ছবি- ভোরের আকাশ
সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি প্রদান এবং খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বরের শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হলে সংখ্যানুপাতিক ভোট পদ্ধতি চালু করা জরুরি। এতে জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুর বখত মিঞা, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, আব্দুস সালাম, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আশিকুর রহমান, মুহাম্মাদ কাজীউল সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সরদার কামরুজ্জামান চানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, সরদার কামরুজ্জামান চানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বে শিকদারমল্লিক ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও জনসেবামূলক কার্যক্রম ছিল প্রশংসনীয়।বক্তারা আরও বলেন, একজন জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা হিসেবে চান সাহেব সর্বদা দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। তাই তার গ্রেফতার শুধু একটি ব্যক্তিকে নয়, পুরো এলাকায় বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কদমতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন শেখ, দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক শেখ, ১ নং শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন হাওলাদার ও ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৈত্রী রানী বেপারী।তারা অবিলম্বে সরদার কামরুজ্জামান চানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানান। ভোরের আকাশ/হ.র
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখা।আজ শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পৌরসহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার সামনে এসে শেষ হয়।মিছিল-পূর্বক সমাবেশে মঠবাড়িয়া উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর -৩) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল জলিল শরীফ, উপজেলা মিডিয়া বিভাগের সভাপতি পৌর জামাতের সেক্রেটারি আবুল বাশারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাবেক জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান , পৌর জামাতের আমির আব্দুল মালেক মীর, টিকিকাটা ইউনিয়নের জামায়াতের আমির হাফেজ শহিদুল ইসলাম, বেতমোর ইউনিয়নের সভাপতি এস এম মজিবুর রহমান প্রমুখ। ভোরের আকাশ/হ.র
বরগুনার বেতাগীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং শহরের প্রদানসড়কগুলো প্রদর্ক্ষিন করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।শুক্রবার সকাল ১০ টার বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌর শহরের প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মসজিদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।বিক্ষোভ মিছিলশেষে বক্তারা বলেন, জুলাই সনদ দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে শক্তিশালী করার অন্যতম দলিল। এর মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মতামত ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। বর্তমান ভোটাধিকার সংকটে জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি প্রদান এবং সেই ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করা সময়ের দাবি। তারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন মহল জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।মিছিলশেষে সমাবেশে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির বলেন,' আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রতিফলিত হবে। এতে কোনো একটি দল প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না এবং সংসদে ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। বক্তারা দাবি করেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জুলাই সনদকে কার্যকর করা ছাড়া বিকল্প নেই।এসময় উপজেলা জামায়াতে ইসালামী সেক্রেটারী প্রভাষক মো. শহাদাৎ হোসেন মুন্না বলেন, দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে ভোট আয়োজন জরুরি। অন্যথায়, ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না।এসময় উপস্থিত ছিলেন হোসনাবাদ ইউনিয়ন সভাপতি মাস্টার নাসির উদ্দিন, মোকামিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ফুয়াদ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বেতাগী পৌর জামায়াতে সেক্রেটারি মোল্লা মাসুম।এছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। ভোরের আকাশ/হ.র
রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের উন্নয়নে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানেনি বিবাদীরা। রুল জারির সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কর্মপরিকল্পনা আদালতে জমা দেওয়া হয়নি।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) মামলার বিবাদীদের—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণের আহ্বান জানায়।বেলার আইনজীবি এস হাসানুল বান্না জানান, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শ্যামাসুন্দরী খালের মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, দখলদার উচ্ছেদ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য তিন মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি।বেলার পরিদর্শনে দেখা গেছে, খালের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা, দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ, পানি প্রবাহে বাধা, ড্রেনের মাধ্যমে তরল বর্জ্য ফেলা, প্লাস্টিক ও পয়ঃবর্জ্য মিশে পঁচা ডোবায় পরিণত হওয়ার মতো সমস্যা চলমান রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বেলার করা রিটের জবাব প্রোপার চ্যানেল অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। খালের উন্নয়নে ‘রংপুর সদর উপজেলাধীন শ্যামাসুন্দরী খালের পুনঃখনন, দূষণরোধ ও বনায়ন কাজ’ শীর্ষক প্রকল্প ১৪ আগস্ট অনুমোদন পেয়েছে এবং চলতি মাসের ৯ তারিখে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শুরু হবে।উল্লেখ্য, শ্যামাসুন্দরী খাল রংপুর নগরীর প্রায় ১৩৪ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাল। ১৮৯০ সালে তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান জানকি বল্লভ সেন তাঁর মা শ্যামাসুন্দরীর স্মরণে খালটি পুনঃখনন করেছিলেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৫.৮০ কিলোমিটার, প্রস্থ ২৩ থেকে ৯০ ফুট। নগরীতে অবৈধ স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবর্জনা ফেলার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং জলজ প্রাণী হ্রাস পাচ্ছে। ভোরের আকাশ/হ.র