সংগৃহীত ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে এবং সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এই বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগে গত সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে তার মা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকায় আসার পর তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন। এই বাসার পাশেই ‘ফিরোজা’। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েক বছর ধরে এই বাসাতেই থাকছেন। এছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের বসার জন্য কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরবেন। তারা লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসবেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সেদিন বেলা ১১টার পর তাদের বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করবে। বিষয়টি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়াপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার। আব্দুস সাত্তার জানান, লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসবেন তারেক রহমান। তিনি তার মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে আসবেন। তারেক রহমানকে বরণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে।গত ১২ ডিসেম্বর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ২০০৭ সালে বিতর্কিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র সরকারের সময় গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে যুক্তরাজ্যেই আছেন তিনি। ১৭ বছরেরও বেশি সময় পর তিনি ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরতে যাচ্ছেন।বিএনপির সূত্র বলছে, ঢাকায় পৌঁছানোর পর তারেক রহমান প্রথমে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তার মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থানকালে তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন। ওই বাসার পাশেই ‘ফিরোজা’য় কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন বেগম খালেদা জিয়া। এদিকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে বিএনপি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক জরুরি বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।পোস্টে বলা হয়েছে, ওসমান হাদি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দোয়া করুন আল্লাহ যেনো তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসীব করেন।এতে আরও বলা হয়, ওসমান হাদী যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদের কাতারে শামিল হয় সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। খুনীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগে অবস্থান করবো এবং পুরো বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া হবে।খুনি যদি ভারতে পালিয়ে যায় সেক্ষেত্রে ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে যেকোনো মূল্যে তাকে গ্রেপ্তারপূর্বক ফেরত আনতে হবে।গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দুপুর আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। পরে তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিন বেলা পৌনে ১২টায় তিনি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসছেন বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দরের প্রটোকল এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে এক ঐতিহাসিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় তাকে বিশাল গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তারেক রহমানের ফেরার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের নেতাকে বরণ করে নিতে চাই। তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।বিএনপি সূত্র জানায়, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে পাশেই তার মায়ের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’-তে উঠবেন তিনি। দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বর রোডের ওই কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম জিয়াকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। চিকিৎসকরাসহ সবাই অত্যন্ত আশাবাদী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে যাবেন।বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও জানান, ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তার (বেগম জিয়ার) ছোট ভাই, বোন সবাই খোঁজ নিচ্ছেন। যেহেতু সিসিইউতে আছেন তাই তার পাশে থাকা যাচ্ছে না। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। চলতি বছরের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেদিন স্বেচ্ছায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বেগম জিয়াকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।তার একদিন পরেই শ্বাসকষ্টের জটিলতা প্রকট হওয়ায় ঘটে স্বাস্থ্যের অবনতি। ২৩ নভেম্বর ভর্তি হন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে হার্ট এবং ফুসফুসে। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে স্থানান্তর করা হয় সিসিইউতে। এখন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা