ছবি : সংগৃহীত
রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী এক মাসের মধ্যে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে অনেক কাজই এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হয়নি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম কমিশন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে আছে। তবে এ আইন দ্রুত আলোর মুখ দেখতে পাবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকা মহানগরে ২৫৪টি পূজামণ্ডপের মধ্যে ৮৯টি পূজামণ্ডপকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে, কেউ দুষ্টুমি করার সুযোগ পাবে না। দুষ্টুমি করলে আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করব এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে পূজামণ্ডপে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোর শ্রেণি মোতাবেক প্রত্যেকটি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে সর্বনিম্ন ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। নিজ নিজ এলাকায় নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে প্রায় ২ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সোয়াত, এক্সক্লুসিভ রিকভারি ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইম সিন টিম সার্বক্ষণিক স্ট্যান্ড বাই থাকবে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মণ্ডপের আশপাশে পুলিশের নজরদারি থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী এক মাসের মধ্যে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।তথ্য উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে অনেক কাজই এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হয়নি।তিনি বলেন, গণমাধ্যম কমিশন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে আছে। তবে এ আইন দ্রুত আলোর মুখ দেখতে পাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সুষ্ঠু সুন্দর ভোট করতে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সব কিছুই নিচ্ছে কমিশন।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচনী সংলাপে দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সব নিচ্ছে কমিশন। নতুন নতুন কাজ হাতে নিয়েছে ইসি। ডিজিটাল পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী এবং যারা ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সকাল-বিকাল দুই দফায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।কমিশন সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে সুশীল সমাজের ২৬ প্রতিনিধির সঙ্গে। চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ১৭ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপ।এরপর পূজার ছুটি শেষে অক্টোবরের শুরুতে নারী নেত্রী, জুলাইযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ করবে ইসি।সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিবসহ সংস্থাটির অন্য কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রায় ৮০ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা দিতে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিবৃতিতে উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়ার অধিকার সব নাগরিকের আছে। নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।উপদেষ্টা জানান, সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা অব্যাহত থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার সবসময় সচেষ্ট।বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে মণ্ডপভিত্তিক পূজা বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে পূজা মণ্ডপে উপস্থিত থেকে পূজা মণ্ডপের শৃঙ্খলা রক্ষায় আগত দর্শনার্থীদের সহযোগিতা করবেন। পূজা মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বিত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। নারী, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক: সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপে মনিটরিং টিমের কার্যক্রমে সমন্বয় করে সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হবে। এখানে নারী ও শিশুরা যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তা পাবে। জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন নম্বর-১০৯৮ এবং ১০৯ এর পাশাপাশি কন্ট্রোলরুমের টেলিফোন নম্বর ০১৮১৮২১১৭৬৩, ০১৯২০৯৫০১৫২, ০১৭৪৯৮১৯৪২২, ০১৭১১০৫৯৮০৭, ০১৯৫৮১৯৩২৪১ চালু থাকবে।এ বছর সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার ৩৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ১১৯টি বেশি। পূজা উদযাপন পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ