দেশের মঙ্গলের জন্য সবার দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দেশের মঙ্গলে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৭ জুন) জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিমকালে তিনি এ আহ্বান জানান। সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহে উপস্থিত উপস্থিত হন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত শুরু হয়ে পৌনে ৮ টায় শেষ হয়। পরে মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করেন মুফতি আব্দুল মালেক।
এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্য দোয়া করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছার পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ শনিবার দুপুরে সেনাপ্রধান সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান। সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাঁরা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।ছবিতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবভনের কর্মকর্তারা। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।এদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।ভোরের আকাশ/আজাসা
ঈদের ঠিক দু’দিন আগে রাজধানীবাসী যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত, ঠিক তখনই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অনেকে। রিকশা, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে।দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একাধিক আঘাত ও হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অনেকের। ছোট ছোট আঘাত ও ক্ষতের ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু হাড় ভেঙে যাওয়া কিংবা বড় ধরনের ক্ষতি হওয়া ব্যক্তিদের ছুটতে হচ্ছে হাসপাতালে। এ অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পরও রোগীর ভিড়ে অনেকেরেই চিকিৎসাগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে।ঈদ আনন্দে সবাই মেতে থাকলেও দুর্ঘটনার শিকার কিংবা অসুস্থদের জীবনে হাসি নেই। চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত না হওয়ায় নীরব কান্না হাসপাতালে আগত রোগীদের। এ কারণে হাসি-আনন্দ ভুলে যন্ত্রণা আর অশ্রু সহ্য করে কাটাতে হচ্ছে ঈদের দিন।এবার ঈদ উপলক্ষে ৫ জুন থেকে টানা ১০ দিনের ছুটি দেয়া হয়েছে। ফলে এ ঈদে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে প্রায় সবার মাঝে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মতো জায়গায় শান্তির পরিবর্তে অশান্তি। হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় জরুরি সেবার চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আর ভোগান্তি বেড়েছে রোগীদের।এদিকে অন্যান্য বারের মতো এবারও চিকিৎসাসেবার সংকট গুরুত্ব বুঝতে পেরে এগিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরইমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। মূলত ঈদের ছুটি যেন রোগীদের জন্য কষ্টে পরিণত না হয়, সে জন্যই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান নির্দেশনা সমূহজরুরি বিভাগে ডিউটিতে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।লেবার রুম, জরুরি অপারেশন থিয়েটার ও ডায়াগনস্টিক ল্যাব ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে।ঈদের আগে-পরে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত জনবল বজায় থাকে।প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জনস্বার্থ ও জরুরি সেবার ধারাবাহিকতা বিবেচনায় রেখে ছুটি অনুমোদন করতে হবে।জেলা পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা বিভাগীয় পরিচালকদের আগেই জানাতে হবে।বিভাগীয় প্রধানদের প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারকি করতে হবে এবং এক্স-রে ও ল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ ডায়াগনস্টিক সেবাসমূহ সচল রাখতে হবে।জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন, রিএজেন্ট ও সার্জিকাল সরঞ্জামের পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সর্বদা সচল রাখতে হবে।হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাধ্যতামূলক।অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ডিউটিরত স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে হবে এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে।যদি প্রধান কর্মকর্তা ছুটিতে থাকেন, তাহলে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে এবং তার যোগাযোগ তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।ঈদের দিন ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে তা বিতরণ নিশ্চিত করবেন।বহির্বিভাগ (ওপিডি) ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না — কিছুটা নমনীয়তা রাখা হলেও মূল নিয়মটি বজায় থাকবে।বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নির্দেশনানিবন্ধিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও মাতৃত্বসেবা নিশ্চিত করতে হবে।প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রয়োজনে রেফারকৃত রোগীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।কোনো জরুরি অবস্থা বা দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএইচএসকে জানাতে হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।শনিবার (৭ জুন) দুপুরে আগারগাঁও বিজ্ঞান জাদুঘরের পাশে ডিএনসিসির এবং কলাবাগান শিশুপার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এলাকায় ডিএসসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, এই বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধাগ্রস্ত হবে না।কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।এর আগে কলাবাগান এসটিএসে বেলচা দিয়ে ট্রলিতে বর্জ্য ফেলে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।এ সময় তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান সেনাপ্রধান।প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সেখানে সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে।ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।ভোরের আকাশ/এসএইচ