বেঙ্গল বিল্ডার্সের তিন কর্মকতাকে অপহরণ
নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নোয়াখালীর মাইজদীর সন্ত্রাসী খালিদ কর্তৃক তারা অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
হাতিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তারা অপহরণের শিকার হন। তাদের মাইজদীর নবাব হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপহৃতরা হলেন- এইচ এম আফজাল হোসাইন (জেনারেল ম্যানেজার), মো. রাসেল মাহমুদ (ম্যানেজার) ও রাকিব (ইঞ্জিনিয়ার)।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মাধ্যমে বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড প্যাকেজ-১১ ও ১৩ নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুটি প্রকল্পে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নলের চর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে ৭৫৪ মিটার জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারী কাজ পায়। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান। চলতি বছরের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারকির জন্য বেঙ্গল বিল্ডার্সের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি প্রকল্প এলাকায় দায়িত্বরত।
এদের মধ্যে মো. রাসেল মাহমুদ ও রাকিব বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তাদের এগিয়ে দিতে আসেন এইচ এম আফজাল হোসাইন। নোয়াখালীর সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা আসার পথে বেঙ্গল বিল্ডার্সের ওই তিন কর্মকতার পথ আটকে দেন সন্ত্রাসী খালিদের নেতৃত্বে ২০/২২টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ৪০/৫০ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নোয়াখালীর মাইজদীর সন্ত্রাসী খালিদ কর্তৃক তারা অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।হাতিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তারা অপহরণের শিকার হন। তাদের মাইজদীর নবাব হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপহৃতরা হলেন- এইচ এম আফজাল হোসাইন (জেনারেল ম্যানেজার), মো. রাসেল মাহমুদ (ম্যানেজার) ও রাকিব (ইঞ্জিনিয়ার)। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।জানা যায়, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মাধ্যমে বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড প্যাকেজ-১১ ও ১৩ নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুটি প্রকল্পে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নলের চর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে ৭৫৪ মিটার জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারী কাজ পায়। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান। চলতি বছরের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারকির জন্য বেঙ্গল বিল্ডার্সের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি প্রকল্প এলাকায় দায়িত্বরত।এদের মধ্যে মো. রাসেল মাহমুদ ও রাকিব বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তাদের এগিয়ে দিতে আসেন এইচ এম আফজাল হোসাইন। নোয়াখালীর সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা আসার পথে বেঙ্গল বিল্ডার্সের ওই তিন কর্মকতার পথ আটকে দেন সন্ত্রাসী খালিদের নেতৃত্বে ২০/২২টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ৪০/৫০ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বর্তমানে সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিনিয়রদের টপকে সচিব হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক তিন প্রতিমন্ত্রীর এই একান্ত সচিবকে সচিব করতে ডিও লেটার দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।তোফাজ্জেল হোসেনের ব্যক্তিগত তথ্যবিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর থকে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই মন্ত্রণালয়ে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও আওয়ামী প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২২ জুন পর্যন্ত পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এদিকে আওয়ামী সুবিধাভোগী অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাকে পূর্ণসচিব করতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেসুর রহমানকে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা ওই ডিওতে ফরিদা আখতার লিখেছেন, ‘প্রিয় সিনিয়র সচিব, আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা জনাব মো. তোফাজ্জেল হোসেন (পরিচিতি নং-৬৩০৫) গত ৩১.১২.২০২৪ খ্রি. হতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি বিগত ১১.০১.২০২৩ খ্রি. তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে অতিরিক্ত সচিব পদে এ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং তাকে পরিকল্পনা অনুবিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমার দেখা মতে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সততার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন।উল্লেখ্য, বদলিজনিত কারণে এ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদটি শূন্য হলে মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে কাজের অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক সচিবের রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।’চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘মো. তোফাজ্জেল হোসেনের মতো একজন মেধাবী এবং প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদায়ন করা হলে তিনি স্বীয় মেধা, সততা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনসহ উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন মর্মে আমি বিশ্বাস করি। এমতাবস্থায় মো. তোফাজ্জেল হোসেন (পরিচিতি নং-৬৩০৫)-কে সচিব হিসাবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়ের প্রয়োজন হলে এ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে অন্য কাউকে পদায়ন না করে তাকে আপাতত এ রুটিন দায়িত্বে রেখে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’এদিকে সম্প্রতি এই ডিও লেটার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকার নায়ের সায়ের খান একটি পোস্ট দেন। এক ঘণ্টার মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ওই পোস্টে অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল হোসেনকে ওএসডি করারও দাবি উঠেছে। এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। তিনি লিখেছেন, পদোন্নতির একটি সিস্টেম আছে। সচিব পদে পদোন্নতির জন্য কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপদসহ কমিটি আছে। যার নাম এসএসবি কমিটি। ডিও লেটারে পদায়ন হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়। সচিব পদে পদোন্নতির ডিও লেটার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। কে জানে! এসএসবি বাদ দিয়ে মোখলেস স্যার ডিও লেটার দেখে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর সচিব করার জন্য ফাইল পাঠিয়েও দিতে পারেন। এটা উপদেষ্টা করলেও সুস্পষ্ট তদ্বির। কর্মকর্তার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’এদিকে তোফাজ্জেল হোসেনের জন্য দেওয়া এই ডিওকে উদ্দেশে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সমন্বয় ও এনসিপি নেতা সারজিস আলমের পোস্টে একটি মন্তব্য করেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিস কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নাজমুল হুদা।গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ওই সারজিস আলমের একটি পোস্টে তিনি লেখেন ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন ভাইয়া’। অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেলকে দেওয়া ডিওকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই মন্তব্যের জের ধরেই পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারিতে সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নাজমুল হুদাকেও।সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ নামক একটি প্রকল্পে ‘ফায়ার ফাইটিং সিমুলেটর’ এর জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা টেন্ডার সিকিউরিটি দেওয়ার কথা থাকলেও যে প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ টাকা টেন্ডার সিকিউরিটি দেয় তাকেই কাজটি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একটি অভিযোগও করা হয়। এ দরপত্র অনুমোদন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল এর হাত ধরেই হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সে ছিল আওয়ামী সুবিধাভোগী। এখন আবার সেজেছে সংস্কারপন্থি। অথচ সে কোথায় কোথায় পোস্টিং পেয়েছিল সেসব কিছু মুছে যায়নি। সে সচিব হতে এখন মরিয়া হয়ে আছে। অনেক সিনিয়ররা সচিব হতে পাইপলাইনে থাকলেও সেই এই পদটি পেতে যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করছে।এদিকে এ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদেরই গর্ভধারিণী মা। ঢাকার ভাটারায় গাড়িতে করে এসে ভিকটিমের বাসার সামনে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন কিছু ঘটনায় জনমনে বেড়েছে আতঙ্ক।অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কমেছে অপরাধের সংখ্যা। সংখ্যায় কমে এলেও যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে তা বেশ রোমহর্ষক ও ভীতিকর। চলতি মাসের (এপ্রিল) বেশ কিছু অপরাধমূলক ঘটনা সাধারণ মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। এসব ঘটনায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সফলতা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার পাশাপাশি ‘সামাজিক আন্দোলন’ গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করছেন তারা। অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এমন বীভর্ৎস্য অপরাধ প্রবণতা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা অপরাধ বিশ্লেষকদের।তারা বলছেন, দেশে এমন একটি চক্র গড়ে উঠেছে, যারা অপরাধ সংঘটনকে তাদের আয়-উপাজর্নের উৎস মনে করছে। গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় মালিহা আক্তার (৬) ও আবদুল্লাহ বিন ওমর (৪) নামের দুই ভাই-বোনকে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে মা সালেহা বেগম কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।গত শুক্রবার রাতে সালেহা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা তা এখনও জানা যায়নি। নিহত মালিহা আক্তার ও আবদুল্লাহ বিন ওমরের বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বাতেন। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়।গতকাল শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি, কেন বা কী কারণে দুই সন্তানকে তাদের মা হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন গ্রেপ্তার ইয়াছিন আলী।গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুর রহমানের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। ওই মামলার আসামি ইয়াছিন আলী নিহত লামিয়ার স্বামী ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।জবানবন্দির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপ্না আক্তারের হাত থেকে বঁটি নিয়ে লামিয়ার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে লামিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বপ্না আক্তার চিৎকার শুরু করলে তাকেও বঁটি দিয়ে হত্যা করেন ইয়াছিন। পরে নিজের সন্তান আবদুল্লাহ্ রাফসানকে গলার তাবিজের সুতা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।পুলিশের ভাষ্য, লামিয়াকে গলা কেটে হত্যা, লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে গলা ও হাত-পা কেটে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে এবং লামিয়ার চার বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ রাফসানের হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে চেইন-ব্যাগ ছিনতাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।গত ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতের এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন। গত ১৬ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের পরদিন গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মুখ ঝলসানো অবস্থায় শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়। সে ছিল স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মৌসুমী বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে স্বামী বাছির আহমদ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে গতকাল শনিবার এই ঘটনা ঘটে।অপরাধ বিশ্লেষকরা যা বলেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, যখন কোনো এলাকাতে ভাসমান জনগোষ্ঠী অথবা প্রান্তিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের বসবাস বা ঘনত্ব বেশি হয়, তখন সেই এলাকায় নানামুখী অপরাধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় অপরাধীরা ভাসমান মানুষকে দলে ভিড়িয়ে নিজেদের সিন্ডিকেট আরও মজবুত করে।ড. তৌহিদুল হক বলেন, বর্তমান সময়ে অপরাধ প্রবণতা, ডাকাতি, অপহরণ, সহিংসতা, সংঘাত, খুন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এই ধরনের অপরাধগুলো অনেক কমে আসার কথা- এটাই আমরা প্রত্যাশা করেছি। একটি রাজনৈতিক দলের সরকারের পতনের পর নতুন যে অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসেছেন তাদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পরিপূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি। দেশে একটি চক্রই তৈরি হয়েছে যারা অপরাধটি তার আয়-উপাজর্নের উৎস মনে করছে।তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই বলছেন তারা এখনো পরিপূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছে না। দেশে সামান্যতম পরিস্থিতি তৈরি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে আমরা যতই আলোচনা-সমালোচনা করি না কেন, তাদের ওপরই নির্ভর করতে হয়। সেই নির্ভরতার জায়গা থেকে তাদের যে জুলাই বিপ্লবের পরে পূর্ব-প্রস্তুতি, অবস্থান-মর্যাদা, নৈতিক মনোবল বা সংকটকে দূরীভূত করার প্রস্তুতি বা এই অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য যে ব্যবস্থা, মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের যে সমন্বয়টা এই জায়গাতে ঘাটতি রয়েছে।নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুনীরুজ্জামান বলেন, যখনই সরকারি অস্ত্র বা অন্য কোনো সরঞ্জাম হারিয়ে যায় তখন আর সেটি ফেরত পাওয়া যায় না। সেগুলো ভুল হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং নিরাপত্তার জন্য বড় শঙ্কা তৈরি করে। এগুলো আমাদের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি থাকবে। আর যতদিন পর্যন্ত সেগুলো উদ্ধার করা না যাবে সেই ঝুঁকি থেকে যাবে। অস্ত্র উদ্ধারে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, সেটিতে পুরোপুরি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। তাই আরও জোরদার অভিযান চালাতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মামুন মিয়া (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত হলেন মুন্সিরগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে আব্দুল রশিদের ছেলে মামুন।সোনারগাঁয়ের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনার সময় ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজুল রহমান জানান, ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বেঙ্গল বিল্ডার্সের তিন কর্মকতাকে অপহরণ
নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নোয়াখালীর মাইজদীর সন্ত্রাসী খালিদ কর্তৃক তারা অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
হাতিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তারা অপহরণের শিকার হন। তাদের মাইজদীর নবাব হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপহৃতরা হলেন- এইচ এম আফজাল হোসাইন (জেনারেল ম্যানেজার), মো. রাসেল মাহমুদ (ম্যানেজার) ও রাকিব (ইঞ্জিনিয়ার)।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মাধ্যমে বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড প্যাকেজ-১১ ও ১৩ নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুটি প্রকল্পে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নলের চর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে ৭৫৪ মিটার জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারী কাজ পায়। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান। চলতি বছরের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারকির জন্য বেঙ্গল বিল্ডার্সের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি প্রকল্প এলাকায় দায়িত্বরত।
এদের মধ্যে মো. রাসেল মাহমুদ ও রাকিব বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তাদের এগিয়ে দিতে আসেন এইচ এম আফজাল হোসাইন। নোয়াখালীর সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা আসার পথে বেঙ্গল বিল্ডার্সের ওই তিন কর্মকতার পথ আটকে দেন সন্ত্রাসী খালিদের নেতৃত্বে ২০/২২টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ৪০/৫০ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন। নোয়াখালীর মাইজদীর সন্ত্রাসী খালিদ কর্তৃক তারা অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।হাতিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তারা অপহরণের শিকার হন। তাদের মাইজদীর নবাব হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপহৃতরা হলেন- এইচ এম আফজাল হোসাইন (জেনারেল ম্যানেজার), মো. রাসেল মাহমুদ (ম্যানেজার) ও রাকিব (ইঞ্জিনিয়ার)। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।জানা যায়, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মাধ্যমে বেঙ্গল বিল্ডার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড প্যাকেজ-১১ ও ১৩ নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুটি প্রকল্পে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নলের চর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে ৭৫৪ মিটার জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারী কাজ পায়। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান। চলতি বছরের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারকির জন্য বেঙ্গল বিল্ডার্সের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি প্রকল্প এলাকায় দায়িত্বরত।এদের মধ্যে মো. রাসেল মাহমুদ ও রাকিব বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তাদের এগিয়ে দিতে আসেন এইচ এম আফজাল হোসাইন। নোয়াখালীর সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা আসার পথে বেঙ্গল বিল্ডার্সের ওই তিন কর্মকতার পথ আটকে দেন সন্ত্রাসী খালিদের নেতৃত্বে ২০/২২টি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ৪০/৫০ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বর্তমানে সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিনিয়রদের টপকে সচিব হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক তিন প্রতিমন্ত্রীর এই একান্ত সচিবকে সচিব করতে ডিও লেটার দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।তোফাজ্জেল হোসেনের ব্যক্তিগত তথ্যবিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তিনি ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর থকে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই মন্ত্রণালয়ে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও আওয়ামী প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২২ জুন পর্যন্ত পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এদিকে আওয়ামী সুবিধাভোগী অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাকে পূর্ণসচিব করতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেসুর রহমানকে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা ওই ডিওতে ফরিদা আখতার লিখেছেন, ‘প্রিয় সিনিয়র সচিব, আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা জনাব মো. তোফাজ্জেল হোসেন (পরিচিতি নং-৬৩০৫) গত ৩১.১২.২০২৪ খ্রি. হতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি বিগত ১১.০১.২০২৩ খ্রি. তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে অতিরিক্ত সচিব পদে এ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং তাকে পরিকল্পনা অনুবিভাগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমার দেখা মতে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সততার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন।উল্লেখ্য, বদলিজনিত কারণে এ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদটি শূন্য হলে মো. তোফাজ্জেল হোসেনকে কাজের অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক সচিবের রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।’চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘মো. তোফাজ্জেল হোসেনের মতো একজন মেধাবী এবং প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদায়ন করা হলে তিনি স্বীয় মেধা, সততা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনসহ উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন মর্মে আমি বিশ্বাস করি। এমতাবস্থায় মো. তোফাজ্জেল হোসেন (পরিচিতি নং-৬৩০৫)-কে সচিব হিসাবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করার জন্য অনুরোধ করছি। আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়ের প্রয়োজন হলে এ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে অন্য কাউকে পদায়ন না করে তাকে আপাতত এ রুটিন দায়িত্বে রেখে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’এদিকে সম্প্রতি এই ডিও লেটার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকার নায়ের সায়ের খান একটি পোস্ট দেন। এক ঘণ্টার মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ওই পোস্টে অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল হোসেনকে ওএসডি করারও দাবি উঠেছে। এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। তিনি লিখেছেন, পদোন্নতির একটি সিস্টেম আছে। সচিব পদে পদোন্নতির জন্য কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপদসহ কমিটি আছে। যার নাম এসএসবি কমিটি। ডিও লেটারে পদায়ন হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়। সচিব পদে পদোন্নতির ডিও লেটার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। কে জানে! এসএসবি বাদ দিয়ে মোখলেস স্যার ডিও লেটার দেখে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর সচিব করার জন্য ফাইল পাঠিয়েও দিতে পারেন। এটা উপদেষ্টা করলেও সুস্পষ্ট তদ্বির। কর্মকর্তার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’এদিকে তোফাজ্জেল হোসেনের জন্য দেওয়া এই ডিওকে উদ্দেশে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সমন্বয় ও এনসিপি নেতা সারজিস আলমের পোস্টে একটি মন্তব্য করেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিস কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নাজমুল হুদা।গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ওই সারজিস আলমের একটি পোস্টে তিনি লেখেন ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন ভাইয়া’। অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেলকে দেওয়া ডিওকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই মন্তব্যের জের ধরেই পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারিতে সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নাজমুল হুদাকেও।সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ নামক একটি প্রকল্পে ‘ফায়ার ফাইটিং সিমুলেটর’ এর জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা টেন্ডার সিকিউরিটি দেওয়ার কথা থাকলেও যে প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ টাকা টেন্ডার সিকিউরিটি দেয় তাকেই কাজটি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একটি অভিযোগও করা হয়। এ দরপত্র অনুমোদন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল এর হাত ধরেই হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সে ছিল আওয়ামী সুবিধাভোগী। এখন আবার সেজেছে সংস্কারপন্থি। অথচ সে কোথায় কোথায় পোস্টিং পেয়েছিল সেসব কিছু মুছে যায়নি। সে সচিব হতে এখন মরিয়া হয়ে আছে। অনেক সিনিয়ররা সচিব হতে পাইপলাইনে থাকলেও সেই এই পদটি পেতে যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করছে।এদিকে এ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদেরই গর্ভধারিণী মা। ঢাকার ভাটারায় গাড়িতে করে এসে ভিকটিমের বাসার সামনে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন কিছু ঘটনায় জনমনে বেড়েছে আতঙ্ক।অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কমেছে অপরাধের সংখ্যা। সংখ্যায় কমে এলেও যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে তা বেশ রোমহর্ষক ও ভীতিকর। চলতি মাসের (এপ্রিল) বেশ কিছু অপরাধমূলক ঘটনা সাধারণ মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। এসব ঘটনায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সফলতা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার পাশাপাশি ‘সামাজিক আন্দোলন’ গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করছেন তারা। অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এমন বীভর্ৎস্য অপরাধ প্রবণতা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা অপরাধ বিশ্লেষকদের।তারা বলছেন, দেশে এমন একটি চক্র গড়ে উঠেছে, যারা অপরাধ সংঘটনকে তাদের আয়-উপাজর্নের উৎস মনে করছে। গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় মালিহা আক্তার (৬) ও আবদুল্লাহ বিন ওমর (৪) নামের দুই ভাই-বোনকে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে মা সালেহা বেগম কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।গত শুক্রবার রাতে সালেহা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা তা এখনও জানা যায়নি। নিহত মালিহা আক্তার ও আবদুল্লাহ বিন ওমরের বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বাতেন। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়।গতকাল শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি, কেন বা কী কারণে দুই সন্তানকে তাদের মা হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন গ্রেপ্তার ইয়াছিন আলী।গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুর রহমানের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। ওই মামলার আসামি ইয়াছিন আলী নিহত লামিয়ার স্বামী ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।জবানবন্দির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে স্বপ্না আক্তারের হাত থেকে বঁটি নিয়ে লামিয়ার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে লামিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বপ্না আক্তার চিৎকার শুরু করলে তাকেও বঁটি দিয়ে হত্যা করেন ইয়াছিন। পরে নিজের সন্তান আবদুল্লাহ্ রাফসানকে গলার তাবিজের সুতা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।পুলিশের ভাষ্য, লামিয়াকে গলা কেটে হত্যা, লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে গলা ও হাত-পা কেটে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে এবং লামিয়ার চার বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ রাফসানের হত্যার পর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে চেইন-ব্যাগ ছিনতাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।গত ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতের এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন। গত ১৬ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১১ এপ্রিল ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের পরদিন গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মুখ ঝলসানো অবস্থায় শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়। সে ছিল স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মৌসুমী বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে স্বামী বাছির আহমদ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে গতকাল শনিবার এই ঘটনা ঘটে।অপরাধ বিশ্লেষকরা যা বলেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, যখন কোনো এলাকাতে ভাসমান জনগোষ্ঠী অথবা প্রান্তিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের বসবাস বা ঘনত্ব বেশি হয়, তখন সেই এলাকায় নানামুখী অপরাধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় অপরাধীরা ভাসমান মানুষকে দলে ভিড়িয়ে নিজেদের সিন্ডিকেট আরও মজবুত করে।ড. তৌহিদুল হক বলেন, বর্তমান সময়ে অপরাধ প্রবণতা, ডাকাতি, অপহরণ, সহিংসতা, সংঘাত, খুন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এই ধরনের অপরাধগুলো অনেক কমে আসার কথা- এটাই আমরা প্রত্যাশা করেছি। একটি রাজনৈতিক দলের সরকারের পতনের পর নতুন যে অরাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসেছেন তাদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পরিপূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি। দেশে একটি চক্রই তৈরি হয়েছে যারা অপরাধটি তার আয়-উপাজর্নের উৎস মনে করছে।তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই বলছেন তারা এখনো পরিপূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছে না। দেশে সামান্যতম পরিস্থিতি তৈরি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে আমরা যতই আলোচনা-সমালোচনা করি না কেন, তাদের ওপরই নির্ভর করতে হয়। সেই নির্ভরতার জায়গা থেকে তাদের যে জুলাই বিপ্লবের পরে পূর্ব-প্রস্তুতি, অবস্থান-মর্যাদা, নৈতিক মনোবল বা সংকটকে দূরীভূত করার প্রস্তুতি বা এই অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য যে ব্যবস্থা, মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের যে সমন্বয়টা এই জায়গাতে ঘাটতি রয়েছে।নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুনীরুজ্জামান বলেন, যখনই সরকারি অস্ত্র বা অন্য কোনো সরঞ্জাম হারিয়ে যায় তখন আর সেটি ফেরত পাওয়া যায় না। সেগুলো ভুল হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং নিরাপত্তার জন্য বড় শঙ্কা তৈরি করে। এগুলো আমাদের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি থাকবে। আর যতদিন পর্যন্ত সেগুলো উদ্ধার করা না যাবে সেই ঝুঁকি থেকে যাবে। অস্ত্র উদ্ধারে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, সেটিতে পুরোপুরি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। তাই আরও জোরদার অভিযান চালাতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ মামুন মিয়া (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত হলেন মুন্সিরগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে আব্দুল রশিদের ছেলে মামুন।সোনারগাঁয়ের মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনার সময় ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজুল রহমান জানান, ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন