মরক্কোতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে মরক্কোর সামরিক বাহিনী রয়েল আর্মড ফোর্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মরক্কোর উত্তরাঞ্চলের ফেজ-সাইস বিমানবন্দরে। বিবৃতিতে জানানো হয়, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল একটি আলফা জেট ট্রেইনার, যা বিমান বাহিনীর নবীন পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। রুটিন প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে বিমানটি উড়িয়েছিলেন দুই নবীন কর্মকর্তা।
বিমানটি উড্ডয়নের সময় কোনো সমস্যা দেখা না গেলেও অবতরণের মুহূর্তে রানওয়ে স্পর্শ করার আগেই এটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাইলট ও সহ-পাইলট প্রাণ হারান।
রয়েল আর্মড ফোর্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অন্য কেউ হতাহত হননি। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি দুঃখজনক ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি স্কুল ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। সেই ঘটনায় বিস্ফোরণ ও আগুনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, অতীতের সম্মেলনগুলোর সময়কার বাস্তবতা এখন আর প্রযোজ্য নয় এবং ভবিষ্যতে কোনো আলোচনাই দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে পারবে না। এই পরিবর্তিত বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পিয়ংইয়ং।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভাইয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ‘খারাপ নয়’। তবে ওয়াশিংটন যদি এই সম্পর্ককে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে সেটিকে কেবল ‘উপহাস’ হিসেবেই দেখা হবে।তিনি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র যদি এখনও সেই পুরনো, ব্যর্থ কৌশল নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক তাদের জন্য শুধু এক অপূর্ণ বাসনা হিসেবেই রয়ে যাবে।"কিম ইয়ো জং বলেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অনুষ্ঠিত তিন দফা শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা ও ভূরাজনৈতিক অবস্থান ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক রাষ্ট্রের মর্যাদাকে অস্বীকার করার যেকোনো প্রয়াস ‘পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত’ হবে।এদিকে, কেসিএনএর আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে জোরদার হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দীর্ঘ সময় পর পিয়ংইয়ং-মস্কো রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে কিম ও ট্রাম্পের প্রথম বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় বৈঠক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে ভেস্তে যায়।ট্রাম্প বরাবরই দাবি করেছেন, কিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘চমৎকার’। হোয়াইট হাউসও ইঙ্গিত দিয়েছে, রহস্যময় উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ যোগাযোগে আগ্রহ রয়েছে।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৭১ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক বাসরি ওথমান। তিনি জানান, ১৬০ জন কর্মকর্তার একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং ৭৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যাদের মধ্যে ২৫৪ জন স্থানীয় নাগরিক। এ ছাড়া তারা ১৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়।আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ভারতের ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছে। আটক অভিবাসীদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। বাসরি ওথমান বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া, ভিসা আইন লঙ্ঘন এবং বৈধ পরিচয়পত্র না রাখার মতো অভিযোগে এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, আটক এড়াতে কিছু অভিবাসী দোকানের ক্রেতা সেজে লুকানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান। বর্তমানে আটক সবাইকে সেলানগোরের বারানাং এলাকার অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।এর আগে, গত ২৫ জুলাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১-এ সাত ঘণ্টাব্যাপী এক বিশেষ অভিযানে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ জন বিদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই অভিযানে প্রায় ৪০০ জন যাত্রীর ভিসা ও পরিচয় যাচাই করে দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (AKSEM)।সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেভোরের আকাশ//হ.র
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে মরক্কোর সামরিক বাহিনী রয়েল আর্মড ফোর্স এ তথ্য জানিয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে মরক্কোর উত্তরাঞ্চলের ফেজ-সাইস বিমানবন্দরে। বিবৃতিতে জানানো হয়, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল একটি আলফা জেট ট্রেইনার, যা বিমান বাহিনীর নবীন পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। রুটিন প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে বিমানটি উড়িয়েছিলেন দুই নবীন কর্মকর্তা।বিমানটি উড্ডয়নের সময় কোনো সমস্যা দেখা না গেলেও অবতরণের মুহূর্তে রানওয়ে স্পর্শ করার আগেই এটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাইলট ও সহ-পাইলট প্রাণ হারান।রয়েল আর্মড ফোর্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অন্য কেউ হতাহত হননি। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি দুঃখজনক ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি স্কুল ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। সেই ঘটনায় বিস্ফোরণ ও আগুনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী।সূত্র: আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ//হ.র
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন, “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল এই অঞ্চলে টেকসই শান্তি সম্ভব।”মঙ্গলবার দ্য টাইমস অব ইসরায়েল–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স ফয়সাল বলেন, “এটি আমাদের সেই একই দৃঢ় অবস্থান, যা এক বছর আগে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও প্রকাশ করেছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করলেই কেবল সত্যিকার শান্তি ও সংহতি অর্জন সম্ভব।”তিনি আরও জানান, রিয়াদ ও প্যারিস যৌথভাবে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।তবে ইসরায়েলের বর্তমান সরকার ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বরং তারা আন্তর্জাতিক বিরোধিতা উপেক্ষা করে পশ্চিম তীরের একাধিক অংশ নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে—যা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হওয়ার কথা।এদিকে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া মানবিক বিপর্যয় আরও গভীরতর হয়েছে। অনাহারে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যার মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, বাস্তব প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, অনেক আহত ও নিহত ব্যক্তিকে এখনো হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বহু মানুষের অবস্থাও এখনো অজানা।এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের অবস্থান নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যেখানে শান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে তারা স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সামনে এনেছে।ভোরের আকাশ//হ.র