ছবি : ভোরের আকাশ
গাজীপুরে সাফারি পার্কের সর্বশেষ জিরাফটির মৃত্যু হয়েছে। টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে পার্কের মধ্যেই জিরাফটি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জিরাফটির মৃত্যু হলেও আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানানো হয়। এ জিরাফটির মৃত্যুর মধ্যদিয়ে জিরাফ শূন্য হলো গাজীপুর সাফারি পার্ক।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবত সাফারি পার্কের সব শেষ জিরাফটি টিবি আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিল। জিরাফটিকে সুস্থ করতে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ডের সবশেষ চেষ্টা ব্যর্থ করে গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পার্কের ভেতরেই মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর জিরাফটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপর পার্কের ভেতরেই জিরাফটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়। এই জিরাফটির মৃত্যুর মাধ্যমে পার্কটি জিরাফ শূন্য হয়ে পড়েছে হয়ে পড়লো।
জিরাফ মৃত্যুর ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আব্দুল বারিক।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ আনা হয়। আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে জিরাফগুলো আমদানি করে কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও চারটি জিরাফ বাচ্চা দেয়। অন্যদিকে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রোগাক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ একটি স্ত্রী জিরাফ টিকে ছিল। একটির মৃত্যুর পর পার্কে আরো কোন জিরাফ রইলো না বলে জানিয়েছেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক রহমান।২০১৭ সালের পর দফায় দফায় জিরাফে মৃত্যু পার্কের কারও গাফলতি ছিলো কিনা এ বিষয়টি এড়িয়ে যান পার্ক কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রা ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশে মিলিত হয়।উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ফরিদুল আলম বুলুর নেতৃত্বে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম বুলু, যুবদল নেতা কবির হোসেন সরকার, আকরাম হোসেন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মহিবুর রহমান, তরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন অ্যাপোলো, চাঁদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বারিষাব ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বুলবুল প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে সম্প্রতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন তার অনুসারীদের নিয়ে পৃথকভাবে একটি বিশাল শোভাযাত্রা করেন। তিনি বলেন, “দলের কিছু নেতার ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আশা করি দ্রুত ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। দীর্ঘদিন আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেছি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বহু হামলা ও মামলা সহ্য করেছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুসারীদের অনুরোধে আমি ঘরে বসে থাকতে পারিনি। আশা করি দল আমার ব্যাপারে সুবিচার করবে।”ভোরের আকাশ//হর
খুলনার দৌলতপুরে ২০০৯ সালের চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যার মামলায় আদালত ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ইমামুল কবীর জীবন (পলাতক), রাজ, শহীদ শাহারিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, সোয়েব সুমন (পলাতক), শাকিল (পলাতক) এবং তুহিন। এ ছাড়া মামলায় কুটি ও শামীম খালাস পান।২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি, দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সন্ত্রাসীরা পারভেজ হাওলাদারকে গুলি ও কোপ দিয়ে হত্যা করে। পারভেজকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের ওপরও গুলি চালায়। এ ঘটনায় সুপর্না সাহাসহ কয়েকজন আহত হন, হাসপাতালে নেওয়ার পর সুপর্না মারা যান।পারভেজের বাবা নিজাম উদ্দিন ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।ভোরের আকাশ//হর
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে খুলনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনারের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন,> “ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার প্রসারই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চাবিকাঠি। নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে Bangla QR পেমেন্ট সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরও যোগ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে আধুনিক পেমেন্ট সিস্টেম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও বাংলা কিউ আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. রুকনুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা।সেমিনারে ডিজিটাল লেনদেন সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার্থে একই দোকানে সার ও বীজ বিক্রয়ের অনুমতি প্রদানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা বিএডিসি বীজ ডিলাররা। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিএডিসি বীজ ডিলার টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলার বিএডিসি বীজ ডিলাররা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মোঃ আরিফুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক বিপ্লব হোসেন, সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১০ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বীজ ডিলার ১ বছর পর সার ডিলারে রূপান্তরিত হতে পারবে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে সারের ডিলারশিপ পাননি তারা। সারের ডিলারশিপ পেলে কৃষকরা একই জায়গা থেকে সার ও বীজ কিনতে পারবে, ফলে কৃষকরাও উপকৃত হবে। কৃষকদের সারের জন্য তখন আলাদা আলাদা দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কৃষকের চাওয়া-পাওয়া যেহেতু বিএডিসির মানসম্মত বীজ ডিলাররা পৌঁছে দেন, তাই যদি একই দোকান থেকে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়, তাহলে কৃষকরা অনেক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। তারা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটাই দাবি কৃষকের সুবিধার্থে বিএডিসির বীজ ডিলার থেকে সার ডিলারের নিবন্ধন যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বীজ ডিলাররা । ভোরের আকাশ//হর