প্রেমঘটিত কারণে বাড়ছে উদ্বেগ
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৬ পিএম
ফেনীতে এক মাসে ৩১ কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ
ফেনীতে গত এক মাসে ৩১ জন কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও ৭ জন কিশোর রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশের পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামসুজ্জামান জানান, রমজান মাসে থানায় নিখোঁজ হওয়া ৩১ জন কিশোর-কিশোরীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং অধিকাংশই প্রেমঘটিত কারণে ঘর ছেড়েছিল। অপরদিকে, কিশোরদের কেউ কেউ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ মার্চ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় জিডির পর দুদিনের মধ্যে পুলিশ তাকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, পাশের বাসার এক কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এক কিশোরের অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে আমরা থানায় জিডি করি। পরে উদ্ধার করে জানতে পারি সে প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে বাড়ি ছেড়েছিল।
ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার হওয়া দুটি ঘটনায় টিকটক ও ফ্রি-ফায়ার গেমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা ঘর ছাড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ওসি শামসুজ্জামান বলেন, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশ ও চলাফেরার ওপর অভিভাবকদের নিয়মিত নজরদারি জরুরি। প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এবং অভিভাবকদের উদাসীনতা এমন ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রেমঘটিত কারণে বাড়ছে উদ্বেগ
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ ঘন্টা আগে
আপডেট : ২৩ ঘন্টা আগে
ফেনীতে এক মাসে ৩১ কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ
ফেনীতে গত এক মাসে ৩১ জন কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও ৭ জন কিশোর রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশের পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামসুজ্জামান জানান, রমজান মাসে থানায় নিখোঁজ হওয়া ৩১ জন কিশোর-কিশোরীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং অধিকাংশই প্রেমঘটিত কারণে ঘর ছেড়েছিল। অপরদিকে, কিশোরদের কেউ কেউ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ মার্চ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় জিডির পর দুদিনের মধ্যে পুলিশ তাকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, পাশের বাসার এক কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এক কিশোরের অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে আমরা থানায় জিডি করি। পরে উদ্ধার করে জানতে পারি সে প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে বাড়ি ছেড়েছিল।
ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার হওয়া দুটি ঘটনায় টিকটক ও ফ্রি-ফায়ার গেমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা ঘর ছাড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ওসি শামসুজ্জামান বলেন, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশ ও চলাফেরার ওপর অভিভাবকদের নিয়মিত নজরদারি জরুরি। প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এবং অভিভাবকদের উদাসীনতা এমন ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ