নাটোরে বাসের ধাক্কায় ট্রাকের হেলপার নিহত, আহত চালক
নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের হেলপার রবিউল ইসলাম (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ট্রাকচালক আশরাফুল আলম।
বুধবার (৪ মে) দুপুরে দত্তপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রবিউলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোরজুন এলাকায় এবং আহত চালক আশরাফুলের বাড়ি একই জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায়।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাক দত্তপাড়া এলাকায় এসে চাকা পাংচার হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এরপর চালক ও হেলপার চাকা পরিবর্তনের কাজ করছিলেন। এ সময় কুষ্টিয়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন দিক থেকে এসে ট্রাকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হেলপার রবিউল ইসলাম। গুরুতর আহত চালক আশরাফুলকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা ও পৌরসভায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ৩০০ অসহায় ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করা হয়েছে।এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ এর উদ্যোগে এই গোস্ত বিতরণ খরা হয়।রবিবার সকাল থেকে গাংনীর বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় গিয়ে এসব গোস্ত পৌঁছে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় নেতারা। কোরবানির এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে সাকিল আহমাদ জানান, “আমরা চাই, ঈদের আনন্দ সবাই ভাগ করে নিক। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেন এই খুশি থেকে বঞ্চিত না হয় — সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা, যারা পুরো প্রক্রিয়া সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করেন।উল্লেখ্য, ঈদুল আযহার প্রথম দিনেও একইভাবে ২৫০ পরিবারের মধ্যে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করেছিল এনসিপি মেহেরপুর।নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামস যুক্ত ছিলেন আমির হামজা, শামীম আহমেদ আজম, আকাশ প্রমুখ।এ ধরণের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।ভোরের আকাশ/আজাসা
সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাহাড়কুল এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সমাজের প্রধানসহ ৬ জনকে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মো. ইদ্রিস (৬০), মো. ছাবের হোসেন (২৭), মো. মুরাদ হোসেন (২৬), মোহাম্মদ জুনায়েদ (২৫), মাহমুদুল হক (৫৫) এবং শাফায়াত উল্লাহ (২৬)।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে পাহাড়কুল এলাকায় মাদক সেবন করে মহিলাদের ইভটিজিং, ঘরের চালায় ঢিল ছোড়া, অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছিল স্থানীয় মহিউদ্দিন, ছৈয়দ আমিন (মিয়ানমারের নাগরিক), জামাল, মিনহাজ, জসিম, আজিজ, আরফাত, জমির, মনির (খুনের আসামি), আমির হামজা, উত্তর ছদাহার আনোয়ার শহীদ, সিফাতসহ বেশ কয়েকজন মাদকসেবী। গত ৬ জুন মাদকাসক্ত অবস্থায় তারা একই কাজ পুনরাবৃত্তি করায় স্থানীয়ভাবে সমাজ প্রধান মো. ইদ্রিস মৌখিকভাবে নিষেধ করেন।একইসাথে রবিবার সালিশ (সামাজিক বৈঠক) করার নির্দেশ দেন। রবিবার সালিশের সময় আসলে স্থানীয়রা বৈঠকে যাওয়ার জন্য নতুন পাড়া (পাহাড়কুল) জামে মসজিদের পাশে চায়ের দোকানে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় মাদকসেবীসহ দুর্বৃত্তরা। এতে ১৫০ থেকে ১৬০ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহতরা।সমাজ প্রতিনিধি ও আহত মো. ইদ্রিস বলেন, আজকে সামাজিকভাবে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার কথা ছিল। ঘটনাস্থলে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। আজকে মাদক, ইভটিজিংসহ নানা বিষয়ে সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু ইউপি সদস্যের কথায় সালিশের সময় একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে মাদকসেবিদের একটা গ্রুপ শর্টগান দিয়ে আমার উপর তেড়ে আসে। আমার স্ত্রী এবং পূত্রবধূর উপর হামলা চালিয়ে ঘরের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। বৈঠকে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকের মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই করে নেয়। আমি তিনজনের হাতে শর্ট গান দেখেছি। কিছু দূরে আরও একটি গ্রুপ ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ভীতি ছড়াচ্ছিলো। তারমধ্যে একজন আমার মাথায়-গায়ে বেধড়ক মারধর করে, এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কয়েকজনের সহায়তায় এবং আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত মো.আয়াতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাদের পক্ষে থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে।রোববার (৮ জুন) দুপুরে নিজ এলাকা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘১৬ বছর আমাকে আপনাদের সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। এ সময়ের মধ্যে অনেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের সামনে উপস্থিত হতে পারলে ভালো হতো।’সাবেক সরকারের কঠোর সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাকে তিনবার দীর্ঘ সময় জেলে রাখা হয়েছে। গুম করা হয়েছে অনেককে। সিলেটের ইলিয়াস আলী আজও নিখোঁজ। সে বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে- তার পরিবারও জানে না।’তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে। ভয় আর নিপীড়নের মধ্যে মানুষ কথা বলার সাহস হারিয়েছে। অথচ সেই সময়ও বলা হতো, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল!’৩০০ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি সারাদেশেই নির্বাচন করবো। যারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে, আমি তাদের সঙ্গেই থাকব।’উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, ঢাকার পল্টন থানা জামায়াত আমির শাহীন আহমেদ খান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, শ্রীপুর জালালিয়া দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক, প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মনির উদ্দিন চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির দফতর সম্পাদক এনামুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আল্লাহর রহমত এবং দেশের মানুষের অগাধ ভালোবাসার ম্যান্ডেটেই বিএনপি আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে এটা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।রোববার (৮ জুন) দুপুরে ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট বাজারে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।সভায় তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুত দেশের রাজনৈতিক সংস্কার সম্পন্ন করে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।নয়ন বলেন, অনেক বছর পর বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। আমরা বিশ্বাস করি, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংবিধানিক শাসন আবারও প্রতিষ্ঠিত হবে।চরফ্যাশন ও মনপুরার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নয়ন বলেন, আপনারা আমাদের আপনজন। বিএনপিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ দেখতে চাই, এবং সেটিই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের প্রতিটি মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি দলকে সুসংগঠিত রাখছেন, দিচ্ছেন দক্ষ ও সক্রিয় নেতৃত্ব।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যা বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধস নামায়। কে আপন আর কে পর, সেটা মুখ্য নয়—জনগণের পক্ষে যিনি কাজ করবেন, তিনিই আমাদের আপনজন। আর যিনি দুর্নীতি, দখলদারিত্ব বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকবেন, তিনি যতই ঘনিষ্ঠ হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থান নেবে। তবে আইন নিজেদের হাতে তুলে না নিয়ে, আইনের মাধ্যমেই তাকে প্রতিহত করা হবে—এটাই আমাদের পথ।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হেলাল উদ্দিন টিপু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সোহেল, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সিকদার এবং চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল গোলদারসহ স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী।পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নয়ন নদীভাঙন কবলিত চরফ্যাশনের নীলকমল ইউনিয়নের মুন্সীরহাট এলাকা পরিদর্শন করেন।পরে তিনি শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচা থানার বিভিন্ন স্থানে গিয়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ