ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ৪৮ হাজার ৪৯১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এবছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন সেপ্টেম্বরে; মৃত্যুও ছিল সর্বোচ্চ। গেল মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন; মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। অক্টোবরের তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ১ হাজার ১৪৯ জন; আর মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ৪৮ হাজার ৪৯১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।এবছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন সেপ্টেম্বরে; মৃত্যুও ছিল সর্বোচ্চ। গেল মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন; মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। অক্টোবরের তিন দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ১ হাজার ১৪৯ জন; আর মৃত্যু হয়েছে চারজনের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত রোগগুলোর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স অন্যতম। তবে বর্তমানে দেশের উত্তর অঞ্চলের মানুষও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটিত একটি রোগ; যা প্রথমত গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে। পরে আক্রান্ত পশুর মাধ্যমে মানুষও আক্রান্ত হয়। তবে মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ ছড়ায় না। তাই অ্যানথ্রাক্সকে জুনোটিক ডিজিজ বলা হয়।এটি বাংলায় ‘তড়কা রোগ’ নামে পরিচিত। এটি তীব্র ও গুরুতর সংক্রামক রোগ। তাই জেনে নিন অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং কীভাবে মানবদেহে ছড়ায়।অ্যানথ্রাক্স কীভাবে মানবদেহে ছড়ায়গবাদিপশু থেকে তিন ভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এ রোগ সংক্রমণ ঘটায়:ত্বকের মাধ্যমে: পশুজাত পণ্য (পশম, হাড়) থেকে ত্বকের কাটা বা আঁচড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে: ব্যাকটেরিয়ার রেণু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে।খাবারের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস খাওয়ার কারণে সংক্রমণ হতে পারে।অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু মূলত ছড়ায় আক্রান্ত প্রাণীর মাধ্যমে। এ জীবাণু মাটিতেও থাকতে পারে। কেউ যদি অসুস্থ প্রাণীর মাংস খায় কিংবা শ্বাসের মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু তার শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে তিনি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া ত্বকে কোনো ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত দিয়েও অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।উপসর্গ১. কারো দেহে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু কীভাবে প্রবেশ করছে, এর ওপর উপসর্গ নির্ভর করে।২. মাংস খাওয়ার মাধ্যমে কেউ আক্রান্ত হলে দেখা দেয় বমিভাব, বমি, রক্তবমি, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, জ্বর, গলা ব্যথা বা ঘাড় ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা। এ ছাড়া রক্তমিশ্রিত পাতলা পায়খানা হতে পারে।৩. শ্বাসের মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হলে দেখা দিতে পারে গলা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি, পেশি ব্যথার মতো সাদামাটা উপসর্গ। এরপর বুকে অস্বস্তি ও শ্বাসকষ্ট, বমিভাবও হতে পারে। শুধু তাই নয়, কফের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। ঢোঁক গিলতে গেলে গলা ব্যথা হতে পারে। জ্বরের তীব্রতাও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।৪. ত্বকের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ালে ত্বকে পোকার কামড়ের মতো ফোলা ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়। ক্ষতস্থানের মাঝখানটা কালো হয়ে যায় এবং আশপাশেও ফুলতে থাকে। একই সঙ্গে চুলকানিও হয়। শরীরে জ্বরও থাকে।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স রোগের মূল কারণ হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়া দীর্ঘদিন মাটিতে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে এবং অনুকূল পরিবেশ পেলে সক্রিয় হয়ে গবাদিপশুর মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। সংক্রমণ সাধারণত সংক্রমিত চারণভূমি, দূষিত পানি, দূষিত খাবার বা মৃত পশুর সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ঘটে। এটি মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। বিশেষত পশুর মৃতদেহ বা সংক্রমিত মাংসের সংস্পর্শে এলে।’এ রোগ থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হলো সংক্রমিত প্রাণী ও পশুজাত পণ্যের সংস্পর্শ এড়ানো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং অসুস্থ পশুর মাংস কাঁচা বা কম রান্না করা অবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকা।’তিনি আরও বলেন, ‘গবাদিপশুকে প্রতি বছর একবার অ্যানথ্রাক্স টিকা দিলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলে আশপাশের সব গরুকে টিকা দেওয়া উচিত। এ ছাড়া চারণভূমি, খাবার ও পানির উৎস পরিষ্কার রাখা জরুরি। সন্দেহজনক মৃত পশু বা নোংরা জায়গা থেকে পশুকে দূরে রাখা জরুরি। আক্রান্ত পশুর জন্য বিশেষ প্রতিষেধক সিরাম আছে, যা প্রাণী চিকিৎসক প্রয়োগ করতে পারেন। তবে রেজিস্টার্ড প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পশুকে চিকিৎসা করাতে হবে।’মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানান ড. মো. সহিদুজ্জামান।অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের উপায়১. খুব ভালোভাবে সেদ্ধ করে রান্না করা হয়নি এমন কোনো মাংস খাওয়া যাবে না।২. ত্বকে কোনো কাটাছেঁড়া থাকলে কাঁচা মাংস খালি হাতে নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকবেন।৩. গবাদিপশু পালনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলে পশুকে নিয়মমাফিক অ্যানথ্রাক্সের টিকা দিতে হবে।৪. যিনি অসুস্থ পশুর দেখাশোনা করেন, তার সুরক্ষাসামগ্রী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং যত্নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।৫. অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খাওয়া, কাটাকাটি করা বা নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকুন।৬. অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে সচেতন হওয়া জরুরি। এটি ভয়ংকর সংক্রমণ হলেও সঠিক প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।ভোরের আকাশ/মো.আ.
একসময় হার্ট অ্যাটাককে শুধুমাত্র বয়স্কদের রোগ হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সীদের মাঝেও এই মারাত্মক রোগ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ বয়সে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি জীবনযাত্রাজনিত কারণ। এসব বিষয়ে সচেতন না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপদ।হার্ট অ্যাটাক কেন হয়রক্তনালিতে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হলে বা রক্ত জমাট বাঁধলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দেয়। হৃদপিণ্ডে রক্ত ঠিকভাবে পৌঁছাতে না পারলে রক্তনালিতে চাপ সৃষ্টি হয়, যা শেষ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।ধূমপান ও অ্যালকোহলতরুণদের বড় একটি অংশ ধূমপান ও অ্যালকোহলে আসক্ত। এর ফলে হার্টে প্রদাহ হয় এবং রক্তনালিতে প্লাক জমে যায়। এই প্রক্রিয়া দ্রুত হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসবার্গার, পিৎজা, বিরিয়ানি, চাউমিনসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেই তরুণ বয়সেই হৃদরোগ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।শারীরিক অনুশীলনের অভাবআধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যায়ামের অভাবই তরুণদের বড় শত্রু হয়ে উঠছে। দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অনিয়মিত জীবনযাপন স্থূলতা বাড়ায় এবং শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।মানসিক চাপঅতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং প্রদাহ বাড়ায়। এর প্রভাব সরাসরি হৃদপিণ্ডে পড়ে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে হলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপান ও ফাস্ট ফুড বাদ দেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণই পারে তরুণদের হৃদয় রক্ষা করতে।ভোরের আকাশ//হ.র
চলছে ডেঙ্গুর পিক মৌসুম। বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা। দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যাও ৪শ’র নিচে নামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ জনে।বুধবার (১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এই সময়ে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৩৮ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১০০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৭৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ২২ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ২০০ জন মারা গেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (৯৫ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন এবং ঢাকা বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ