নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫ ০২:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের লক্ষ্যে চালু হওয়া ক্রাশ প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি আবেদন এরই মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এনআইডি সংশোধনের ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, প্রতি মাসে নাগরিকদের এনআইডি সংশোধন নিয়ে আবেদনও কমে আসছে। ভোগান্তির মাত্রাও কমে এসেছে। আশা করি আগামীতে এনআইডি সেবা নিয়ে আর হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।
সচিব জানান, চলতি বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারিতে এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি, ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে নতুন আবেদন পড়ে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদনের মধ্যে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে’ নিষ্পন্ন করা হয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি। প্রতি মাসে আগে যেখানে গড়ে এক লাখ করে আবেদন পড়ত, এখন তা কমে এসে প্রায় ৮০ হাজারে নেমেছে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি।
তিনি আরও জানান, এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে বরাবরই নাগরিকদের নানা ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান ইসির উদ্যোগে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে। এনআইডি আবেদনের ক্ষেত্রে সংশোধনের মাত্রা দেখে চারটি ক্যাটাগরি করে দিয়েছে ইসি সচিবালয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিপূরণ, দলিলাদি যথাযথ কিনা যাচাই, শুনানি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেওয়া হয়। ২০২০ সাল থেকে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি আবেদন হয়েছে। সেক্ষেত্রে চার ক্যাগাটরিতে আবেদন নিষ্পন্ন হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি।
নির্বাচন কমিশনারদের এনআইডি লক আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমি আমারটা বলেছি। ডিজি (এনআইডি) সাহেব উত্তর দিবে কেন? আমার উত্তর আমি দিচ্ছি। ডিজি সাহেবকে দিয়ে যাচাই করার কি আছে তার মানে আমার কথার সত্যতা আপনার কাছে নাই। আমি আমারটা বলছি। ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্য নেওয়া উচিত না।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, এনআইডি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, এনআইডি পরিচালক (পরিচালনা) মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ