ছবি: সংগৃহীত
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩২৯ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুইজন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দশজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০১ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ছয় হাজার ৮১৭ জন, মারা গেছেন ৩২ জন। ২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো জটিল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, রাগ, উত্তেজনা বা অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে অনেক সময় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করতে পারে। নিচে এমন সাতটি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো:১. ধীরে ও গভীরভাবে শ্বাস নিনগভীর শ্বাস গ্রহণ এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেম সক্রিয় হয়। এটি হৃদস্পন্দন হ্রাস করে এবং রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কয়েক মিনিট শান্তভাবে এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান।২. ঠান্ডা পানি প্রয়োগ করুনমুখ, হাত বা পায়ে ঠান্ডা পানি দিলে রক্তনালি সংকুচিত হয় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিশেষ করে ৫–১০ মিনিট পা ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে চাপ কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।৩. লেবুর পানি পান করুন (চিনি বা লবণ ছাড়া)লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তনালিকে শিথিল করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। অর্ধেক লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার ধীরে পান করা যেতে পারে।৪. আস্তে আস্তে পানি পান করুনশরীরে পানির অভাব হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পানি খেলে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং রক্তচাপ কমে আসতে পারে।৫. পা উঁচু করে বিশ্রাম নিনপিঠ সোজা করে শুয়ে পা হৃদয়ের উচ্চতার চেয়ে ওপরে রাখলে শরীরে রক্ত চলাচল সুষ্ঠু হয় এবং হার্টের ওপর চাপ কমে আসে। এইভাবে ১০–১৫ মিনিট বিশ্রাম নিতে পারেন।৬. রসুন বা তুলসী পাতা গ্রহণ করুনরসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং তুলসীতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া বা কিছুটা তুলসী পাতা গ্রহণ করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।৭. বিকল্প নাক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস (অনুলোম–বিলোম)এই যোগ অনুশীলন নার্ভ সিস্টেমকে শান্ত করে ও মানসিক চাপ কমায়। এক নাক বন্ধ করে অপর নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ধীরে ছেড়ে দিন এবং এই প্রক্রিয়াটি ৫–১০ মিনিট চালিয়ে যান। ভোরের আকাশ/হ.র
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৬০ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৫ জন। মারা গেছেন ৩৮ জনের।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বর্তমানে স্তন, প্রস্টেট, কোলন কিংবা ফুসফুসের ক্যানসার নিয়ে যতটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে, অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার নিয়ে ততটা নয়। অথচ গবেষণা বলছে, এই রোগও নীরবে বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। চিকিৎসকদের মতে, অবহেলা ও অজ্ঞতা থেকেই এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কমবয়সীদের মধ্যে অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করছেন অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, দূষণ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে।অ্যাপেনডিক্স ও অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী?অ্যাপেনডিক্স হলো খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সংযোগস্থলের একটি ক্ষুদ্র থলির মতো অঙ্গ, যা শরীরের ডান তলপেটে থাকে। এখানে ‘গাট ব্যাকটেরিয়া’ নামে পরিচিত উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের বসবাস, যেগুলো হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তবে, এই অঙ্গটি সংক্রমিত হলে সেটিকে বলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। এতে অ্যাপেনডিক্স ফুলে গিয়ে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, যা সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।কেন হয় অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার?প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি বা ক্যাফিন গ্রহণ, ধূমপান এবং দূষিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে অ্যাপেনডিক্সে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হতে পারে, যা ক্যানসারে রূপ নেয়।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের গ্যাস্ট্রিসাইটিস, পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া, বা বংশগতভাবে মাল্টিপল এন্ডোক্রিন নিয়োপ্লাসিয়া টাইপ ১ (MEN1) রয়েছে, তাদের অ্যাপেনডিক্স ক্যানসারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।কীভাবে বুঝবেন ক্যানসারের লক্ষণ?ওজন হঠাৎ করে কমে যাওয়াতলপেটে অসহনীয় ব্যথাসবসময় পেট ভর্তি অনুভব হওয়াডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগাচিকিৎসা ও সতর্কতাবিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অ্যাপেনডিক্স ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য। তাই যেকোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপন, সুষম খাবার, ধূমপান ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।ভোরের আকাশ//হ.র
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে অ্যালকোহল গ্রহণ না করেও অনেক মানুষ ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়, সেটিই ফ্যাটি লিভার। চিকিৎসকদের মতে, এটি সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক জটিলতায় পরিণত হতে পারে।সম্প্রতি হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল চিকিৎসক এমন তিন ধরনের পানীয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, যেগুলো লিভারের জন্য অ্যালকোহলের মতোই ক্ষতিকর—even বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, এ পানীয়গুলো 'যম' স্বরূপ।চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন তিনটি পানীয় ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়—১. চিনিযুক্ত সফট ড্রিংকস ও মিষ্টি পানীয়এই পানীয়গুলোতে থাকে বিপুল পরিমাণে চিনি, যা শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে। এটি ফ্যাটি লিভারের অন্যতম প্রধান কারণ। যাদের লিভার ইতোমধ্যেই চর্বিযুক্ত, তাদের জন্য এই পানীয়গুলো আরও মারাত্মক হতে পারে।২. রেড ওয়াইনঅনেকেই রেড ওয়াইনকে স্বাস্থ্যকর মনে করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ফ্যাটি লিভারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এতে থাকা উপাদানগুলো অ্যালকোহলমুক্ত হলেও লিভারের ক্ষতি করতে পারে।৩. এনার্জি ড্রিংকসক্লান্তি দূর করতে অনেকেই নিয়মিত এনার্জি ড্রিংকস গ্রহণ করেন। কিন্তু এসব পানীয়েও থাকে উচ্চমাত্রার চিনি ও অন্যান্য উপাদান, যা লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এবং ফ্যাটি লিভারকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, এসব পানীয়ের পরিবর্তে চিনি ছাড়া লিকার চা বা গ্রিন টি গ্রহণ করতে। একই সঙ্গে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।সতর্কতা না থাকলে ফ্যাটি লিভার ধীরে ধীরে সিরোসিসে রূপ নিতে পারে, যা লিভারের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দিতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটাতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র