দুর্গোৎসব: মহাষষ্ঠীর বরণ শেষ, আজ মহাসপ্তমী পূজা
ঢাক, শঙ্খ ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে রবিবার রাজধানীসহ দেশের মণ্ডপে মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাষষ্ঠীর বরণ। ভক্তরা দেবী দুর্গাকে আরাধনা করে শুরু করেছেন শারদীয় দুর্গোৎসব।
আজ সোমবার মহাসপ্তমী পূজা। সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনসহ সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী ষোড়শ উপাচারে দেবীকে পূজা করা হবে। ভক্তরা আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
পুরোহিত হরিচাঁদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মহাসপ্তমীতে ‘কল্পারম্ভ’ করা হয়, যার মাধ্যমে দেবীর কাছে পূজার্চনার শুদ্ধ ও সম্পূর্ণ সংকল্প প্রকাশ করা হয়। এ সময় ভক্তরা অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেবীর চরণে প্রার্থনা করেন।
দেবীর সঙ্গে এই সময়ে উপস্থিত থাকেন চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী, এবং কার্তিকের কলাবউ। ষষ্ঠীতে দেবী বেলগাছের তলায় ঘুমিয়ে থাকেন, বোধনের মাধ্যমে ভক্তরা তাঁর ঘুম ভাঙান। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভোর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ এবং নিরাপত্তা তৎপরতা দেখা গেছে।
আজ মহাসপ্তমীর অন্যতম অনুষ্ঠান হলো নবপত্রিকা স্থাপন। এটি ৯ প্রজাতির উদ্ভিদের সমন্বয়ে তৈরি, যেগুলোকে দেবীর ৯টি বিশেষ রূপের প্রতীক হিসেবে পূজিত করা হয়। নবপত্রিকা স্থাপনের পর দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে দেবীকে মহাস্নান করানো হবে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ঢাক, শঙ্খ ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে রবিবার রাজধানীসহ দেশের মণ্ডপে মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাষষ্ঠীর বরণ। ভক্তরা দেবী দুর্গাকে আরাধনা করে শুরু করেছেন শারদীয় দুর্গোৎসব।আজ সোমবার মহাসপ্তমী পূজা। সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনসহ সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী ষোড়শ উপাচারে দেবীকে পূজা করা হবে। ভক্তরা আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।পুরোহিত হরিচাঁদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মহাসপ্তমীতে ‘কল্পারম্ভ’ করা হয়, যার মাধ্যমে দেবীর কাছে পূজার্চনার শুদ্ধ ও সম্পূর্ণ সংকল্প প্রকাশ করা হয়। এ সময় ভক্তরা অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেবীর চরণে প্রার্থনা করেন।দেবীর সঙ্গে এই সময়ে উপস্থিত থাকেন চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী, এবং কার্তিকের কলাবউ। ষষ্ঠীতে দেবী বেলগাছের তলায় ঘুমিয়ে থাকেন, বোধনের মাধ্যমে ভক্তরা তাঁর ঘুম ভাঙান। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভোর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ এবং নিরাপত্তা তৎপরতা দেখা গেছে।আজ মহাসপ্তমীর অন্যতম অনুষ্ঠান হলো নবপত্রিকা স্থাপন। এটি ৯ প্রজাতির উদ্ভিদের সমন্বয়ে তৈরি, যেগুলোকে দেবীর ৯টি বিশেষ রূপের প্রতীক হিসেবে পূজিত করা হয়। নবপত্রিকা স্থাপনের পর দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে দেবীকে মহাস্নান করানো হবে।মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।ভোরের আকাশ//হ.র
ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে যেন শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিত যে কার দিকে, তা বোঝা কঠিন হয়নি কারও জন্যই। একদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, অন্যদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে বিতর্কের মূল সূত্রটা সাকিবের আরেক পরিচয়কে ঘিরে—আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়া।রোববার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ। সেখানে তিনি লিখেন, “একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। কিন্তু আমি সঠিক ছিলাম। এখানেই আলোচনা শেষ।”যদিও কারও নাম নেননি তিনি, তবে অনলাইনে সক্রিয় অনেকের ধারণা—এই মন্তব্য সাকিবকে উদ্দেশ্য করেই করা। কারণ, তার ঠিক এক ঘণ্টা আগে রাত ৯টার দিকে সাকিব নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে তাঁকে দেখা যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “শুভ জন্মদিন, আপা।”এই পোস্টের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় সাকিব ছিলেন কানাডায়। এরপর থেকে তিনি আর দেশে ফেরেননি। অথচ নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।সাকিবের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলা, শেয়ারবাজারে অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাসহ একাধিক অভিযোগ। এ কারণেই অনেকের ধারণা, ক্রীড়া উপদেষ্টার ইঙ্গিত ছিল তাঁকে ঘিরেই।ভোরের আকাশ।। হ,র
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয় বরং সম্প্রীতির ও ঐক্যের প্রতীক।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সনাতনী ধর্ম বিশ্বাস মতে দশপূজা দুর্গার কাঠামোতে দেশ ও জাতির সব ধরনের ঐক্য, সংহতির প্রতীক আছে। লক্ষ্মীর ধনসম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বীরত্ব আর গণেশের সাফল্য এবং দশভূজা দুর্গার অসীম শক্তি সম্মিলিতভাবে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে।এর মধ্যেই ঐক্যবদ্ধ জাতির চিত্র আছে। জ্ঞান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে, শক্তি নিয়ে সবাই যার যার শক্তি নিয়ে এই ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারব। কারো সাধ্য নাই আমাদের দমিয়ে রাখার। নিজেরা নিজেরা বিভক্ত হয়ে গেলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আমরা জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারব না।তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বছরের মতো এ বছরেও সরকারি ছুটি দুই দিন রাখা হয়েছে। সঙ্গে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় আমি আশা করছি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এই উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালন করতে পারবেন। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয়। নাশকতার মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো আতঙ্কা সৃষ্টি বা উৎসবের বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য সরকার রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করছে যেন একটা নিখুঁত দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী র্যাব, বিজিবি, আনসারের প্রত্যেক সদস্যকে আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি ইতোমধ্যে।তিনি আরো বলেন, উৎসবের দিনও যারা এই কঠিন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন আমি জাতির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কারণে আজকের এই উৎসবের দিনে আমি সশরীরে আপনাদের সামনে আসতে পারিনি। তবে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্য, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি তার সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সব অশুভ অন্যায় আর অন্ধকারকে পরাজিত করে ঐক্য সম্প্রীতির জয় হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। সবাইকে আবারও শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ