আবারও কমলো সোনার দাম
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা। প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১১ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।
বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সরকারের অংশীদারত্ব থাকা বহুজাতিক কোম্পানি ও বড় বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শেয়ারবাজার নিয়ে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১১ মে) পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিং হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ পুরো মিটিংয়ে ব্রিফিং করেন মার্কেটের কী অবস্থা। গত ৯ মাসে কী ধরনের রিফর্ম করা হয়েছে। কোথায় কোথায় এখনো রিফর্ম চলমান। সেগুলো নিয়ে উনি বিস্তারিত একটা পিকচার দেন এবং তার আলোকে খুবই প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পাঁচটি প্রধান নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রথম নির্দেশনা হলো- বাংলাদেশে যেসব বিদেশি কোম্পানিতে সরকারের স্টেক (অংশীদারত্ব) আছে, যেমন ইউনিলিভার, তাদের দ্রুত শেয়ারবাজারে আইপিওতে আনা। দ্বিতীয় হলো- বাংলাদেশে অনেক প্রাইভেট কোম্পানি আছে যাদের টার্নওভার বিলিয়ন ডলার, অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। বাংলাদেশ এখন আর ২০-৩০ বছর আগের বাংলাদেশ নেই। অনেক বড় বড় কোম্পানি হয়েছে তাদের স্টক মার্কেটে আনার জন্য বলা হয়েছে। সেটার জন্য কী ধরনের প্রণোদনা দরকার, সেটা রাশেদ মাকসুদকে বলেছেন। যেমন সিটি, মেঘনা আরও অনেক কোম্পানি আছে, তাদের কীভাবে আনা যায়। তৃতীয় বিষয় হলো- স্টক মার্কেটে ভেস্টেড ইন্টারেস্টেড লোক অনেক। অনেক ধরনের ভেস্টেড ইন্টারেস্টেড আছে। ফলে দেখা যায় আমরা রিফর্ম নিলেও, অনেক সময় রিফর্মগুলো ঠিকমতো কাজ করতে চায় না বা এরা রিফর্মগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। এজন্য স্টক মার্কেটে ডিপ রিফর্ম যাতে ক্যারি আউট করা যায়, এমন ব্যক্তি যাদের এখানে ইন্টারেস্ট নেই, এমন একটি রিফর্মের কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, চতুর্থ হলো- স্টক মার্কেট রেগুলেটর বা এসব যেসব এজেন্সি বা অফিস আছে এখানে অনেক ধরনের দুর্নীতির কথা শোনা যায়। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আছে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। যাতে পুরো স্টক মার্কেটে এক ধরনের বার্তা পৌঁছায় কোনো ধরনের কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। পঞ্চম হলো- বাংলাদেশে যেসব বড় বড় কোম্পানি আছে তারা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেয়। অনেক সময় সিন্ডিকেট ঋণ দেয়, অনেকগুলো ব্যাংক থেকে এক হাজার দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন বড় ফান্ড সেটাপের জন্য। এটার জন্য বলা হয়েছে- এই ঋণটা কীভাবে নিরুৎসাহিত করে, কীভাবে তারা বন্ড ইস্যু করে বা স্টক মার্কেটের মাধ্যমে তাদের ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন- বলেন শফিকুল আলম। তিনি আরও বলেন, আমি আবারও বলবো খুবই প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা পুরোটা শুনেছেন, শোনার পর উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আশা করছি দ্রুত স্টক মার্কেটে ক্লিয়ার ও মিনিংফুল রিফর্ম দেখতে পারবো। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অফিসিয়াল মিটিং। আপনারা দেখবেন আমাদের কাজগুলো হলে যারা স্টেকহোল্ডার সবাই বেনিফিটেড হবেন। সবাই একটা ভাইব্রেন্ট স্টক মার্কেট দেখতে পারবেন। ভোরের আকাশ/আমর
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা। প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১১ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত কয়েক মাস ধরে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আভাস, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং স্থানীয় মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে বাজার অস্থিরতা দেখিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ পতন হয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকে।আইডিএলসি সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএসইর শেয়ারের পিই অনুপাত বর্তমানে ১০ দশমিক ৩, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এটি তালিকাভুক্ত শেয়ারগুলোর দামকে সস্তা বা অবমূল্যায়িত হিসেবে নির্দেশ করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ার কথা থাকলেও ব্যাংক সুদ হারের বৃদ্ধি এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিজিট এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগ নিলেও শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরেনি বিনিয়োগকারীদের। যে কারণে পতনের ধারা কাটিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। এই পরিস্থিতিতে আজ রবিবার বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকে অংশ নেবেন অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসি চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।এদিকে পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগকৃত কমিশন বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করে ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য আকর্ষণীয় কর প্রণোদনা চালু, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অর্থায়নের উপর সীমা নতুন করে নির্ধারণ এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে পুঁজিবাজার গড়ে তোলা। বর্তমানে ব্যাংক খাতের মাধ্যমেই শিল্পোদ্যোক্তারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করে থাকেন। বিএসইসি এখন যে পরিকল্পনা নিয়েছে এগুলোর কথা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাজার বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন। তবে এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টিকারী সমস্যাগুলোর সমাধান করতে বিএসইসি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছিল।বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ে তুলতে একটি প্রধান বাধা ছিল সংস্থাটির ভেতর থেকেই। এখানকার অনেক কর্মকর্তাই বাজারের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন। তাই পুঁজিবাজার সংস্কারের প্রথম বাধা দূর করতে প্রাথমিক অভিযুক্ত ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। গত ২৯ এপ্রিল পুঁজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেকের সাথে কমিশনের বৈঠকের পর ২১ কর্মকর্তাকে বহিস্কারের ঘোষণা আসে। ওই বৈঠকেই বিএসইসি তাদের কর্মপরিকল্পনা পেশ করে।বৈঠকের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, এতদিন বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শগুলো দিয়ে আসছিল সেগুলো তারা বাস্তবায়ন করবে। ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নতুন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে তালিকাভুক্তি ও ট্রেডিং পদ্ধতি সহজীকরণে জোর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।বিএসইসির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ভোরের আকাশ’কে বলেন, শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়তে বিএসইসি যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিএসইসি যেসব প্রণোদনার প্রস্তাব করেছে সেগুলো বিবেচনা করার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর যাচাই-বাছাই করে দেখবে কীভাবে আরো বেশি প্রণোদনা দেওয়া যায়। তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও নতুন আইপিওতে আসা কোম্পানির জন্য কর প্রণোদনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।এদিকে নানা উদ্যোগের পরেও টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে সবকয়টি মূল্যসূচকের পতন হওয়ার পাশাপাশি বড় অঙ্কের বাজার মূলধন কমেছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকলো দেশের শেয়ারবাজার। পাঁচ সপ্তাহের এই টানা পতনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। শেয়ারবাজারে এমন দরপতন হওয়ায় ঢাকার মতিঝিলে কাফন মিছিল করেছেন বিনিয়োগকারীদের এক অংশ।কবে নাগাদ ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার : বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএসইসির উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের পরেও দেশের শেয়ারবাজার ঠিক করে নাগাদ ঘুরে দাঁড়াবে তা মূলত নির্ভর করছে একাধিক আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর। আইডিএলসি ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট রিসার্চ অনুযায়ী, চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে বেশ কয়েকটি বিষয়। আইএমএফের ঋণ অনিশ্চয়তা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাজারকে চাপে রাখতে পারে। পাশাপাশি আইএমএফের শর্ত মেনে বাংলাদেশ যদি মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে তাহলে টাকার বড় আকারে অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এটিও বড় চাপ তৈরি করবে পুঁজিবাজারে। এছাড়া আসন্ন বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স হার এনবিআর কেমন নির্ধারণ করছে সেটিও বাজারে প্রভাব ফেলবে। কর হার বাড়লে বাজারেও চাপ বাড়বে।এদিকে আশার কথা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ যদি সুদহার কমানো শুরু করে তাহলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা ফিরতে পারে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সুদহার কমিয়ে আনতে পারে ফেড। বর্তমানে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগের বড় অংশ চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে ফেডের সুদ বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ সেখানে সুদ আয় এখন বেশি থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মার্কিনমুখী হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবার বাংলাদেশমুখী হলে ভালো উত্থান হতে পারে পুঁজিবাজারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইডিএলসির গবেষণা প্রতিবেদনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পুঁজিবাজারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আইডিএলসির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ালে শিল্প খাতের শেয়ারে চাহিদা বাড়বে। মোবাইল ফিন্যান্স ও স্টার্টআপগুলোর আইপিও আনা গেলে বাজার গতিশীল হবে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স ও ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি বাড়লে এসব শেয়ারের চাহিদা বাড়বে। এগুলো নিশ্চিত হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি আসতে পারে পুঁজিবাজারে যা বছরে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হতে পারে। তবে ২০২৮ সালের মধ্যে টেকসই উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায়। যদি বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে যায় এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় বাড়ে তাহলে ভালো গতি আসবে পুঁজিবাজারে।এর মধ্যে বিএসইসি যদি চলমান সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে এবং ডিজিটাল ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালু করতে পারে তাহলে আগামী সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে দেশের পুঁজিবাজার স্থায়ীভাবে দাঁড়িয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে আইডিএলসির গবেষণায়। তবে শেয়ারবাজারের উন্নতির ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে আগামী সাধারণ নির্বাচন পরিবর্তী নীতি নির্ধারণী ঝুঁকি এবং কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা ও লভ্যাংশ নীতির উন্নতি না হওয়া।বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিতে টাস্কফোর্স কাজ করছে জানিয়ে শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেছেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিগত কয়েক বছরের মতো অবস্থার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দামে কমেছে এক হাজার ৫০ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ টাকায়। রোববার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।শনিবার (১০ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম হ্রাসের তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম।দাম ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮৪৬ টাকা; ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৩৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই