আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫ ১২:৪৮ এএম
ইরান ইস্যুতে পুতিনকে ঘিরে প্রতিবেদনকে ‘অপপ্রচার’ বলছে রাশিয়া
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা মেনে নিতে তেহরানকে উৎসাহ দিয়েছেন—মার্কিন গণমাধ্যমের এমন দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ ছাড়া কিছু নয়।
শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, তিনটি বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পুতিন ইরানকে এমন একটি চুক্তি মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছেন, যেখানে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। চুক্তিটি মূলত ‘শূন্য সমৃদ্ধকরণ’ নীতির ওপর ভিত্তি করে।
রবিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “এই প্রতিবেদনটি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে অস্থিরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিচালিত একটি নতুন অপপ্রচারমূলক রাজনৈতিক উদ্যোগ।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা বরাবরই পরিষ্কারভাবে বলেছি, ইরানের পরমাণু সংকটের সমাধান কেবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে হওয়া উচিত এবং রাশিয়া পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা দেশ ও ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে, তেহরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। যদিও ইরান তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, তারা বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের অধিকার রাখে।
এদিকে রাশিয়া ইরানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে মস্কো বরাবরই অবস্থান নিয়েছে। তবে জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিমান হামলার সময় রাশিয়ার সরাসরি প্রতিক্রিয়া ছিল অনেকটাই নীরব।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়, যা একটানা ১২ দিনের সংঘাতের জন্ম দেয়। এর ফলে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। ওই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল—ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনা এবং এর বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
পরবর্তীতে, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জে অবস্থিত পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। যদিও এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
ভোরের আকাশ//হ.র