সংগৃহীত ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার অন্তত ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছোট ফেনী নদীর পানি কয়েক ফুট বেড়ে গিয়ে তীরবর্তী গ্রামগুলোর অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক ডুবে গেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবেশ করায় নদীতীরবর্তী সায়েদপুর, চর ইঞ্জিমান, মাদরাসা পাড়া, আমতলী, ইতালি মার্কেট, রহমতপুর, তেল্লার ঘাট, কাজীর হাটসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সায়েদপুরের আব্দুর রহিম নামে এক বাসিন্দা বলেন, শনিবারের জোয়ার ছিল অস্বাভাবিক। এমন উচ্চতার পানি আগে কখনো দেখিনি। আমরা এ অবস্থার দ্রুত সমাধান চাই। একটি টেকসই রেগুলেটর নির্মাণ না হলে ভবিষ্যতে এ জনপদে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
কাজীর হাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের সবকিছুই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রোববারও জেলাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, জোয়ারের পানি নদী হয়ে খালে প্রবেশ করে চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, বগাদানা ও চর মজলিশপুর এলাকার কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি এসব এলাকায় চাষাবাদ না করে উঁচু জমিতে ফসল আবাদ করতে। জেলা কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছেন।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. আবু মুসা রকি বলেন, আমরা স্লুইস গেটসহ প্লাবিত অঞ্চলগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ১৪৬ মিটার। অমাবস্যায় এমনিতেই পানি বাড়ে, তার মধ্যে রেগুলেটর না থাকায় সাগরের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক সময় চাই শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করতে। আমাদের সরকারের একটা যে আচরণ, আমরা অহেতুক কোনো কাউকে আমরা লেথাল ওয়েপন ইউজ করা, বা কোনো কঠিনভাবে দমন করতে চাই না। সেটা করতে গিয়ে অনেকে, যখন একটু বেশি হয়ে যায় সেটাতেও আমরা অনেক সহ্যের পরিচয় দেই, সহ্য করি।’’রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিএইচএ ভবনে আয়োজিত জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।তিনি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, এটা সামাজিক ব্যাপার মব সৃষ্টির ব্যাপারটাকে সামাজিকভাবে, আপনারা মিডিয়া কিন্তু অনেক ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন। মব সৃষ্টি যেসব কারণে হয়, সে কারণগুলোকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। সেটাই আমি মনে করি, করা ভালো। এখানে সরকার কোনো ধরনের বাড়তি দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী না।’’ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভিন্ন সময়ে, বিগত সময়ে যেভাবে আমরা দেখেছি, যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং যারা ক্ষমতাসীন তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, এবং অনেকগুলো এমন আছে মানবাধিকারের বিষয় যেগুলো স্ট্র্যাকচার মানে একেবারে কাঠামোগত, ওগুলো ইয়ে করতে হবে।’’‘‘এই যে মানবাধিকার কমিশন, আমাদের পক্ষে তখন কাজ করেছে আন্তর্জাতিকভাবে এবং অনেকগুলো প্রতিবেদন তারা করেছে। যার ফলে কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার আন্তর্জাতিকভাবে ডকুমেন্টেড হয়েছে তাদের কাজটা। এখন আগামীতেও তারা যখন অফিস করতে চাচ্ছে, তার মানে এই না, এখন আমাদের মানবাধিকার অবস্থা খারাপ বলে আসতে চাচ্ছে তা না। এটা হলো, এরকম একটা অফিস থাকলে, যেই আসুক ক্ষমতায় তারা সবাই প্রত্যেকে একটা ইয়ে থাকবে, যে আমাদের মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে আমরা খুবই সচেতন এবং আমরা সেটা রক্ষা করতে চাই। এবং যেহেতু জাতিসংঘ এই বিষয়ে সক্রিয় তারা তাদের অফিস রেখে এটাকে করতে চাচ্ছেন, আমরা এটাকে সম্মতি জানিয়েছি,’’ যোগ করেন তিনি।এর আগে ইলিশ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘ইলিশের যে ধরার মৌসুম, ইলিশ বেড়ে ওঠে গত অক্টোবর নভেম্বর থেকে মা ইলিশ রপ্তানি আমরা চেষ্টা করেছি, তারপর জাটকা নিধন যেন না হয়, যেন ইলিশ বেড়ে উঠতে পারে, সেটা জুনের ১১ তারিখ পর্যন্ত ছিল। এরপরে যেটা হয়েছে, আমরা প্রতিদিন মনিটরিং করছি, সেটা হলো, ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে আসতে পারছে না বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে। সাগরের মাঝখানে ইলিশ আছে কিন্তু নদীতে আসতে পারছে না। গতকাল পর্যন্ত খবর এসেছে, নদীতেও ইলিশ আসছে। তবে এই একটু আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে, বিশেষ করে সাগরে তিন নম্বর বিপৎসংকেত আছে বলে, অনেক জেলে এখন মাছ ধরতে যেতে পারছে না।তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে আমি বলতে পারি, ইলিশের সরবরাহ বাড়লে বাজারে দাম কমবে। এবং ইলিশের সরবরাহ বাড়লে যদি বাজারে দাম না কমে, তাহলে বুঝতে হবে, এখানে সিন্ডিকেট কাজ করছে। তাহলে বুঝতে হবে, এখানে বাজার ব্যবস্থার মধ্যে ত্রুটি আছে। সেটা করার জন্য আমরা বাজারে আড়ৎদারদের সাথে আমরা প্রতিদিন কথা বলছি। আমরা বলছি, এটা কোনো অবস্থাতেই এক কেজি ইলিশ যাতে ১৫০০ টাকার ওপরে না হয়। হাজারের নিচে রাখতে পারলে আরও খুশি হতাম। তবে আপনাদের আরও একটা তথ্য দেই, সত্যিকারের ইলিশের স্বাদ হয়, ৭০০-৯০০ গ্রামের ইলিশের মধ্যে। এটা ওরা বলে আরকি। সেটার দাম কম হবে। সেটার পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি আসছে। বড় ইলিশ যারা খেতে চায়, তারা বেশি দাম দিয়ে খাবে। সেটা অন্য ব্যাপার। আমি খুবই চাচ্ছি, ইলিশের সরবরাহ বাড়ুক। এবং আমাদের দেশের মানুষ খাক। বিদেশে আমরা পাঠাচ্ছি শুধু দুটো দেশে। সেটা হলো, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ওখানে প্রবাসীদের একটা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। তারা আমাদের রেমিট্যান্স দিচ্ছেন, তারা ইলিশ খেতে পারছেন না এটার জন্য আমরা ১১ হাজার মেট্রিক টন বানিজ্য মন্ত্রনালয়কে অনুমতি দিয়েছি আমরা, যদি কেউ রপ্তানি করতে চায় সেটা দিতে পারবেন। এটার বেশি না। কাজেই এটা আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা থেকে এক কণা সরিনি।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘এবার যে তথ্য, ভারতেরই পত্রিকার তথ্য হলো, গঙ্গায় ইলিশ অনেক বেড়ে গেছে। যে কোনো কারণেই হোক, ওদিকে সাগরের ইলিশ ওদিকে গেছে। কাজেই তাদের আর আমাদের ইলিশের অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। আমাদের এখানে যদি ইলিশের সঙ্কট থাকে, তাদের ওখানে আমাদের পাঠানোর কোনো কারণ নাই। এই সৌজন্য গতবার রাজনৈতিক কারণে দেখানো হতো, আমরা আসলে জনগণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে গিয়ে যদি সেটা সরবরাহ বেশি থাকে, বা সেই রকম পরিস্থিতি হয়, সেটা তখন দেখা যাবে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সেরকম কোনো পরিকল্পনা নেই।’’গণবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সব বিশ্ববিদ্যালয় আন্তরিক। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে এটা করছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বলতে অনেক সময় আমরা মনে করি বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষার একটা ব্যবস্থা। সেজন্য ওখানে ছাত্র সংসদ প্রয়োজন হয় না। কিন্তু গণবিশ্ববিদ্যালয় তো সেভাবে চলে না। এটা তো মুনাফার জন্য করা হয়নি। এটা করা হয়েছে, সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে। সেখানে ওরা যেটা চেয়েছে আমরা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’’অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হোসাইনসহ রেজিষ্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় গবাদি পশুর চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। ১১টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৪ জন। যে কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গবাদি পশুর মালিকরা। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন থেকে।সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধিত গাভীর খামার ৪৫টি, অনিবন্ধিত গাভীর খামার রয়েছে ১ হাজার ৩০০টি। নিবন্ধিত ছাগলের খামার ১টি ও অনিবন্ধিত ৮১টি। ভেড়ার খামার রয়েছে ১৫টি। এসব খামারে গরু রয়েছে ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৭টি, মহিষ রয়েছে ৫০০টি, ছাগল ১২ লাখ ১২ হাজার ১০টি, ভেড়া ২২ হাজার ৭২০ টিসহ মোট ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার গবাদি পশু।এ ছাড়াও প্রায় প্রতি বাড়িতেই অসংখ্য হাঁস-মুরগি ও কবুতর খামার রয়েছে। যার একমাত্র চিকিৎসার ভরসা উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গবাদি পশু চিকিৎসার জন্য আসেন কৃষকরা। জনবল কম থাকায় হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসা ব্যয় গুনতে হয় দিগুণ হারে। কাগজে কলমে কর্মরত ৬ জন থাকলেও উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ভিএফএ) হরি প্রিয়া সরদার রয়েছেন ৩ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণে অপর জন ড্রেসার পদে কর্মরত শ্রী রিপন কুমার শুরু থেকেই ঢাকা চিড়িয়াখানায় সংযুক্ত থাকলেও বেতন-ভাতা নেন এই দপ্তর থেকে। এ ছাড়াও কৃত্রিম প্রজননের দায়িত্বে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (এআই) পদ, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ, কম্পাউন্ডার পদে কোন জনবল নেই।ভিভিএ পদে ৪ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ২ জন এবং অফিস সহকারী-কাম মুদ্রাক্ষরিক পদটিও শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। অসুস্থ গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসার ভরসা সবেধন নীলমণি ভেটেরিনারি সার্জন। তার দু’জন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ থাকলেও শূন্য রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। যে কারণে হাসপাতালে গবাদি পশুর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।চতরা ইউপির নাদনপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম, বাটিকামারীর কৃষক রতিন্দ্রনাথ জানান, গরুর চিকিৎসা নিতে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করে ডাক্তারের দেখা পাইনি।ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, অসুস্থ প্রাণীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল কবীর বলেন, আমি কিছু দিন আগে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। এখানে ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে ৫ জন নিয়মিত অফিস করছেন। বাকি পদগুলো শূন্য রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়েই চিকিৎসা সেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা শহরের কালেক্টরেট মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা কমিটি।জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। সেই সরকারকে সাধারণ ছাত্র জনতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামিয়েছে। তরুণদের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে। আমরা বলছি মুজিববাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নতুন সংবিধান করতে হবে। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা একটি গণকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করবো। নেত্রকোনা বন্যা কবলিত এলাকা, তাই একটি টেকসই জেলা গঠনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টিকে সহযোগিতা করুন। ইনশাআল্লাহ এই নাগরিক পার্টি জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে আমরা রাজপথে নেমেছি। দেশব্যাপী সংস্কার এবং নতুন সংবিধান জন্যে রাজপথে নেমেছি। সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কান্ত হব না। আশা করি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।বক্তব্যে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, সংস্কার, বিচার বিভাগ এবং নতুন সংবিধান গড়তে না পারি তাহলে বারাবার ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে। ৭২সনে যে সংবিধান বানিয়েছে তা তাদের সুবিধার জন্য করেছে। ভারতীয় আধিপত্যের মাধ্যমে মুসলমান আলেম সমাজকে কোনঠাসা করে রেখেছে। ওই সংবিধানে মানুষের অধিকার ছিলো না। আমরা যে সংবিধানের কথা বলছি সেটি সকল ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। যারা আমাদের দেশের মানুষকে গুম করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলো। এতো এতো মানুষ খুন করেছে এ দেশের মাটিতে তাদের বিচার করতেই হবে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান, সংস্কার এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার নিয়ে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র চালান করলেন, যদি তা হ্যান্ডেলিং করতেই না পারবেন, তবে আনলেন কেন ? এই দশ ট্রাক অস্ত্রের কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌম হুমকির মূখে পড়েছে। বাংলাদেশের জনগণের জীবন বিপন্নতার মধ্যে।জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা বারোটার দিকে নেত্রকোনা জেলা শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টরেট মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ স্থলে আসেন। এর আগে নেত্রকোনা জেলা শহরে পদযাত্রা করার কথা থাকলেও সে সময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা করেছেন নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরে জেলা শহরের পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল, মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পরে তিনজনের বক্তব্য শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দ্রুত সমাবেশস্থল ত্যাগ করে শেরপুরের উদ্দেশ্য চলে যান।ভোরের আকাশ/জাআ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে পারফরমেন্স বেজড গ্রেন্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস স্কিম (এসইডিপি) এর আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের এসএসসি ও এইচএসসির শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (২৭ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আল মামুন তালুকদারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম।কামড়া মাশক ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহা. হারুনুর রশীদ মোল্লার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল আরিফ সরকার, কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের অধ্যক্ষ শাহজাহান কবির। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দিগদা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, ইকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নূরুজ্জামান মোড়ল, বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, ফুল বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন প্রধান, রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী মনসুর, কৃতি শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী তৈয়বা আক্তার নূর প্রমুখ।উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২২ ও ২৩ সালে উর্ত্তীণ ৩৪জন কৃতি শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সংবর্ধনা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।আয়োজকরা জানান, পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) এর অধীনে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পর্যায়ে পরিচালনা ও জবাবদিহিতার জন্য অনুদান প্রদানের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায়, নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের অনুদান পেয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে "উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরষ্কার" এবং "উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরষ্কার" এর মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করা।ভোরের আকাশ/জাআ