দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫ ০৪:০৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন এবং তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌথ বিবৃতিতে আস্থা রাখছেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন এর আগেও হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
তিনি বলেন, “হয়তো জানুয়ারিতেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে।”
লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাঁরা এ সিদ্ধান্তে এসেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সেই দায়িত্ব পালন করবে বলে মনে করেন মিন্টু।
তিনি আরও বলেন, “যদি কেয়ার টেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তন হয়, তাহলে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেয়ার টেকার হবেন। কেয়ার টেকার সরকারের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলা আছে।”
ফেনী অঞ্চলের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোনো চিন্তা নেই।”
বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি, বিষয়টি সঠিক নয়। বরং ২০০৬ সাল থেকেই আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো কার্যকর নির্বাচনকালীন সরকার নেই বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর মতে, প্রায় দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকায় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক বা জীবনযাত্রার মানের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ