সাভারে বিএনপির বৈশাখী শোভাযাত্রা
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা হয়েছে সাভারে। গতকাল সকালে সাভার পৌরসভার ছায়াবীথি এলাকা থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে এই আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: খোরশেদ আলম এর আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা: দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
এ সময় তারা রংবেরঙের পোশাক পরে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ উল্লাসের সাথে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
আনন্দ শোভাযাত্রায় বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোবারক হোসেন (৭) নামে এক শিশুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা নূরুল আমিনকে (৩৫) আটক করেছে ঈশ্বরগন্জ থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের বৃ-কাঁঠালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নূরুল আমিন ওই গ্রামের ইছব আলীর ছেলে।নিহত শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায় , নিহত শিশুটি মোবারক হোসেন সোহাগি বাজারেই অবস্থিত স্বপ্নসিঁড়ি নামে একটি কিন্ডারগার্টেনে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশেই বৃষ্টিতে ভিজছিল মোবারকের বাবা নূরুল আমিন। এ সময় ছেলে মোবারক ঘর থেকে একটি ছাতা নিয়ে বাবার মাথায় ধরতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাথায় কুপ দেন। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মোবারক হোসেনকে উদ্ধারকরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোবারকের মৃত্যু হয়।এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নূরুল আমিনের পিতা ও নিহত শিশুর দাদা ইছব আলী ভাষ্য, নূরুল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।এর আগে চিকিৎসাও করানোয় ভালো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তুু কিছু দিন ধরে সমস্যাটি আবার দেখা দিয়েছে নুরুল আমীনের। এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারাও বলেন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন নুরুল আমীন।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নূরুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। নূরুল আমিন অসুস্থ থাকায় তাকে পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নাটোরের সিংড়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শেরকোল এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি পেট্রোল টিম ও সিংড়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী।সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালীন সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪০)। পরে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ আটককৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিংড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, মাদকবিরোধী এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এলাকায় মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সিংড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তারুণ্যের ছোঁয়ায় বদলে যাক বাংলাদেশ- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর ধানঘড়া এলাকায় দুই দিন ব্যাপি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।ইউথ ফর বাংলাদেশ গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে উত্তর ধানঘড়া-বল্লমঝাড় রোড়ে এক কিলোমিটার এলাকায় কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন রাকিব মিয়া, মনির হোসেন, রিদয় মিয়া, রোকন হাসান, মিথুন মিয়া, ছকু মিয়া, শান্তসহ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ গেল এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপটিকে আবার কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে। এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের ইউনিয়ন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির পাকের ঘরে একটি ইদুরের গর্তে বাসা বাধে একটি কিং কোবরা সাপ। সাথে ছিলো ১৫-১৬টি সাপের বাচ্চাও। খাল খুড়ে সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর বড় সাপটি ধরে ফেলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন। সাপটি বস্তায় ঢোকানের আগেই হাতে ছোবল দেয় সেটি। প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তারাও এসে বলেন, রুগি মারা গেছেন। মোজাহার নামক একজন ওঝা বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাচায় চিবিয়ে খান তিনি।এসময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভির জমান। মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। এলাকায় মোজাহার সাপ খাওয়া মোজাহার নামে পরিচিত। তিনিও সাপ ধরেন ও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেয়ার আগে তিনি খবর পান এবং সাপের পরিচয় পাওয়ার পর বলেছেন তিনি বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর মোজাহারকে ফোনে ডেকে আনেন বয়েজ উদ্দিনের স্বজন। এখানে এসে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো। তিনি আরোও জানান, কাচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস।এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেচে আছে সন্দেহে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাঁড়ফুক চলছে বলে জানা যায়।এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম.আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাড়ফুকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টি ভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরোও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশী। সাপে কাটলে সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ