সংগৃহীত ছবি
রাজধানীতে উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেয়া হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাইলট ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। বিমানে তিনি একাই ছিলেন। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খবর পেয়ে ১টা ২২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেন।
স্কুলটির একজন শিক্ষক জানান, ছুটির সময় বিমানটি আছড়ে পড়ে স্কুলটির একটি ভবনে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্তত এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। হতাহতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে নেয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান চলাচল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রশিক্ষণের এলাকা ও পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ঢাকা শহর অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ, এটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে আহত রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পাইলটের ভুল বা কারিগরি ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে উত্তরার ঘটনায় বিস্তারিত তথ্য ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জানা সম্ভব নয়।তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলো পুরনো হলেও এর যন্ত্রাংশ আপডেট রাখা হয়।অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ইতোমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের গুরুতর জখম রয়েছে, যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন।তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞদল আসছে, প্রয়োজনে কিছু রোগীকে সেখানে নেওয়া হবে। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলেও জানান এম সাখাওয়াত হোসেন।ভোরের আকাশ/জাআ
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে তিনি এ তথ্য জানান।শিক্ষার্থীদের ৬য় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ প্লেন বাতিল, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সংস্কার।এদিকে আইন উপদেষ্টা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। তারা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা ও প্লাস্টিক বোতল নিক্ষেপ করেন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটির ৫নং ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছেন ।ভোরের আকাশ/জাআ
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন।শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—১. বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ২. আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ৩. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা৪. নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান৫. ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমানের ব্যবহার বাতিল৬. প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে সংস্কার আনাতবে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই উত্তেজনা দেখা দেয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তারা "ভুয়া ভুয়া" ও "We want justice" স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে জুতা ও প্লাস্টিক বোতল ছুড়ে মারেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এ প্রতিবেদন লেখার সময় (দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট) পর্যন্ত কলেজ ভবনের ভেতরে দুইজন উপদেষ্টা আটকা পড়ে ছিলেন।এর আগে সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের গোলচত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় তারা এই ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে যদি সরকারের কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে দেখা না করেন, তবে তারা উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে রাস্তা অবরোধ করবেন।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পুরোনো সব প্লেন বাতিল ও শিক্ষার্থীদের মরদেহের সঠিক সংখ্যা ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের গোল চত্বরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।এসময় শিক্ষার্থীরা এসময় ‘ভয় নয়, আমরা চাই ন্যায়বিচার’ 'আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই', 'আমার শিক্ষকদের গায়ে হাত কেন জবাব চাই'- এমন স্লোগান সামনে রেখে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হলো১. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ করতে হবে।২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে।৩. শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলা এই জঘন্য ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।৪. নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে।৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিবর্তন করে আরো মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ