ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালতে প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, এ আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব পাল কোরআন শরীফ অবমাননার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য জামিন নাকচ চেয়ে অপূর্ব পালকে কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ওই শিক্ষার্থী কোরআন শরীফ অবমাননা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিজেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে রাতেই উত্তেজিত একদল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা তার বাসার নিচে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপূর্ব পালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালতে প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন।পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, এ আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব পাল কোরআন শরীফ অবমাননার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য জামিন নাকচ চেয়ে অপূর্ব পালকে কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ওই শিক্ষার্থী কোরআন শরীফ অবমাননা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিজেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে রাতেই উত্তেজিত একদল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা তার বাসার নিচে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপূর্ব পালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসে রাষ্ট্রপতির ছবি পুনঃস্থাপন চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন, হাইকমিশন ও দূতাবাসগুলোতে রাষ্ট্রপতির ছবি প্রদর্শন না করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের কারণে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতির ছবি প্রদর্শন করা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রথা ও রাষ্ট্রীয় প্রোটোকলের অংশ।বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(২) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে: “রাষ্ট্রপতি হইবেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং তিনি রাষ্ট্রের সব ব্যক্তির ওপর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হইবেন।” সুতরাং, রাষ্ট্রপতির ছবি অপসারণ করার যেকোনো নির্দেশ সংবিধান পরিপন্থি, রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল লঙ্ঘনকারী এবং রাষ্ট্রপ্রধানের পদমর্যাদার অবমাননা। ওই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত, বা মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাংবিধানিকভাবে বৈধ।নোটিশে বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশ মিশন, হাইকমিশন ও দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি অবিলম্বে পুনঃস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, যিনি প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন, তার ছবিও রাষ্ট্রপতির ছবির সঙ্গে প্রদর্শন করতে হবে।নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নোটিশ পাওয়ায় ১০ (দশ) দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির ছবি বিদেশে অবস্থিত সব বাংলাদেশ মিশন, হাইকমিশন ও দূতাবাসে অবিলম্বে পুনঃস্থাপন করতে হবে, অন্যথায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ওই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২০০৯ সালে মামলাটি করে দুদক।রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন।এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে তার বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক ওই বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা তার গোপন করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হতে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস. এম. মফিদুল ইসলাম।২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।অবশেষে আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস হলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগ ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে ১৫ টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে বাধা নেই।রোববার (৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।যে ১৫টি ক্লাব নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে সেগুলো হলো— এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদপুর ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ভাইকিংস্ ক্রিকেট একাডেমি, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব, আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতির চিঠি কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে চিঠি দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র (২০২৪ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী একটি সাধারণ পরিষদ গঠন এবং পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ক্যাটাগরী-১) ‘কাউন্সিলর’-এর নাম মনোনয়নের জন্য বোর্ড কর্তৃক সূত্রে উল্লেখিত গত ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে বিজ্ঞপ্তি এবং গত ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কুরিয়ারযোগে একটি পত্র, কাউন্সিলর মনোনয়ন মূল ফরম এবং গঠনতন্ত্রের কপি বিভাগীয়/জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্মানিত সভাপতি/আহ্বায়ক বরাবর পাঠানো হয়েছে।পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও গত ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সম্মানিত বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাউন্সিলর মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র (২০২৪ সালে সংশোধিত)-এর আওতায় বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ৯.১ এর (ক) এবং (খ) আবশ্যিকভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেসরকারি হস্তক্ষেপসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন প্রায় দেড় ডজন প্রার্থী। ক্যাটাগরি-২ ঢাকার ক্লাব থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৫ জনের মতো প্রার্থী। এরপর তাদের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল—বর্তমান বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। অথবা অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দেওয়া হোক। প্রয়োজনে বর্তমান তপশিল বাতিল করে নতুন করে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু একটা দাবির ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করেনি ক্রীড়া প্রশাসন।এদিকে মেজর (অব.) ইমরোজ ও লুতফর রহমান বাদলের সরে দাঁড়ানো এবং আর দুই প্রার্থীর সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেই নিশ্চিত হয়েছে বিসিবির নতুন বোর্ডের সম্ভাব্য ১২ পরিচালকের নাম।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১২ পরিচালক হতে পারেন ইসতিয়াক সাদেক (ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব), আদনান রহমান দীপন (রূপগঞ্জ টাইগার্স), ফায়াজুর রহমান মিতু (উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব), আবুল বাশার (প্রাইম ধলেশ্বর), আমজাদ হোসেন (ঢাকা স্পারটান্স), শানিয়ান তানিম নাভিন (ঢাকা মেরিনার ইয়াংস), মো. মোখছেদুল কামাল (গোল্ডেন ঈগলস), মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া (ভিক্টোরিয়া এসসি), এম নাজমুল ইসলাম (ট্যালেন্ট হান্ট), ফারুক আহমেদ (রেঞ্জার্স ক্রিকেট), মো. মনজুর আলম (রেগুলার স্পোর্টিং ক্লাব) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (যাত্রাবাড়ী ক্রীড়া চক্র)।ভোরের আকাশ/মো.আ.