ছবি: সংগৃহীত
লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, এই বাজেটটা আমাদের যথেষ্ট সন্তুষ্ট করতে পারেনি। যে স্পিরিটটা আমরা বাজেটে দেখতে চেয়েছি, সেটা দেখিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, এই বাজেটে তারা বলছে তারা থ্রি জিরো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এটার জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থান করিনি। এ সরকার নির্বাচিত সরকার, তবে অন্তর্বর্তী বটে। আমাদের লুটেরা-মাফিয়াতন্ত্রওয়ালারা বলে এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারকে আমরা মেনে নিয়েছি কেন, যেহেতু আমরা মনে করি জনগণ তাদের এটা দিয়েছে। কাজেই এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।
গণঅভ্যুত্থানের পরে কালো টাকা সাদা হয় কোন যুক্তিতে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, লুটপাটতন্ত্রের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয় হলো কালো টাকা সাদা করা। অবশ্যই এটাকে সংশোধন করতে হবে। কালো টাকা এখন সাদা হয় কোন যুক্তি? গণঅভ্যুত্থানের পরে এটা করার কোনো যুক্তি নেই।
ফরহাদ মজহার বলেন, বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য আমরা কীভাবে খরচ করি তার কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নাই। এটা হতে পারে না। আমাদের এদিকে মিয়ানমার, ওদিকে ভারত। তার মধ্যে যদি আমরা টিকে থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আর তা করতে হলে এর জন্য খরচ আছে। এটা একটা ন্যায্য খরচ। সেই খরচ আমি কোথা থেকে তুলব, কে দেবে? এটা থাকতে হবে যে টাকাটা কোথায় খরচ হচ্ছে? বাজেটে খরচ কোথায় হচ্ছে, এটা লুকিয়ে রাখা একটি খারাপ লক্ষণ।
তিনি বলেন, ৮ তারিখে (গত বছরের ৮ আগস্ট) যে সরকার গঠন করলেন, লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্যই কিন্তু আপনি এ সরকার করেছেন। এ সরকারের আসলে কোনো ক্ষমতা নেই। এখনো যে টিকে আছে এটা বিরাট ব্যাপার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৪ দিনেই দেশে এসেছে ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা টাকায় প্রায় ২৭ হাজার ২৫৫ কোটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারণা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব করলে এর অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ২৭ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা।গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে এক বছরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম আড়াই মাসে (জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬০৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।এর আগে জুলাইয়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার (প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা)। আগস্টে আসে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।গত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ মার্চে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে, যা ছিল বছরের রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছিল ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল: জুলাই ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বর ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবর ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বর ২২০ কোটি, ডিসেম্বর ২৬৪ কোটি, জানুয়ারি ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারি ২৫৩ কোটি, মার্চ ৩২৯ কোটি, এপ্রিল ২৭৫ কোটি, মে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশের বেকার যুবাদের কর্মসৃজনে কর্মসংস্থান ব্যাংক এর কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা শীর্ষক সভা বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমা মোবারেক দেশের প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নে ও কর্মসৃজনে অধিক ঋণ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অধিক পরিমাণে ঋণ বৃদ্ধির পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় তিনি অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবদের অর্থায়নের মাধ্যমে কর্মসৃজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।ড. এ এফ এম মতিউর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বেকার যুবদের কর্মসৃজনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ভূমিকা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি দেশের কর্মহীন যুবদের উদ্যোক্তায় পরিণত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর বক্তব্যে দেশে আত্মনির্ভর, দক্ষ ও কর্মক্ষম তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।এ সময় কর্মসংস্থান ব্যাংক কেবল ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং উদ্যোক্তা তৈরির এক সৃজনশীল কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।সভায় বেকার যুবদের কর্মসৃজনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদ তথ্য তু্লে ধরেন ঋণ ও অগ্রিম বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মশিউর রহমান।এদিকে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২৮তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব ব্যাংকের সকল গ্রাহক, অংশীজন, শুভান্যুধ্যায়ী ও সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।কর্মসংস্থান ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. এ এফ এম মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন কুমার চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব, যুগ্মসচিব মাকছুমা আকতার বানু, উপসচিব (সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মাহমুদা ইয়াসমীন, মো: শফিকুলইসলাম মিঞা ও মো. আমিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আবারও দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য আজ ১,৯৪,৮৫৯ টাকা।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রযোজ্য হবে নতুন দরে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে।স্বর্ণের আজকের বাজারদর• ২২ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৯৪,৮৫৯ টাকা• ২১ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৮৬,০০৬ টাকা• ১৮ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৫৯,৪২৪ টাকা• সনাতন পদ্ধতি : ভরিপ্রতি ১,৩২,৩৫১ টাকাবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে।তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মেটলাইফ, শেভরন, এক্সেলেরেটসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া বাংলাদেশের ছয়জন রাজনীতিক সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরকে মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। আগামী ২ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.