ছবি: ভোরের আকাশ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে পারফরমেন্স বেজড গ্রেন্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিম (এসইডিপি) এর আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের এসএসসি ও এইচএসসির শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আল মামুন তালুকদারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম।
কামড়া মাশক ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহা. হারুনুর রশীদ মোল্লার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল আরিফ সরকার, কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের অধ্যক্ষ শাহজাহান কবির। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দিগদা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, ইকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নূরুজ্জামান মোড়ল, বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, ফুল বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন প্রধান, রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী মনসুর, কৃতি শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী তৈয়বা আক্তার নূর প্রমুখ।
উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ ও ২৩ সালে উর্ত্তীণ ৩৪জন কৃতি শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সংবর্ধনা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) এর অধীনে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পর্যায়ে পরিচালনা ও জবাবদিহিতার জন্য অনুদান প্রদানের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায়, নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে "উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরষ্কার" এবং "উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরষ্কার" এর মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করা।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আজিমপুর ফুড গোডাউনের ভিতর চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১১ কেজি ভারতীয় দানাদার রুপাসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার (২৬ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালানবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলো, দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকার ইকরামুল হকের ছেলে মো. রাজিউল ইসলাম (৩৭) ও দর্শনা আনোয়ারপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাগর আলী (২১)। চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলী শনিরার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে এক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান রুপা আটকের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা মোতাবেক বিজিবির একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত মেইন পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ২ কি.মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দামড়ুহুদা উপজেলাধীন দর্শনা আজিমপুর ফুড গোডাউনের ভিতর চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা গোডাউন এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল দু’জন চোরাকারবারিকে আটক করে।আটককৃত ব্যক্তি মো. রাজিউল ইসলাম ও মো. সাগর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিশেষ তথ্যের আলোকে বিজিবি আভিযানিক দল গোডাউনটি তল্লাশি করে একটি কাগজের কাটুন উদ্ধার করে। যার মধ্যে ১০ কেজি ৮৩৮ গ্রাম ভারতীয় দানাদার রুপা পাওয়া যায়।এ সময় চোরাকারবারিদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ২৬ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৮ টাকা।এ ঘটনায় আটককৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে নায়েব সুবেদার মো. এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের পূর্বক চোরাকারবারীদেরকে থানায় হস্তান্তর এবং জব্দকৃত ভারতীয় রুপা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চা পাতার ভর্তা আর আটার রুটি খেয়েই চলে দিন- এই কথাটি যেন মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিকদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রম আর ন্যূনতম উপার্জনের মধ্যেই টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্মছড়া চা বাগানের দৃশ্য ছিল এমনই। চা পাতা তোলা শেষ করে ওজনের অপেক্ষায় ছিলেন নারী শ্রমিকরা। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত টানা পরিশ্রমের পরও তাদের পাতে ওঠে না পুষ্টিকর খাবার। বরং সেই পুরোনো রুটিন- আটার রুটি, মুড়ি আর চা পাতার ভর্তা।চা শ্রমিকদের দৈনন্দিন খাবার বলতে গেলে, সকালে কেউ খেয়ে আসে, কেউ বা সময়ের অভাবে নিয়ে আসে খাবারের পোটলা। মধ্যাহ্নের আহারে সাধারণত থাকে পান্তা ভাত, রুটি, মুড়ি, পেঁয়াজ, রসুন, লবণ আর সেই বিশেষ ‘পাতিচখা’ চা পাতার ভর্তা। যা তাদের কর্মঘণ্টার মাঝে ক্ষুধা মেটায়, তবে পুষ্টি জোগায় না।সিলেট বিভাগের পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯২টি চা বাগান। এখানকার বহু নারী শ্রমিক প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন। সংসার, সন্তান, রান্না শেষে মাঠে গিয়ে চা পাতা তোলা তাদের দিন শুরু হয় এমনই এক চক্রে।মাধবপুর চা বাগানের কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, এভাবে চলতে হচ্ছে অনেক বছর ধরে। খেয়ে না খেয়ে কাজ করতে হয়। কাজ না করলে আয় হয় না, আয় না হলে সংসার চলে না। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই অপর্যাপ্ত। ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ আবাসন ও শিক্ষার সুযোগ এখনও বহু শ্রমিকের কাছে অধরা।এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, প্রশাসন থেকে শ্রমিকদের সব সময় সহযোগিতা করা হয়। তারা বিভিন্ন সময় অসুস্থ ও সমস্যায় থাকেন। প্রশাসন তাদের খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে থাকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নওগাঁর রাণীনগরের করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।রোববার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এক পরিচিতি সভার মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নতুন সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।এর আগে চলতি মাসের ২০ তারিখে উপজেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব রাণীনগরের সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)কে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদন প্রদান করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকরা বিদ্যালয়টির আরো উন্নয়নকল্পে করনীয় বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়কে কিভাবে আরো শিক্ষাবান্ধব করা যায় এবং শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করে একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে অত্র অঞ্চলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে আরো শক্তিশালী করতে সবাই একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
কুমিল্লা সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ চোরাচালানের পণ্য উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরে জেলার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবি ভারতীয় বাজি ও চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করেছে। জানা গেছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। গতকাল দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আওতাধীন শিবের বাজার বিওপি’র বিশেষ টহলদল দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।অভিযানে সীমান্তের ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি টহল দল কর্তৃক মালিকবিহীন অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪০০ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় বাজি এবং ৪২ ড্রাম চিংড়ি মাছের রেণুসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। যার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ