সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন— সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের পরিবারের অর্থপাচার মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রিমান্ড মঞ্জুরের কয়েক মিনিট পরই অসুস্থ হয়ে কাঠগড়ায় রাখা বেঞ্চে ঢলে পড়েন এনায়েত করিম চৌধুরী। পরে পুলিশ সদস্যদের কাঁধে ভর দিয়ে হাজতখানায় যান তিনি।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এনায়েত করিম চৌধুরীর রিমান্ড মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় তার রিমান্ড মঞ্জুর হলো।জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ পুলিশের সাবেক আইজিপি (মহাপরিদর্শক) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজ কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার অনুসন্ধান চলাকালে বেনজীরের অর্থপাচারের সঙ্গে আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক।এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের জন্য ভিনদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এনায়েত করিম চৌধুরী (৫৫) ও তার প্রধান সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদের (৪৯) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। তার আগে ১৫ সেপ্টেম্বর একই মামলায় তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোড থেকে এনায়েতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান আদালত।আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা থানায় হওয়া মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় প্রাডো গাড়িতে আরোহণ করে সন্দেহজনক চলাচল করতে দেখা যায় আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীকে। এ সময় তার গাড়ি থামানো হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে না পারায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।তার কাছ থেকে পাওয়া ২টি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ফোন বিশ্লেষণ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নিজেকে ভিনদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের গোপন মিশন নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে এদেশে এসেছেন বলে স্বীকার করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে আজ রোববার।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দকৃত ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্পচার করা হবে।এদিন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করবেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।এর আগে, ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজন হারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করছেন। সেই সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত থাকেন।অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল সেই রোডম্যাপ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হোটেল গ্র্যান্ড পার্ক, বরিশালে জুডিশিয়াল ইনডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ- শীর্ষক এই বিভাগীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এই সেমিনারটি সিরিজের সর্বশেষ সেমিনার ছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।এর আগে দেশের ৭ বিভাগীয় শহর, যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার (সিলেট), রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনায় এ সংক্রান্ত ৮টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এই আট সেমিনারের মধ্যে ঢাকায় আয়োজন করা হয় দুটি সেমিনার যার মধ্যে একটি আঞ্চলিক ও একটি জাতীয়। এ সংক্রান্ত জাতীয় সেমিনার ২২ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার সিরিজের প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়।বৃহস্পতিবার বরিশালে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।এছাড়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মি. হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, এক বছর পূর্বে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল সেই রোডম্যাপ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বদলে গিয়েছে আদালতের সংস্কৃতি, জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা। প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে সংস্কার যাত্রায় কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন।উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনজ্ঞ, গবেষক ও নাগরিকরা দাবি করে আসছিলেন একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং কলিজিয়ামভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স-২০২৫ প্রণয়নের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। এরইমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় ঐকমত্য আজ আইনে রূপান্তরিত হয়েছে এবং জনআস্থার যোগ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হচ্ছে।বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রায় সম্পূর্ণ। প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হচ্ছি একটি যুগপৎ প্রশাসনিক দ্বৈতকাঠামো (পোস্টিং, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত) অবসানের পথে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে এএম ট্রেডিং নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে জাল নথি তৈরি করে তা ব্যবহার করেছেন। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাইফুল আলম দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অর্থ এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাস বা রূপান্তর করেছেন, যার পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা।তদন্ত চলাকালে আসামিদের আটক করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা বিদেশে পলাতক রয়েছেন। মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোল কর্তৃক তা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি।এর আগে গত ১০ জুলাই সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা মোট ৪০টি ব্যাংক হিসাব এবং একাধিক বিমা পলিসি অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। তার স্ত্রীর নামে আরও ৪টি ব্যাংক হিসাব এবং তাদের দুজনের যৌথ নামে দুইটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬.৮ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। তার আগে ৯ জুলাই এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা আরও ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা জমা রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ