হানাহানির রাজনীতি ফিরে আসুক, তা চাই না: হান্নান মাসউদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা হানাহানির রাজনীতি কখনোই এদেশে ফিরে আসুক, তা চাই না। দলমত নির্বিশেষে বসবাস করতে চাই।
শনিবার (৭ জুন) হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের নিজ গ্রামের মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
হান্নান মাসউদ বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বে আন্দোলন চলাকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি এদেশের মানুষকে পাড়ায়-মহল্লায় শোষণ করেছে। আমার বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমার গ্রামের মানুষ তা রুখে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ গ্রামের মানুষ দলমত নির্বিশেষে খুবই শান্তিপ্রিয় এবং আমার আপনজন। আমরা হানাহানির রাজনীতি কখনোই এদেশে ফিরে আসুক, তা চাই না।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাতিয়া প্রতিনিধি মো. ইউসুফ রেজাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।রোববার (২৭ জুলাই) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে এই হিসাব জমা দেয়।পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, তারা নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করতে পারে। সেগুলো সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।অতীতে মেরুদণ্ডহীন লোকদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ কারচুপির ভোট করেছিল বলে অভিযোগ করেন রিজভী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "আমরা নতুন সরকার পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু এখনও নতুন দেশ পাইনি।" তিনি জানান, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে না তোলা পর্যন্ত এনসিপির আন্দোলন চলতেই থাকবে।শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জে আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।নাহিদ ইসলাম বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। সমাজে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি এখনো বিরাজমান। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যবস্থাকে সংস্কার না করে পুরোনো কাঠামো ধরে রাখা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম নতুন সরকার, নতুন সংবিধান ও নতুন রাষ্ট্র।"তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে—এটাই আমাদের স্বপ্ন ছিল। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু শিক্ষক নেই, হাসপাতাল আছে কিন্তু চিকিৎসক নেই। কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের অধিকার পায়নি। বাজেট আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতেই দেশ তুলে দিয়েছিলেন এবং মানুষের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন।"তিনি কিশোরগঞ্জবাসীকে স্মরণ করিয়ে বলেন, "এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এই জনপদের মানুষরাই।"তরুণদের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান তরুণদের নেতৃত্বেই হয়েছিল। সেই তরুণদের উপর ভরসা রেখেই আমাদের এগোতে হবে। তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।"তিনি আরও অভিযোগ করেন, "আজও কিশোরগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলার অনেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। শহীদ পরিবার ও আহতদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, কারা এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"এর আগে, রাত ৮টায় কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করে পুরানথানা এলাকায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান নেতাকর্মীরা। এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক খায়রুল কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হ.র
আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এদিন ১৪ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। এর চেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।তিনি বলেন, নৈরাজ্যের সমাধান করবে নির্বাচন। এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা আইন শৃঙ্খলার অবনতি। আর কোন অভিযান চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসবে?জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বলেছেন তারা। নির্বাচিত সরকার থাকলে দেশে সন্ত্রাস কমবে।এর আগে দুই দফায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর আজ বিকেলে আরও ১৪টি দল–জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার ভিক্ষা চায় না, তারা চায় সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে’ আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আজও জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হয়নি, যা দুঃখজনক। শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি- এ নিয়ে আমরা অনুতপ্ত। ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা চলছে, কিন্তু কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই।’তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা না থাকলে আজ আমরা হয়তো কেরানীগঞ্জ কিংবা কাসেমপুরে বন্দি থাকতাম। তাদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকারে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। প্রয়োজন হলে তাদের সম্মানের জীবন নিশ্চিত করতে ভিক্ষাও করব। কিন্তু ন্যায়বিচার ও পুনর্বাসনে ছাড় দেব না।’তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা অনুকম্পা নয়, বরং তাদের প্রাপ্য অধিকার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় চাকরির মাধ্যমে তাদের জীবনমান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।ভোরের আকাশ/এসএইচ