ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫ ০১:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানায় কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কারও নাম প্রকাশ করা হবে না বলেও জানান তিনি।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তৎকালীন তদন্ত কমিটি তাদের কাজে চরম অবহেলা করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিশনের সভাপতি । তখন গণমাধ্যমও বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার কাজ করেছে বলেও আভিযোগ করেন তিনি। তখন সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া হলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত বলে মনে করেন ফজলুর রহমান।
এছাড়া তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে ১৫৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এখনও তালিকায় আছেন ৫০ জন। বর্তমানে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবীর নানকও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ