ছবি: সংগৃহীত
এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ বলেন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সভার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ৫ আগস্ট আমার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
বৈঠকে ড. ইউনূস উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
প্রেস সচিব আরও জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় জীবনবাজি রেখে শিক্ষক মেহেরিন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তার নামে একটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নেন।
পরে বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত কয়েকটি নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, দেশে–বিদেশের মানুষের দোয়া— সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও।ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, “ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।”হাদির মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ‘ভাইয়া, আল্লাহ যদি আমাকে নিয়ে যায়, আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’— শিরোনামের একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে আবেগ ছড়িয়েছে।ভিডিওটি এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের সময় ধারণ করা। সেখানে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে নিজের সন্তান ও পরিবারের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাদি।ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিজেকে আল্লাহর কাছে সপে দিয়েছি। মন খারাপ হয়— আল্লাহ যদি কোনো দিন আমাকে নিয়ে যায়, তো এই যে ছেলেমেয়েগুলা… আল্লাহ আমাকে একটা সন্তান দিসে, তিন মাস বয়স ওর। আমার বাচ্চাটারে তিন মাসে ত্রিশ মিনিটও কোলে নিতে পারি নাই। আমার ওয়াইফ মাঝে মাঝে মজা করে বাচ্চাকে বলে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে।”তিনি আরও বলেন, “এই প্রথম মনে হইলো আমি আমার ভাইয়াকে বলি— ভাইয়া, আল্লাহ যদি আমাকে নিয়ে যায়, আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। কিন্তু এই কথাটা আমি আর বলতে পারি নাই।”নিজের লড়াই ও বিশ্বাস নিয়ে হাদি বলেন, “আমার সারা জীবনের সততা আর সাহসের পেছনে আমার আব্বা আছেন। আল্লাহ যদি আমাকে রহম করেন, তাহলে আমার সন্তান, পরিবার, ভাইবোন আর ইনকিলাব মঞ্চের ভাইবোনদের আল্লাহই দেখবেন। কারো কাছে আর কোনো প্রত্যাশা নাই।”উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হামলায় জড়িত হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে গত সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।সেখানেই শেষ পর্যন্ত জীবনের লড়াইয়ে হার মানেন ইনকিলাব মঞ্চের এই নেতা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ঘটনার পরপরই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলার প্রায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সে সীমান্ত অতিক্রম করে।তদন্তে উঠে এসেছে, গুলির ঘটনার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করা হয়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ফিলিপের দুই সহযোগীর জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফয়সাল ও তার এক সহযোগী ভারতে পালিয়ে যায়।তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ফয়সালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইপি অ্যাড্রেস বিশ্লেষণ করে বুধবার তার অবস্থান ভারতের মহারাষ্ট্রে শনাক্ত করা হয়েছে। সে দেশটির রিলায়েন্স কোম্পানির একটি সংযোগ ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।যদিও হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই অভিযুক্ত এখনো পলাতক, তবে তদন্তে পুরো ঘটনার নকশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশে ফিরে ফয়সাল করিম মাসুদ, কামাল, রুবেল ও মাইনুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তারা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তে উঠে এসেছে।কিলিং মিশন যেভাবে পরিচালিত হয়গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৮ মিনিটে বাংলামোটরের ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান ফয়সাল ও তার সহযোগী কবির। প্রায় ছয় মিনিটের ওই বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করা হয় এবং একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে ফয়সাল আবারও ওই কেন্দ্রে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নতুন সহযোগী আলমগীর। ওই বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং এর মাধ্যমেই হাদির প্রচারণা টিমে যুক্ত হয় ফয়সাল। পরদিন ১২ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় হাদির প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেয় তারা।তদন্তে বলা হচ্ছে, প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার পরই হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। নরসিংদী, সাভার ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রেকি করা হয়। ১১ ডিসেম্বর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফয়সাল পশ্চিম আগারগাঁওয়ে তার বোনের বাসায় ওঠে। হামলার দিন ভোরে উবারে করে হেমায়েতপুরের একটি রিসোর্টে যায় তারা।রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে শুক্রবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে ফয়সাল ও আলমগীরের গাড়ি প্রবেশের দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া ও তার বোন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেখানে হাদির একটি ভিডিও দেখিয়ে ফয়সাল হামলার পরিকল্পনার কথা জানায় এবং ঘটনার পর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।পরে বান্ধবীকে বাড্ডায় নামিয়ে দিয়ে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আগারগাঁওয়ের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে বের হয় ফয়সাল ও আলমগীর। তারা সরাসরি সেগুনবাগিচায় হাদির প্রচারণায় যোগ দেয়। দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে হাদি মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা হলে অভিযুক্তরা পিছু নেয়।দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হাদিকে বহন করা অটোরিকশা মতিঝিলের জামিয়া দারুল উলুম মসজিদের সামনে পৌঁছায়। সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন হাদি। নামাজ শেষে দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে তিনি সেখান থেকে রওনা হলে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা অনুসরণ করতে থাকে। মতিঝিল হয়ে পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ঢোকার পর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে খুব কাছ থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় তিনি এ কথা জানান।উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর। তিনি সবসময় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।শোকবার্তায় তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার অকালপ্রয়াণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের নেতা শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর দেশি সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা প্রথমদিকেই হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল।সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাদির মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ডয়চে ভেলে আরও জানায়, হাদি ভারতের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুতকারী যুব আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। একই খবর প্রকাশ করেছে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।হাদির মৃত্যুর খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনও একই খবর প্রকাশ করেছে।এছাড়া সিএনএ, আল আরাবিয়া, দ্য সান মালয়েশিয়া, পাকিস্তানের ডন, জিও নিউজ, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এবং ভারতের দ্য টেলিগ্রাফ, এনডিটিভিসহ আন্তর্জাতিক আরও অনেক সংবাদমাধ্যম হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে।উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মোটরসাইকেলে করে আসা দুজন দুর্বৃত্ত খুব কাছ থেকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, গুলি তার মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, তবে গুলির একটি অংশ তখনও মস্তিষ্কে রয়ে যায়।পরবর্তীতে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.