ইরানে বিচার বিভাগের ভবনে গ্রেনেড হামলা, নিহত ৮
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে বিচার বিভাগের একটি ভবনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন হামলাকারীও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানের বিচারবিভাগ–সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন জানায়, হামলায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলাকারীরা দর্শনার্থী সেজে ভবনটিতে প্রবেশ করে। এরপর তারা গ্রেনেড ছুড়ে হামলা চালায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন এক বছরের শিশু ও তার মা রয়েছেন।
হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত অভিযান চালায় এবং হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন হামলাকারী নিহত হয়। ইরানের অভিজাত সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জইশ আল আদল এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির নামের বাংলা অর্থ ‘ন্যায়বিচারের সেনাবাহিনী’। ইরানের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর সক্রিয় তৎপরতা রয়েছে।
রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিস্তান-বালুচিস্তান ইরানের সবচেয়ে দরিদ্র ও সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোর একটি। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমানা ঘেঁষা এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের তৎপরতা চলছে। অতীতেও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হয়েছে এই অঞ্চল।
সূত্র: এএফপি
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কারে কিছু অগ্রগতি হলেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ এখনো কাটেনি বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন (USCIRF)। গত ২১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় অধিকারের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও, বাস্তব চিত্রে এখনো অনেকের মধ্যে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে।কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকলেও ধর্ম অবমাননা ও ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ শাস্তির বিধান এখনো বহাল রয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এছাড়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের কথাও তুলে ধরা হয়। কমিশন সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" শব্দের পরিবর্তে "বহুত্ববাদ" যুক্ত করার সুপারিশ করলে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে এবং সংবিধানে “আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” ফিরিয়ে আনার দাবি তোলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রক্রিয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে যথাযথভাবে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম ৪৩৩টি সুপারিশকে "ইসলামবিরোধী" আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গত মে মাসে ঢাকায় এক বিশাল সমাবেশ করে কমিশন বাতিলের দাবি তোলে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রক্ষণশীল ধর্মীয় প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো জবাবদিহির অভাব রয়েছে। হিন্দু, আদিবাসী, আহমদিয়া ও সুফি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগআসন্ন নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবার জন্য ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।সূত্র: আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন (USCIRF)ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতের বিহারে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে অজ্ঞান অবস্থায় থাকা এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৪ জুলাই বিহারের বোধ গায়ার মিলিটারি পুলিশ গ্রাউন্ডে হোম গার্ড পদে নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষা চলাকালে এক ২৬ বছর বয়সী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।অভিযোগ অনুযায়ী, তরুণী যখন অ্যাম্বুলেন্সে অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন, তখন একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তরুণী এই অভিযোগ করেন এবং বোধ গায়া থানায় মামলা দায়ের করেন।অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিনয় কুমার ও টেকনিশিয়ান অজিত কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সের গতিপথ নিশ্চিত করা গেছে।ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, “এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় জনগণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।সূত্র: এনডিটিভিভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদানে বিচার বিভাগের একটি ভবনে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন হামলাকারীও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানের বিচারবিভাগ–সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন জানায়, হামলায় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলাকারীরা দর্শনার্থী সেজে ভবনটিতে প্রবেশ করে। এরপর তারা গ্রেনেড ছুড়ে হামলা চালায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন এক বছরের শিশু ও তার মা রয়েছেন।হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত অভিযান চালায় এবং হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন হামলাকারী নিহত হয়। ইরানের অভিজাত সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।পাকিস্তানভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জইশ আল আদল এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির নামের বাংলা অর্থ ‘ন্যায়বিচারের সেনাবাহিনী’। ইরানের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর সক্রিয় তৎপরতা রয়েছে।রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিস্তান-বালুচিস্তান ইরানের সবচেয়ে দরিদ্র ও সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোর একটি। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমানা ঘেঁষা এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের তৎপরতা চলছে। অতীতেও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হয়েছে এই অঞ্চল।সূত্র: এএফপিভোরের আকাশ//হ.র
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সের ২২১ জন সংসদ সদস্য (এমপি)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন তারা। খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। এমনকি প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন এমপিও এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে মোট আসন সংখ্যা ৬৫০টি। সেই হিসাবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এমপি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বর্তমান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার-এর নামও রয়েছে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়।চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমরা জানি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার একক ক্ষমতা যুক্তরাজ্যের নেই। তবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থান থেকে যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে তা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”চিঠি প্রদানের দুই দিন আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।ফ্রান্সের এই ঘোষণার পরপরই ব্রিটিশ এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি দেন।তবে এমপিদের এই চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার জানিয়েছেন, ‘এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উপযুক্ত সময় নয়।’এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সেই শান্তিপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ। তার আগে জরুরি কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে— গাজায় ইসরায়েলের হাতে আটক সব জিম্মির মুক্তি এবং একটি কার্যকর ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। এসব বাস্তবায়ন না হলে স্বীকৃতির কোনো অর্থ থাকবে না।”তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য তার মিত্রদের সঙ্গে মিলে গাজায় যুদ্ধাবসান ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।সূত্র: আলজাজিরা, আরটিভোরের আকাশ//হ.র