকে মিছিলের মাধ্যমে।মিছিলটি মহিপাল হয়ে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, ট্রাংক রোড, দোয়েল চত্বর, খেজুর চত্বর, প্রেস ক্লাব, বড় মসজিদ, সেন্ট্রাল হাই স্কুল হয়ে দাউদপুর ব্রিজ অতিক্রম করে। এরপর রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীরা পরিবহনে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডে পথসভা করার পর বিকালে রোড মার্চ নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বন্দর ভবন অভিমুখে যাত্রা করে রোড মার্চ। এতে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান ও দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ব্যানার ও ফেস্টুন।ভোরের আকাশ/আজাসা
হাজারো মানুষের অস্রুসিক্ত ভালবাসায় সিক্ত হলেন নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: শাহজাহান। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন মো. শাহজাহান। তিনি বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের দল পূর্নগঠনের সাবেক সমন্বয়ক। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দিন চিকিৎসা শেষে জন্মভুমি নোয়াখালীতে আসলে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। নেতাকর্মীদের বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আর শ্লোগানে মুখরিত ছিল জেলা শহর মাইজদী। নিজ জেলায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নেতাকর্মীদের আবেগঘন পরিবেশে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন এই নেতা। তখন নিজেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পথসভায় তিনি ওয়াদা করেন আমৃত্যু সদর-সুবর্ণচরবাসির সাথে আছেন। তাদের ছেড়ে যাবেন না। দল ও জনগনের কল্যানে নিজেকে নিয়জিত রাখবেন।জানা যায়, মো:শাহজাহান দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি থাইল্যান্ডের ব্যংকক হাসপাতালে সফল অস্র প্রচারের মাধ্যমে হার্টের ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করেন এবং ফলোআপ শেষে সুস্থ হয়ে নেতাকর্মী ও স্বজনদের মাঝে ফিরে আসেন ।এদিকে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই সদর-সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেষ্টুন হাতে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী এসে জড়ো হন জেলা শহর মাইজদীতে। একাধিক জায়গায় মিছিল, শোভাযাত্রা,গান বাজনা পুরো শহর একটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে। শহরের ব্যবসায়ী, পাশ্ববর্তী বাসাবাড়ি থেকে নারী, পুরুষ উৎসুক দৃষ্টিতে প্রিয় নেতার সুস্থ হয়ে ফিরে আসা দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। এদিন বিকেলে বেগমগঞ্জ চৌমুহনী চৌরাস্তায় ফুলের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা। নোয়াখালী মাইজদীতে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতার বক্তব্য শুনার জন্য রাত পযর্ন্ত অপেক্ষা করেন ।মো. শাহজাহান ১৯৯১ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর-নোয়াখালী সদর) আসন থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি একই আসন থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ভোট কারচুপি করে তাকে পরাজিত করেন।জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান জানান, প্রিয় নেতা শাহজাহান ভাই শুধু সদর -সুবর্ণচর নয় বৃহত্তর নোয়াখালী, লক্ষীপুর,ফেনী জেলার বিএনপির তথা সংগঠনের প্রান পুরুষ। যার মেধা, প্রজ্ঞা আর দুরদর্শীতায় তিনি জেলার রাজনীতির সংগঠন গুছিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনি দেশ নেত্রী সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার আস্থাভাজন।সাবেক তুখোড় পৌর ছাত্রদল সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক টপি বলেন, শাহজাহান ভাই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনিই একমাত্র নোয়াখালী বিএনপির একমাত্র অভিভাবক। তার ফেরার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তিনি জিয়ার আদর্শের সূর্যসেনানি৷ সর্বমহলে শ্রদ্ধাস্পদ। তিনি লড়াকু সৈনিক। দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সিপাহসালা।ভোরের আকাশ/আজাসা
মাদারীপুরের শিবচরে পৃথক দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে শিবচর থানার পিছনে হাবিব মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে জমিলা (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জমিলা উপজেলার পৌরসভা এলাকার সোনা মিয়া মাদবরের মেয়ে এবং রাজবাড়ি জেলার সদর থানার কাছারীপুর এলাকার ভ্যান চালক মোস্তফা মুন্সীর সহধর্মিণী বলে জানতে পারি।পুলিশ ও স্হানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ৩ বছর আগে জমিলার ও রাজবাড়ীর মোস্তফার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হলে বিয়ে হয়।মাঝে মাঝে তাদের সংসারে খুনসুটি ঝগড়া হত।এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সকালে জামাই বউয়ের মধো পারিবারিক কলাহ বিচ্ছেদ ঘটে।সন্ধ্যায় স্বামী মোস্তফা ভ্যান চালাতে বেরিয়ে গেলে রাত ৮ টার সময় বাসায় এসে স্বামী ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে, স্হানীয় লোকজন ডেকে ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় জমিলার মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশ কে খবর দেয়।পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।তবে জমিলার পরিবারের দাবি,জমিলাকে তার স্বামী মেরে ফেলেছে বলে এমন অভিযোগ করছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।এ ব্যাপারে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রতন শেখ বলেন,প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি,ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামীকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। লাশ মাদারীপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।অপরদিকে,শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের মগড়া পুকুর পাড় এলাকার খবির উদ্দিন মৌলভী বাড়ীর পুকুর থেকে লিমা বেগম (২৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়,স্কুল পড়ুয়া ছেলের পুকুরে ভাসা মরদেহটি দেখতে পেলে বাড়ীতে বললে,স্হানীয়দের সহয়তায় ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত লিমা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুর গ্রামের মৃত ওসমান মুন্সীর মেয়ে বলে জানতে পারি।শিবচর দওপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ ইনর্চাজ মাইনুল ইসলাম বলেন,স্হানীয়দের সহায়তায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত নামা একট কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছি।নিহতের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা
টঙ্গীতে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।সংঘর্ষের সময় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা কোম্পানি থেকে ৩০ তারিখ মাল (জুট) নামাবো। এই তথ্য পেয়ে হুমায়ূন কাজী কোম্পানিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।হুমায়ুন কাজী বলেন, ‘স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান নূর এন্টারপ্রাইজের চুক্তি হয়েছে। গত ১০ আগষ্ট থেকে কারখানাটির ওয়েস্টেজ আমরা নিচ্ছি। আজ সকালে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আমাকে ডাকলে আমি কোম্পানিতে যাই। এই খবর পেয়ে তাদের লোকজনের সাথে আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এবং কারখানার গেটের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের এটনা ঘটায়।এব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মােল্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন, এ বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি। সঠিক তথ্য ও প্রমাণ পেলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা