আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে
দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেসব হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে।
যাদের উপসর্গ থাকবে, তারাই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধুমাত্র তাদের জন্যই চালু হবে। সে অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন যারা-
• যাদের শরীরে কোভিড–১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) রয়েছে।
• অথবা যাদের চিকিৎসক করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।
হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।
হঠাৎ কেন আবার করোনা পরীক্ষা?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে-যা অত্যন্ত উচ্চ শনাক্ত হার।
এরই মধ্যে ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে আবারও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই করোনা পরীক্ষা চালুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোথায় কোথায় হবে পরীক্ষা?
প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এই সুবিধা মিলবে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা চাই না পরিস্থিতি আবার হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গতকাল (৯ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুজন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
করোনা ভাইরাস এবং ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।এতে বলা হয়, সারাদেশে করোনা ভাইরাস এবং ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা কক্ষের আসন বিন্যাস বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে।প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মেডিকেল টিমকে সক্রিয় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।জনসচেতনতা বাড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের জটলা নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালাতে হবে।নির্দেশনায় শিক্ষক-পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৪ জন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন এমন রোগী বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬ হাজার ২২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৯ জন।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/আজাসা
নারীদের একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলো জরায়ু ফাইব্রয়েড, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় “লিওমায়োমা” নামে পরিচিত। জরায়ুর দেয়ালে গঠিত এই অগানিক টিউমার সাধারণত মাংসপেশি ও তন্তুযুক্ত টিস্যু দিয়ে তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নারী জীবনের কোনো এক পর্যায়ে এই সমস্যায় ভোগেন, যদিও সবার ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।সবুজ শাকসবজি ও ফলই হতে পারে প্রথম অস্ত্র:জরায়ু ফাইব্রয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফল ও সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এসব খাবারে থাকা ফাইবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রদাহ কমায়। পালং শাক, গাজর, মুলা, টমেটো, বেল মরিচ ও ব্রুকলি—এই সবজিগুলো বিশেষভাবে উপকারী। তাজা ফল ও শাকসবজি শরীরে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে ফাইব্রয়েডের বৃদ্ধি রোধে ভূমিকা রাখে।লাল মাংস নয়, বেছে নিন সাদা মাংস:গরু ও মহিষের মাংস ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ফাইব্রয়েড বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্ত নারীদের জন্য হাঁস-মুরগি কিংবা সামুদ্রিক মাছের মতো সাদা মাংস খাওয়া বেশি উপকারী। এতে পেটব্যথা বা অস্বাভাবিক রক্তপাতের ঝুঁকি কমে।ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়:ফাইব্রয়েড আক্রান্তদের জন্য ফ্যাটি ফিশ যেমন স্যামন, টুনা, সার্ডিন খাওয়া ভালো। এসব মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।পুরো শস্য এবং বাদামি খাবার:সাদা চাল বা আটা নয়, বরং বাদামি চাল, গম, ওটস ও বার্লির মতো গোটা শস্যভিত্তিক খাবার ফাইব্রয়েড প্রতিরোধে কার্যকর। এগুলোতে ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন বের করে দিতে সহায়তা করে।গ্রিন টি: ছোট একটি কাপ, বড় উপকার:প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি ফাইব্রয়েডের লক্ষণ কমাতে পারে। এতে থাকা এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট নামক উপাদান প্রদাহ কমায় এবং টিউমার সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গ্রিন টি অতিরিক্ত রক্তপাতও নিয়ন্ত্রণে রাখে।আপেল সাইডার ভিনেগারেও মিলতে পারে উপকার:শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং জরায়ু সুস্থ রাখতে কার্যকর হতে পারে আপেল সাইডার ভিনেগার। সরাসরি খেতে সমস্যা হলে সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে এটি।পরিশেষে:জরায়ু ফাইব্রয়েড চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাই হতে পারে টেকসই সমাধান। প্রাকৃতিক ও সুষম খাবারের মাধ্যমে এই রোগের জটিলতা যেমন কমানো যায়, তেমনি ভবিষ্যতে নতুন ফাইব্রয়েড গঠনের ঝুঁকিও হ্রাস পায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনাই হতে পারে প্রথম পদক্ষেপ।ভোরের আকাশ।।হ.র
করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু ও করোনায় একজন করে মারা গেছেন। আর সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী এবং শনাক্ত হয়েছেন ২৬ জন করোনা রোগী। পর্যান্ত শনাক্তের ব্যবস্থা থাকলে করোনা রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ জন, খুলনা বিভাগের ২ জন, আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জনের মধ্যে জানুয়ারি মাসে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, ফেব্রুয়ারি আর মে মাসে ৩ জন করে, মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি, এপ্রিলে ৭ জনের এবং চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪৯ জনসহ চলতি বছর এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৮ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার হাসপাতালে ৩৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি এলাকা ও খুলনা বিভাগে ৮ জন করে, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, রংপুরে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫ হাজার ৯৮৮ জনের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ভর্তি হয়েছেন ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন এবং চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৬৪৩ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২৯৯ জন।এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আরও ২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ যাবত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ যাবত এক কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ২২৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এই যাবত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে মারা গেছেন। ৫ জুন দেশে প্রায় এক বছরের অধিক সময় পর করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল।এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে করোনা আক্রান্ত হলেও দীর্ঘ সময়ে আর কেউ মারা যায়নি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।করোনা প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা : অধ্যাপক সায়েদুর রহমানকরোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। পজিটিভ রোগীদের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আগামী এক মাস ফলোআপ করা হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্টগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাবে। রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আগাম সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে যারা বয়স্ক মানুষ ও বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে ভুগছেন তাদের বেশি সাবধানতা অবলম্বনে পরামর্শ দেন তিনি।রাজধানীসহ সারাদেশে বর্তমানে কত শতাংশ রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছেন। এই সংখ্যা শতাধিকের বেশি হবে না। এত অল্পসংখ্যক ব্যক্তির নমুনা দিয়ে শতাংশের হিসেব করলে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না।তিনি বলেন, স্বল্প সংখ্যক নমুনা হিসেবে আক্রান্ত রোগীর হার শতকরা ৮ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে থাকছে। শুধু একদিন ১৩ শতাংশের বেশি আক্রান্ত ছিল। তবে এই শতাংশের হিসাব দিয়ে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না বলে তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন।তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সত্যিকার অর্থে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনিসহ আরও যে কয়েকজন মারা গেছেন তাদের সবারই বয়স ৬০ বছরের বেশি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগের মতোই বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ