ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো তৈরি করছে : মির্জা ফখরুল
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছে বিএনপি।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিমসটেক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে বৈঠক হয়েছে, তা আমাদের জন্য আনন্দের।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি ভূরাজনীতি ও বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান যে প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ ও ভারতের এ অঞ্চলের যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে এই দুজনের বৈঠক আমাদের সামনে একটা আশার আলো তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন আর সামনে না যায় অথবা এটা যেন কমে আসে, এ বৈঠকের মাধ্যমে তার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এর আগে ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মির্জা ফখরুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় আমিনুল হক, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মোহাম্মাদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার সুমন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্যদিকে ব্যক্তি স্বার্থকে পরিহার করে জয়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এমনটাই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সংসদ নির্বাচনের জন্য সারা দেশে ২৭২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। আর তিনশত আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত।এছাড়া অন্যান্য দলগুলোও তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। কাজেই তফসিল ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক দলগুলো পুরোপুরি নির্বাচনমুখী। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নতুন উদ্যমে গণসংযোগে নেমে পড়েছেন দলগুলোর নেতারা। কিন্তু বিএনপির মধ্য রয়েছে বিভক্তি এবং দলীয় কোন্দল। দলটির ঘোষিত আসনের অন্তত ৫০টিতে কোন্দল চরম রূপ নিয়েছে। মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীরা ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেওয়ার ফলে অর্ধশতাধিক আসনে দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। এ কারণে ভোটের বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে বিএনপির। অন্যদিকে দলের ঘোষণাকে মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কাজেই বিএনপির চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে জামায়াত-এমটাই মনে করছেন রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বিভিন্ন জটিলতায় ভূগছে বিএনপি। বিএনপি দু’দফায় যে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তা ঘিরে তৃণমূলে চলছে তীব্র ক্ষোভ ও বিভক্তি। অনেক জায়গায় মনোনয়নবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তালিকা ঘোষণার পর দলের ভেতর অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইলেকশনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।এরই মধ্যে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাজনিত কারণে দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ ত্রয়োদশ জাতীয় পার্লামেন্ট ইলেকশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের মতে, খুব দ্রুত এসব কোন্দল নিরসন না হলে ইলেকশনের ফলাফলেও এর প্রভাব পড়তে পারে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, বিএনপিকে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে এখনই শক্তিশালী দলীয় ঐক্য ও মাঠের বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি। নইলে আশানুরূপ রেজাল্ট বঞ্চিত হবে দলটি।বিএনপি সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্তৃক ঘোষিত প্রার্থী তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব ওরফে টি এস আইয়ুবের মনোনয়ন বাতিল ও পরিবর্তনের দাবিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ্ উদ্দিন রিগ্যানের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান যশোর-৪ আসনের ভোটার ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্রয়াত আব্দুল খালেক বিশ্বাসের পুত্র মোঃ ইকবাল কবির। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমকে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। অভিযোগ অনুযায়ী, এলসি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ২১ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত। একই সঙ্গে তিনি চারটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন এবং বর্তমানে ঋণখেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত।নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত প্রার্থী পতিত সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব অনিয়মে জড়িত ছিলেন বলে এলাকায় ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। ফলে যশোর-৪ আসনের সাধারণ ভোটার, স্থানীয় নেতাকর্মী ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, অসন্তোষ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো নোটিশে দাবি করা হয়, জুলাই সনদের ৭৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার ১৩ নম্বর দফা অনুযায়ী দুর্নীতিবাজ, চার্জশিটভুক্ত আসামি ও ঋণখেলাপিদের দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার স্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। অথচ সেই নীতিমালা উপেক্ষা করেই যশোর-৪ আসনে বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা দলীয় নীতি ও জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থী।নোটিশে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় পার্লামেন্ট ইলেকশনে কোনো ঋণখেলাপিকে বিএনপি মনোনয়ন দেবে না। কিন্তু সেই ঘোষণার পরও ৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে যশোর-৪ আসনে তালহা শাহরিয়ার আইয়ুবকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা নোটিশ দাতার ভাষায় জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে এ বিষয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার অভিযোগও নোটিশে তোলা হয়।লিগ্যাল নোটিশে বিএনপি নেতৃত্বের কাছে তিন দিনের মধ্যে যশোর-৪ আসনের মনোনয়ন বাতিল করে একজন সৎ, যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও জনআস্থাভাজন প্রার্থী মনোনয়নের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নানা মাঠ জরিপ এবং সাংগঠনিক নেতাদের মতামতের আলোকে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন করেছে। এটা চূড়ান্ত নয়। প্রয়োজনে এ তালিকায় কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তবে কোনো অবস্থাতেই তৃণমূলের কোন্দল মেনে নেওয়া হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে যেতে হবে, ধানের শীষকে জয়ী করতে হবে। এ জন্য যা যা করার দরকার দল তাই করবে। অন্যদিকে, কোনো বিভক্তি নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার কথা বলছে জামায়াত। দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে ছুটছেন দলটির প্রার্থীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে দারুণ প্রাণচাঞ্চল্য।এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম বলেন, গত ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। শাসকদের কারণে জাতি বারবার বিভক্ত হয়েছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ঐক্য রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের দেশ আমরা গড়বো। আমরা চাই বিভক্তি নয় ঐক্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক। জাতি ৫৪ বছরে বিভিন্ন শাসন দেখেছে, জাতি এখন মুখিয়ে আছে নতুন শাসন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশের দিকে। জাতি পুরোনো ব্যবস্থাকে পায়ের নিচে দিয়ে মাড়িয়ে নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করবো না।ফ্যাসিবাদের সঙ্গে অনেকেই বিভিন্নভাবে আপস করলেও জামায়াতে ইসলামীর আপসের কোনো ইতিহাস নেই”-উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছেও বিভিন্নভাবে আপসের প্রস্তাব এসেছে, চাপও এসেছে। তবুও আমরা কারো কাছে মাথানত করিনি। আমাদের নেতারা ফাঁসি বরণ করেছে তবুও কোনো অপশক্তির কাছে, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি। আগামীতেও আমরা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না।দলটির আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপনাদেরকে সহ সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে এবং সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এই বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগে গত সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে তার মা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকায় আসার পর তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন। এই বাসার পাশেই ‘ফিরোজা’। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েক বছর ধরে এই বাসাতেই থাকছেন। এছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের বসার জন্য কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পুরোনো রাজনীতি ছুড়ে ফেলে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। সেই রাজনীতি হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, খুন, ধর্ষণ, মামলাবাজ, দুর্নীতি-অন্যায় ও অনাচারের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগ আয়োজিত ‘যুব ম্যারাথন’ কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তারুণ্যের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যারাথন চলবেই। যত বাধা, ভয়ভীতি আসুক আমরা থেমে যাব না। আমরা জাতির স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।জামায়াত আমির বলেন, আগামী নির্বাচনে কোনো ধরনের কারিগরি ষড়যন্ত্র জনগণ হতে দেবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো আনুকূল্য চাই না। কমিশন যদি কারও প্রতি আনুকূল্য দেখায় তবে সেটি বরদাশত করা হবে না।কালো টাকায় কেউ মানুষকে কেনার চেষ্টা করলে জনগণ তাদের মুখে ছাই মেরে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জাতিকে কেউ কালো টাকায় কিনতে পারবে না।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর অবিচার করার কারণে বৈষম্যের সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ফুঁসে উঠেছিল। যারা সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিল তারা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বৈষম্যহীন শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর তারা ক্ষমতায় বসে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পরিচালনায় যুব ম্যারাথন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ। যুব ম্যারাথনে অর্ধ লাখ তরুণ যুবক অংশ নেয়। ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে শাহবাগ-সাইন্সল্যাব হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরা উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্য তারেক রহমান এ কথা বলেন।তিনি বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানটি প্রথমত দুটি বিষয়, এক ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। এবং একইসাথে আপনাদের সাথে বহুদিন ছিলাম ১৭ প্রায় ১৮ বছর আপনাদের সাথে ছিলাম, কিন্তু আগামী ২৫ তারিখে ইনাশাআল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি। একইসঙ্গে দেশে ফেরার সময় লন্ডনের বিমানবন্দরে কোনো ধরনের হট্টগোল সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানান তিনি। কেউ যেন বিমানবন্দরে না যান এমন অনুরোধ করেন তিনি।তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেকের কাছে আমার একটা অনুরোধ, ২৫ তারিখে ইনশাআল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমি দেশে ফিরে যাবো। কিন্তু, এখানে উপস্থিত এই ঘরে উপস্থিত প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে কেউ আপনারা সেদিন এয়ারপোর্টে যাবেন না। দয়া করে কেউ আপনারা যাবেন না।তিনি বলেন, কারণ, এয়ারপোর্টে গেলে একটি হট্টগোল তৈরি হবে। এবং মানুষ জানবে যে এরা সবাই বাংলাদেশি। এতে করে দেশের সুনাম নষ্ট হবে। দলের সুনাম নষ্ট হবে।তিনি আরও বলেন, যারা সেদিন এয়ারপোর্টে যাবেন না, আমার আজকের এই অনুরোধ যারা রাখবেন, আমি ধরে নেব তারা দল এবং সর্বোপরি দেশের স্বার্থে সম্মানের প্রতি মর্যাদা রাখবেন। আর আমার নিষেধ করা পরও যারা যাবেন, আমি ধরে নিতে বাধ্য হবো তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সেখানে গিয়েছেন। ভোরের আকাশ/মো.আ.