সংগৃহীত ছবি
ইরান পুনরায় পারমাণবিক প্রকল্প শুরু করতে পারবে না তা নিশ্চিত করা ইসরাইলের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জেরুজালেমে মোসাদ এজেন্টদের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার্নিয়া বলেন, পারমাণবিক বোমা তৈরির ভাবনা এখনো তাদের (ইরানের) হৃদয়ে রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের যে মারাত্মক ক্ষতি করেছি, তা যেন আর কখনোই সচল হতে না পারে, সেই দায়িত্ব আমাদেরই পালন করতে হবে।
আগামী বছরের জুনে বিদায় নিতে যাওয়া ইসরায়েলের এই গোয়েন্দা প্রধান যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার প্রশংসা করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ওই হামলার মাধ্যমেই বোঝা গেছে ইরানে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের কত গভীর অনুপ্রবেশ ছিল।
বার্নিয়া বলেন, আয়াতুল্লাহর শাসনব্যবস্থা হঠাৎ টের পায় যে, ইরান পুরোপুরি উন্মোচিত এবং সেখানে আমরা গভীরভাবে ঢুকে পড়েছি।
তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ইরান বিশ্বকে আবারও ধোঁকা দিতে চায় এবং আরেকটি ত্রুটিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা অতীতেও এমন কোনো খারাপ চুক্তি হতে দেইনি এবং ভবিষ্যতেও দেব না।
পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে তেহরান সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত ১৩ জুন ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার প্রক্রিয়া চলাকালীন, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে আগ্রাসন শুরু করে। ইসরাইলি আক্রমণের ফলে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিকও ছিলেন।
আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাতে জড়ায়। এর জবাবে, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
শুল্কের ভয় দেখিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি যুদ্ধ থামানোর দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বুধবার( ১৭ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আরো বলেন, ‘শুল্ক’ তার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ, একটি নীতি যা বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ককে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে।বক্তব্যে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে একজনও বিদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।ট্রাম্প বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি পুনরুদ্ধার করেছি, ১০ মাসে আটটি যুদ্ধ সমাধান করেছি, ইরানের পারমাণবিক হুমকি ধ্বংস করেছি এবং গাজার যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি, যার মাধ্যমে ৩০০০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এসেছে।ট্রাম্প তার প্রশাসনের অনেক সফলতার জন্য শুল্ক নীতিকেই দায়ী করেছেন, যদিও স্পষ্ট যে তার বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বাণিজ্যনীতি কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়েছে এবং ভোটারদের মধ্যে বেশিরভাগের কাছে অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছি। এই সাফল্যের অনেকটাই শুল্কের কারণে অর্জিত হয়েছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ ‘শুল্ক’ যা বহু দশক ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের বিরুদ্ধে সফলভাবে ব্যবহার করেছে।এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি শুল্ক এড়াতে বহু কোম্পানি দেশে ফিরে এসেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অটোমোবাইল খাতেও নজিরবিহীন উন্নতি হয়েছে। এছাড়া, বড় ও সুন্দর বিল আসার পর বকশিশ, অতিরিক্ত সময় কাজের পারিশ্রমিক বা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার ওপর কোনো কর চাপানো হয়নি। ফলে বার্ষিক ১১,০০০ থেকে ২০,০০০ ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবে পরিবারগুলো।ট্রাম্প দাবি করেন, গত সাত মাসে আমাদের দেশে কোনো অবৈধ অভিবাসী ঢুকতে পারেনি। সবাই বলেছিল এটা অসম্ভব। কিন্তু আমরা দেখিয়েছি সম্ভব।জো বাইডেনের সীমান্ত নীতির সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সীমান্ত বন্ধ করতে কংগ্রেসের আইন পাস করা প্রয়োজন ছিল না, আমাদের প্রয়োজন ছিল একজন নতুন প্রেসিডেন্টের। উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সীমান্ত পেয়েছিলাম, কিন্তু তা দ্রুত ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্তে পরিণত করেছি।ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের জন্য এককালীন ১,৭৭৬ ডলার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৪.৫ লাখেরও বেশি সেনা বড়দিনের আগে এই অর্থ পাবেন। ট্রাম্প দাবি করেন, এই সুবিধাগুলোও শুল্ক নীতির ফল।এর আগে ট্রাম্প বহুবার একাধিক যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তান, তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কোসোভো-সার্বিয়া, ইসরায়েল-ইরান, মিশর-ইথিওপিয়া এবং রাওয়ান্ডা-কঙ্গো যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব স্থগিত করার বিষয়টি ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এই বিপুল ক্ষতি নিকট ভবিষ্যতে পূরণ করা ইউক্রেনের পক্ষে কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড সভায় এ তথ্য জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসোভ। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) এ তথ্য জানিয়েছে। সভায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে বেলৌসোভ বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই ব্যাপক প্রাণহানির কারণে কিয়েভের পক্ষে নিকট ভবিষ্যতে বাহিনী পুনর্গঠন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এর প্রভাব পড়ছে বেসামরিক জনগণের মধ্যেও, যারা বাধ্যতামূলক সামরিক যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।তিনি আরও দাবি করেন, চলতি বছর ইউক্রেন এক লাখ তিন হাজারের বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে, যেগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইউক্রেন পেয়েছিল।উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ডিক্রি জারি করেন।যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়স ছিল ২৭ বছর, যা গত বছর কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়। তবে বাধ্যতামূলক সামরিক যোগদানে জোর-জবরদস্তির অভিযোগে গত এক বছরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ জনগণ ও সেনা সমাবেশ কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।ভোরের আকাশ/তা.কা
ইরান পুনরায় পারমাণবিক প্রকল্প শুরু করতে পারবে না তা নিশ্চিত করা ইসরাইলের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়া।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জেরুজালেমে মোসাদ এজেন্টদের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার্নিয়া বলেন, পারমাণবিক বোমা তৈরির ভাবনা এখনো তাদের (ইরানের) হৃদয়ে রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের যে মারাত্মক ক্ষতি করেছি, তা যেন আর কখনোই সচল হতে না পারে, সেই দায়িত্ব আমাদেরই পালন করতে হবে। আগামী বছরের জুনে বিদায় নিতে যাওয়া ইসরায়েলের এই গোয়েন্দা প্রধান যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার প্রশংসা করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ওই হামলার মাধ্যমেই বোঝা গেছে ইরানে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের কত গভীর অনুপ্রবেশ ছিল। বার্নিয়া বলেন, আয়াতুল্লাহর শাসনব্যবস্থা হঠাৎ টের পায় যে, ইরান পুরোপুরি উন্মোচিত এবং সেখানে আমরা গভীরভাবে ঢুকে পড়েছি। তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ইরান বিশ্বকে আবারও ধোঁকা দিতে চায় এবং আরেকটি ত্রুটিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়। আমরা অতীতেও এমন কোনো খারাপ চুক্তি হতে দেইনি এবং ভবিষ্যতেও দেব না। পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে তেহরান সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। গত ১৩ জুন ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার প্রক্রিয়া চলাকালীন, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে আগ্রাসন শুরু করে। ইসরাইলি আক্রমণের ফলে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিকও ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাতে জড়ায়। এর জবাবে, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। ভোরের আকাশ/তা.কা
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচের গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনের মধ্যে একজন ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরো জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগাযোগ খুবই কম ছিল।বন্দুক হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম (৫০) সিডনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন।ভারতীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাজিদ ভারতের হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন।তবে ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকে তিনি এ পর্যন্ত মাত্র ছয়বার ভারতে আসা-যাওয়া করেছেন। তার পরিবারের তার উগ্রবাদী চিন্তাধারা বা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।সাজিদ এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ ১৫ জনকে হত্যা ও আরো কয়েক ডজন মানুষকে আহত করার ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন। সাজিদ আকরাম ভারতীয় পাসপোর্টধারী ছিলেন।অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ার তার সন্তানরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টধারী ও দেশটির নাগরিক।তেলেঙ্গানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিবিসি তেলেগু সার্ভিসকে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পর সাজিদ ছয়বার ভারত সফরে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত ও বয়স্ক বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার মতো পারিবারিক কারণ তিনি এসেছিলেন। তবে তিনি তার পিতার মৃত্যুর সময়েও আর ভারতে আসেননি।সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে কী কারণে উগ্রপন্থায় জড়িয়েছেন তার সঙ্গে ভারত কিংবা তেলেঙ্গানার স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র নেই।’পুলিশ এখন অনুসন্ধান করে দেখছে, কেন পিতা ও পুত্র বন্ডাই বিচে হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে ফিলিপাইন গিয়েছিলেন। দেশটির ইমিগ্রেশন ব্যুরো বিবিসিকে বলেছে, বাবা ও ছেলে পহেলা নভেম্বর সেখানে পৌঁছান এবং ২৮ নভেম্বর সেই দেশ ত্যাগ করেন।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে তার ছেলে ব্যবহার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিচিতি।নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বা এবিসি বলেছে, ‘সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ’ নেওয়ার জন্য ওই দুইজন দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন। তবে এই রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেননি কর্মকর্তারা। চরমপন্থী গোষ্ঠী আইএস ২০১৫ সালে প্যারিস হামলাসহ ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, নাভিদ আকরাম ‘অন্যদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার ভিত্তিতে ২০১৯ সালে প্রথম কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিলেন। তবে সেই কোনো হুমকি বা সহিংসতায় তার জড়িত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এদিকে গত রবিবারের ওই গুলির ঘটনায় নিহতদের প্রথম শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে আর আহত ২১ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।সূত্র : বিবিসিভোরের আকাশ/মো.আ.