ইশরাককে শপথ পড়াতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আজকের মধ্যে শপথ পড়াতে সরকারকে লিগ্যাল পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সোমবার (২৬ মে) সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, রায় অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ২৭ মে গেজেট জারি করেছে। আইন অনুসারে গেজেট জারির ৩০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। এর মধ্যে ২৯ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু শপথ পড়াতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে শপথ পড়াতে গত ১৭ মে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর ২১ মে একটি আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তাতেও সাড়া দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন,২০০৯ অনুসারে আমার মক্কেল ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আজকের (২৬ মে) মধ্যে শপথ পড়াতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা বা আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন বিএনপি নেতা ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিচারক হিসেবে ‘বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায়’ দেওয়া এবং ‘জাল রায়’ তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ আদেশ দেন। সকালে খায়রুলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক।গত বছরের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিচারপতি খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।এর আগে, ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন রাতে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের নামে থাকা রমনা এলাকায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ৩ হাজার ২৭৬ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাতটি ব্যাংক হিসাব ও পাঁচটি বিও হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। দুদকের উপপরিচালক খায়রুল হক এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়েছে, মো. নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও বদলিবাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগসংশ্লিষ্ট মো. নজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাবরঅস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তাদের কোনো বৈধ উৎসের তথ্য পাওয়া যায়নি।স্ত্রী-সন্তানসহ এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাস্ত্রী-সন্তানসহ এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট মো. নজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার বা অন্যত্র স্থানান্তর বা হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রেরসমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ সম্পদগুলো অবিলম্বে জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর নজিবুর রহমানকে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ।সোমবার (২৮ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।এদিন সকাল ১০টার পর কারাগার থেকে এএসআই আমির হোসেনসহ চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।এরও আগে গত ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওইদিন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-২।গত বছরের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশে গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।রোববার (২৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। রিমান্ড চাওয়া অন্যরা হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন।এর আগে একইদিন সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। এতে তিনি ছয়জনকে আসামি করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও ১৩ বছর বয়সী শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান।তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন।এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টাত দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে আটক করে এবং ওই সময় এজাহারনামীয় আসামি কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।ভোরের আকাশ/এসএইচ