উপদেষ্টা পরিষদ নিজেরাই নির্বাচন ব্যাহত করতে চায়
গণতন্ত্র এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শপথপূর্বক গতকাল শুক্রবার সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। গণতান্ত্রিক অগ্রগতির সূচনার দিন ৭ নভেম্বর। সেই দিনকে স্মরণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চায় দলটি।দলটির নেতাদের মতে, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সমগ্রজাতি যখন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনে সিপাহি-জনতা তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। তিনি ক্রান্তিময় সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশে প্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। জিয়াউর রহমান সূচনা করেন উন্নয়ন ও উৎপাদনের নবধারার রাজনীতি। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হয়।উপদেষ্টা পরিষদ নিজেরাই নির্বাচন ব্যাহত করতে চায় : বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, তারাই এখন এমন একটা অবস্থা তৈরি করছে যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। উপদেষ্টা পরিষদ নিজেরাই নির্বাচন ব্যাহত করতে চায় বললেন মির্জা ফখরুল।সংবিধান ও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জুলাই সনদ (চার্টার) বাস্তবায়ন চায় বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণভোট হলে সেটি নির্বাচনের দিনই হতে হবে।তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ করছে। এই রাজনৈতিক জোট চাপ সৃষ্টি করছে, যে নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। কেন নির্বাচনের আগে গণভোট? আমরা গণভোট মানি, তবে সেটি নির্বাচনের দিনেই হতে হবে, কারণ দুইবার ভোট আয়োজন করতে গেলে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে দেশের জনগণ সেটি মানবে না।তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশে ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল, কিন্তু জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে একটি ‘নতুন বাংলাদেশের’ সূচনা করেছিলেন। দেশে সংস্কারের সূচনা করেছিলেন।বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে এবং যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন তাতে স্বাক্ষরও করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে হওয়া ঐকমত্য থেকে সরে এসে নতুন করে প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি আরও বলেন, ‘তারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়েছেন, তাতে আমরা একমত হইনি।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়, তবে এতদিন ধরে চলা আলাপ-আলাচনার আসলে কী অর্থ ছিল?উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, তারা নিজেরাই এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। কিছু দলও তাদের সাথে সঙ্গতি রেখে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি করেন ফখরুল।র্যালিপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।‘আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে’ : এর আগে সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে’।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করতে এখনো কিছু গোষ্ঠী নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অগ্রগতির সূচনা হয় ৭ নভেম্বর। সেই দিনকে স্মরণ করে আজও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই মুহূর্তে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সমৃদ্ধি দিবসকে সামনে রেখে আমাদেরকে সেই পথেই যেতে হবে। যে পথে সত্যিকার অর্থেই আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, জনগণের ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারব, বিচারের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারব- সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সমগ্র জাতি যখন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গণমাধ্যম ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন। মাত্র ৪ বছরে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে আমূল পরিবর্তন ঘটান জিয়াউর রহমান।তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন জিয়াউর রহমান। এভাবেই শুরু হয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তার মাধ্যমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষণজন্মা পুরুষ দেশের অগ্রযাত্রার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার রূপকার।তিনি বলেন, সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা দেশের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। দিনটি শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত মানুষের কাছেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের শেখায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও বিএনপি এগিয়ে যাবে।দেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়নে অগ্রযাত্রা সূচনা করেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। সেই ভিত্তি পরবর্তীকালে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণভোট প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার যে প্রস্তাব বিএনপিকে দিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার, গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। ওটাই আমাদের বক্তব্যে।জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দলের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।দিনটি উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি : ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠসহ দোয়া ও মোনাজাত করেন দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টা শুরু হয়ে এই কর্মসূচি চলে প্রায় ১১টা পর্যন্ত।শুরুতেই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদসহ মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহানগর বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ড্যাব, এ্যাব, ছাত্রদল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলাদা আলাদাভাবে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিকাল ৪টায় র্যালি করেছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি কাকরাইল, মালিবাগ ও বাংলামোটর হয়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’- এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নয়াপল্টনে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকেই ঢল নামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকেল নাগাদ পুরো এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। র্যালি পূর্ব আলোচনা সভাকে ঘিরে ব্যানার-ফেস্টুন আর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নয়াপল্টন চত্বর। দুপুর দেড়টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল আসতে থাকে নয়াপল্টনে।ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা দলীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড, গাড়ি ও ট্রাকে সাজানো প্রদর্শনী নিয়ে যোগ দেন অনুষ্ঠানে। দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল শাহিন ও সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসেন। জনতার ভিড়ে নানা ধরনের প্রতীকী প্রদর্শনও দেখা যায়। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের একটি ছোট পিকআপে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতীকী মডেল তৈরি করা হয়। সেখানে কয়েদির পোশাকে ছয়জনকে রাখা হয়, যাদের শরীরে লেখা ছিল নানা ধরনের ব্যঙ্গাত্মক বার্তা। আরেকটি ভ্যানে লোহার খাঁচায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি রাখা হয়, যা জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ