সংগৃহীত ছবি
পরিবেশ রক্ষায় আমাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে মন্তব্য করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলার এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, সরকার সব ঠিক করে দেবে এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে পরিবার থেকেই।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও অন্যান্য পরিবেশবিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই প্রতিযোগিতাগুলো শিশুদের মাঝে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করেছে।
অভিভাবকদের সচেতন অংশগ্রহণই এসব আয়োজন সফল করেছে। এই আগ্রহ থেকেই তৈরি হবে পরিবেশ রক্ষার ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।
উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে শিশুদের বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। গাছ কাটার পরিণাম কিংবা শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে ছোটবেলা থেকেই। আইন নয়, মূল্যবোধই হবে পরিবেশ রক্ষার ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, পলিথিন ব্যবহার পরিহার, শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতা, বিদ্যুৎ ও পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার এসব ছোট ছোট অভ্যাসই পরিবেশ শিক্ষার অংশ। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও উচ্চ শব্দের মাধ্যমে অন্যকে কষ্ট না দিয়ে পরিবেশবান্ধব আয়োজনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিবেশ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের কাজ প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিবেশ শিক্ষায় আরও উৎসাহ সৃষ্টি করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলি।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিবেশবিষয়ক চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, রচনা, প্রকল্প প্রস্তাবনা ও মেলার শ্রেষ্ঠ স্টল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কৃষকদের কাছে সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য সারের চাহিদা ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেবে সরকার। কৃষকদের চাহিদামাফিক সারের প্রাপ্রতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া সারের মূল্য নিয়ে যাতে কেউ কোন কারসাজি করতে না পারে সেজন্য সরকারি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্দ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কাজ অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণলয়সহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আর শিগগির সার নিয়ে একটি নীতিমালা অনুমোদনও দিচ্ছে সরকার।কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার কৃষিকে আরও টেকসই ও রপ্তানিমুখী করতে চায়। এজন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার বিষয়কে অত্যন্ত প্রাধান্য দিয়েছে। এজন্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সারের সরবরাহ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালযের উপদেষ্টা অব. লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সার নিয়ে সিন্ডিকেট করা চলবে না। আমি যতদিন আছি সারের দাম বাড়বে না।সার সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদামত সার আমদানি করে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এজন্য দেশে সারের কোন ঘাটতি গত এক বছরে হয়নি। আগামী মৌসুমেও যাতে ঘাটতি না হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, বৈশ্বিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে দেশে সার আমদানি করা হবে, যাতে সার নিয়ে কোনও কারসাজি কেউ না করতে পারে।কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে সার নিয়ে একটি নীতিমালা করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগির জাতীয় কমিটিতে যাবে। জাতীয় কমিটির প্রধান শিল্প উপদেষ্টা। তিনি বাইরে আছেন, আগামী সপ্তাহে আমরা মিটিং করে অনুমোদন দিয়ে দেবো।নীতিমালায় সারের ডিলারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারের দাম বাড়ানো হয়নি, তবে সার পাচার হয়। এজন্য সারের পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রথম লটে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টন সার আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সাশ্রয় করেছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। ওই সময়ের বিদ্যমান বিনিময় হারে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের আমদানিতব্য সারের প্রস্তাবিত দেশভিত্তিক দর এর সঙ্গে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ও কার্যাদেশ প্রদত্ত দর এর মধ্যে উভয় দরের পার্থক্য যাচাই করে এই পার্থক্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার ডলার। আলাদা আলাদা লটে ১০টি প্রতিষ্ঠান এসব সার আমদানি করবে।এর মধ্যে দুটি লটে ৮০ হাজার টন আমদানি করবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি.। এছাড়া নোয়াপাড়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ২০ হাজার টন, মৌনতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ২০ হাজার টন, দেশ ট্রেডিং করপোরেশন ৪০ হাজার টন, মোশারফ এন্ড ব্রাদার্স ৪০ হাজার টন, মেসার্স সুফলা ট্রেডিং কর্পো. ২৫৫ হাজার টন, সাইফুল্লাহ গালফ ৩০ হাজার টন, নোয়াপাড়া ট্রেডিং ৪০ হাজার টন, এনআরকে হোল্ডিং ৪০ হাজার টন।সূত্র জানায়, অন্যদিকে ৯০ হাজার টন এমওপি সার আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন আনবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি.। আর ৩০ হাজার টন আনবে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন। এছাড়া ৯০ হাজার টন টিএসপি আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ডলার।এর মধ্যে ৬০ হাজার টন সার আমদানি করবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি. এবং ৩০ হাজার টন আমদানি করবে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বনিম্ন দরদাতাদের মধ্যেও গুটিকয়েক কোম্পানি সার আমদানির সুযোগ পাচ্ছে।জানা গেছে, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিতে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিকে লাভজনক খাতে রূপান্তর করার বিষয়কে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে।এদিকে, গত বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, সরকার কৃষির উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবহিকতা চলমান থাকবে। দেশে ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ ও শাক-সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।গত বোরো মৌসুমে দেশে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে, যা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। সভায় জানানো হয়, বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণেরও কাজ চলছে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার বাজার মনিটরিং ও বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদান করেছে এবং সারের পাশাপাশি কৃষিঋণ বিতরণ, সেচ ও সার সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।সভায় বলা হয়, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।সভায় আরো জানানো হয়, সারের বকেয়া ২০,৬৯১ (বিশ হাজার ছয়শত একানব্বই) কোটি টাকাসহ মোট ২৭,৬৮৪.৯৭ (সাতাশ হাজার ছয়শত চুরাশি দশমিক সাতানব্বই) কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মে. টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়েছে এবং পাটকলের অব্যবহৃত গুদামগুলোকে সার মজুদের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।আবহাওয়াবিদ মো.শাহীনুল ইসলামের করা পূর্বাভাসে বলা হয় খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।এ সময় এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এদিকে সবশেষ সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছ আজ ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে তার আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তার কন্যা দীনা ইউনূসের সাথে ছবি তুলেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এই বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওই ছবিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়।বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তার কন্যা দীনা ইউনূসের এই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী হয়।শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই মুহূর্তে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (UNGA) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি সংস্কারের কাজ এগিয়ে চলেছে। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যাতে পরবর্তী সরকার যেই হোক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।”তিনি আরও বলেন, “ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ দিয়েছে। ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনে দরকার ছিল ব্যাপক সংস্কার। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা, যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে এবং আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব ঘটবে না।”এ সময় দেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া এখন মূল লক্ষ্য। যেসব দেশ ও প্রতিষ্ঠান এ অর্থ গচ্ছিত রেখেছে, তাদের দ্রুত ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানাই।”টাকা পাচার রোধে আন্তর্জাতিক কঠোর আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান তিনি। ভোরের আকাশ/হ.র