নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৪:২৭ পিএম
এমপিওভুক্তিসহ কারিগরি শিক্ষকদের ১৫ দাবি
দেশের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সঙ্গে সব ট্রেড এমপিওভুক্তিসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই দাবিতে তারা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি করতে গেলে মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান তাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে সারা দেশের ভোকেশনাল, কৃষি ডিপ্লোমা ও বিএম শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
রোববার (৪ মে) দুপুরে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিতভাবে এসব দাবি জানানো হয়। আগামী ৮ মের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খানের আলোচনার আশ্বাসে করিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। মহাপরিচালক দাবির বিষয়গুলো আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এ দাবি মানা না হলে সারা দেশের শিক্ষকরা ঢাকায় এসে আমরণ অনশন করবে।
শিক্ষকদের দাবি গুলো হলো-
১. ২০১৯ ও ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের জমা দেওয়া আবেদনকারী সব শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আগামী বৃহস্পতিবারের (৮ মে) মধ্যেই এমপিওভুক্ত করতে হবে।
২. কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে সব ট্রেড এমপিওভুক্তির আওতায় নিতে হবে।
৩. ৫ আগস্টের পূর্বের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অধিদপ্তর থেকে বদলি করতে হবে।
৪. কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের অধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জটিলতার মীমাংসা করতে হবে।
৫. কোনো জনবল কাঠামো কার্যকর করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়-অর্থমন্ত্রণালয়-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। কিন্তু কারিগরির ক্ষেত্রে শুধু কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এটি পরিবর্তন করতে হবে।
৬.কারিগরি সচিবের নিকটজন বলে পরিচিত তৃতীয় গ্রেডের পরিচালক (ভোকেশনাল) পদে পঞ্চম গ্রেডের একজন পলিটেকনিক শিক্ষককে বসানো হয়েছে। তাকে সরিয়ে দিতে হবে। অথচ পঞ্চম গ্রেডের ডি.ডি-এমপিও পদে টি.এস.সি অধ্যক্ষ আইয়ুবকে মন্ত্রণালয়ের আদেশ হওয়া সত্ত্বেও যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।
৭.আগে মনে হতো দিল্লি থেকে শিশির বাবু, বিমল বাবু কারিগরি অধিদপ্তর চালাতেন, এখন তাদের দোসররা চালাচ্ছে। এ সমস্যার নিরসন করতে হবে।
৮. ৫০ বছরে কোনো বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়নি। দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে।
৯.এমপিও সমস্যার সমাধান না করতে পারলে মাউশিকে এ দায়িত্ব দিতে হবে।
১০.সাধারণ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ভবন তৈরির বিশেষ প্রকল্পের মতো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের বরাদ্দ দিতে হবে।
১১. কারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. অধিকাংশ কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামের মূল বই তৈরি করতে হবে।
১৩. কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নবায়ন ফি কমাতে হবে।
১৪. নিয়োগ দিয়েছেন সরকারের প্রতিনিধি, বেতন দেবে সরকার। এ নিয়ম বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিক্ষকদের সঙ্গে সদাচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
বগুড়ার একটি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ট্রেড এমপিওভুক্ত হয়নি। আমরা এমনটা চাই না। আমাদের যাদের ট্রেড এমপিওভুক্তির আবেদন করা রয়েছে, তাদের আগামী ৮ মের মধ্যে বেতন-ভাতা দিতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই