সংগৃহীত ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে, সে জন্য দলের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে, এই ভেবেই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি আপাতত চুপ করে আছে। তবে জনগণ চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণ বিভক্ত হয়, এমন কাজ করা উচিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য মাঠে নামবে কি না, তা পূজার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে। বিএনপির চুপ থাকা দুর্বলতা কি না, সেটা সরকারকেই বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাইছে। কোনো কারণে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিবাদই লাভবান হবে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থানের কারণে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় গঠনতন্ত্রের ৩৬(১) ধারা অনুযায়ী দলের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুরের চিকিৎসাজনিত কারণে বিদেশে অবস্থান করায় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান সভাপতির রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।এর আগে, গণঅধিকার পরিষদে মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদমর্যাদায়) হিসেবে যোগ দেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তাকে এই পদে মনোনীত করেন।গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅধিকার পরিষদে (জিওপি) যোগ দেন ফারুক হাসান।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে, সে জন্য দলের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে, এই ভেবেই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি আপাতত চুপ করে আছে। তবে জনগণ চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণ বিভক্ত হয়, এমন কাজ করা উচিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য মাঠে নামবে কি না, তা পূজার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে। বিএনপির চুপ থাকা দুর্বলতা কি না, সেটা সরকারকেই বুঝতে হবে।তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাইছে। কোনো কারণে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিবাদই লাভবান হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
‘পিআর পদ্ধতি বা শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে না’, এমন হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।তিনি বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামী নিম্নকক্ষে পিআর দাবি করছে, সেটা তারা করতেই পারে। পিআর ইস্যুটা তারা জোর দিয়ে সামনে এনেছে। তারা জনমত তৈরি করছে। সেই অধিকার তাদের আছে। ‘কিন্তু পিআর না হলে নির্বাচন হবে না’, সেই অবস্থান অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অবস্থান দায়িত্বশীল হবে না। এই অবস্থানে কেউ গেলে বলতে হবে আপনি শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মীমাংসা চাইছেন এবং আপনি পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলছেন। কিংবা হঠাৎ সারজিস আলম বলে উঠলো যে, শাপলা না পেলে হবে না। কিন্তু এটা কোনো দায়িত্বশীল বক্তব্য নয়।”বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সম্পাদকীয়তে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।জোনায়েদ সাকি বলেন, “কোনো কোনো রাজনৈতিক দল যে জায়গায় যাচ্ছে, তাতে তারা বলতে চায় ‘আমি এটা না হলে ওটা করব না, অথবা আমার অমুক জিনিস না পেলে কীভাবে নির্বাচন হয়, তা দেখে নেবো।’ কিন্তু এই ভাষাগুলো ভালো না; এগুলো ইতিবাচক না; গণতান্ত্রিকও না। সবাইকেই একটা যুক্তি সংগত জায়গায় দাঁড়ানো দরকার।”তিনি বলেন, ‘প্রথম ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আমাদের মধ্যে একটা পদ্ধতিগত জায়গা তৈরি হয়েছিল। বিষয়টা এমন ছিল যে, যা কিছু ঐকমত্য হবে না, সেটা জনগণ মীমাংসা করবে; নির্বাচন মীমাংসা করবে। এটা পদ্ধতি হিসেবে না নিয়ে শক্তি পরীক্ষার জায়গায় গেলে সংঘাত টেনে আনা হবে। কারণ শক্তি পরীক্ষায় এক দল শক্তি দেখাতে গেলে তো আরেক দল শক্তি দেখাতে যাবে। কাজেই অনিবার্য সংঘাত তৈরি হবে।’গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টিকেল ৭০ ইস্যুতে ৪টি একসেপশনের কথা বলা হয়েছিল। প্রথম ২টি একসেপশনে সবাই রাজি। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ২টি একসেপশনের কথা বলা হয়। তখন মীমাংসাটা হলো যে, এই ২টি এমনভাবে রাখা হোক, যেন দলগুলো তাদের ইশতেহারে নিয়ে যেতে পারে। নির্বাচনী ইশতেহারে নিয়ে গেলে বিএনপি ওই ৪ একসেপশন নিয়ে যাবে। যারা ২ একসেপশনের সমর্থক, তারা ২ একসেপশন নিয়ে যাবে। যে জয় লাভ করবে, সেই অনুযায়ী আর্টিকেল ৭০ সংস্কার করা হবে। সেটা তখন আমরা সেভাবে গ্রহণ করেছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম সেভাবেই যাবে।’তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপথে হঠাৎ উচ্চ কক্ষের পিআর নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো, তারপর এটার কোনো মীমাংসা হলো না। ওইটা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক বাদানুবাদ থেকে তখন দেখা গেল নিম্ন কক্ষে পিআরের দাবিটা বারবার সামনে আসছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার যে, নিম্ন কক্ষের পিআর কিন্তু ঐকমত্যের আলোচনায় আসেনি। অর্থাৎ, অ্যাজেন্ডাই হয়নি। যদিও এখন কোনো একটা দল দাবি উত্থাপন করতেই পারে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একদিনে ৭০টি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে বিলুপ্ত করা হয়েছে ৩টি পুরনো কমিটি।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।দলীয় সূত্র জানায়, সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার ও নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতেই ছাত্রদল এই ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিলুপ্ত হওয়া তিন কমিটির জায়গায় শিগগিরই নতুন কমিটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। ভোরের আকাশ/হ.র