ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫১ এএম
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শীর্ষ নেতারা আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকে মিলিত হবেন। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য দেবে বিএনপি। এ বৈঠকে সরকারের মনোভাব বুঝে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কর্মসূচির চিন্তাও রয়েছে দলটির।
সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বেশ আগে থেকেই চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে আসছেন। তবে, তিনি নির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করছেন না। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টারা নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করে বিএনপি। পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেরি হলে দেশে নানা অস্থিরতা তৈরি হবে বলেও দলটি আশঙ্কা করছে। যেকারণে বিএনপি সরকারের কাছ থেকে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চায়।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চেয়েছিলো বলে জানিয়েছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেছিলেন, বিএনপি সংস্কার চায়। পাশাপাশি নির্বাচনও চায়। কারণ, প্রকৃত অর্থে একটি সংস্কার করতে হলে অবশ্যই নির্বাচিত সংসদের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত সংসদ না হলে অনেক কিছুই সংস্কার করা সম্ভব নয়।
নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য এতদিন ধরে আমরা সরকারের কাছে যে আহ্বান জানিয়ে আসছি, ঈদের পর তা আরেকবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। তিনি কী পদক্ষেপ নেন এবং কী ঘোষণা দেন, তার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করব আমরা। এরপরও প্রত্যাশিত ঘোষণা না এলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরব। তারপরও কাজ না হলে আমরা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে কাছে যাবো।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা সরকারের পতনকে নিজেদের দীর্ঘ আন্দোলনের একটি পরিণতি বা সমাপ্তির অধ্যায় বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন তাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের শেষটা নামিয়েছে ছাত্র-জনতা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও গণতান্ত্রিক লড়াই শেষ হয়নি বলে মনে করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততম সময়ে মৌলিক সংস্কারের পর একটি নির্বাচনে দেবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলে সেটিই হবে গণতান্ত্রিক সরকার। যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সুফল পাবেন দেশের মানুষ।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন, গণতন্ত্রের জন্যই বিএনপিসহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক প্রায় দেড় দশক ধরে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর এখন একটি নির্বাচিত সরকার সবার চাওয়া। কারণ, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের কাছে প্রকৃত দায়বদ্ধতা থাকে না। দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা। এছাড়া একটি পক্ষ নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও দলটির অভিযোগ।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৭ মাস পূর্ণ হতে চললেও সরকার সংস্কার কাজ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। সরকার বারবার বলার চেষ্টা করছে, ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া এখনই ভোট দিলে ফের আরেক স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে পারে। এমন বক্তব্যের পাশাপাশি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্র নেতাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনও ভালোভাবে নেয়নি বিএনপি। কারণ, শুরুতেই এসব ছাত্র নেতারা নির্বাচনকে অগ্রাহ্য করে সংস্কারকে জোর দিয়েছেন।
জানা গেছে, এবারের রমজানে বিএনপির বেশিরভাগ ইফতার পার্টিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ন্যূনতম সংস্কার শেষে একটি জাতীয় নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ে প্রয়োজনে কর্মসূচির ঘোষণার কথাও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন তারা। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতারা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঐকমত্য গঠনে কাজ শুরু করেছেন। ঈদের আগে থেকেই মিত্রদের সঙ্গে দলটি কথাবার্তা বলা শুরু করেছেন।
এছাড়া গত ৩০ মার্চ গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলে মনে করে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রয়োজনে নির্বাচন আদায়ে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি যেকোনো কর্মসূচি পালন করবে।
জানা গেছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পাশে থাকা সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কথা বলবে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার পর সরকারের মনোভাব বুঝে পরবর্তীতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে যেতে চায় বিএনপি।
এদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩ দিন আগে
আপডেট : ২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শীর্ষ নেতারা আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকে মিলিত হবেন। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য দেবে বিএনপি। এ বৈঠকে সরকারের মনোভাব বুঝে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কর্মসূচির চিন্তাও রয়েছে দলটির।
সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বেশ আগে থেকেই চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে আসছেন। তবে, তিনি নির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করছেন না। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টারা নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করে বিএনপি। পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেরি হলে দেশে নানা অস্থিরতা তৈরি হবে বলেও দলটি আশঙ্কা করছে। যেকারণে বিএনপি সরকারের কাছ থেকে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চায়।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চেয়েছিলো বলে জানিয়েছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেছিলেন, বিএনপি সংস্কার চায়। পাশাপাশি নির্বাচনও চায়। কারণ, প্রকৃত অর্থে একটি সংস্কার করতে হলে অবশ্যই নির্বাচিত সংসদের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত সংসদ না হলে অনেক কিছুই সংস্কার করা সম্ভব নয়।
নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য এতদিন ধরে আমরা সরকারের কাছে যে আহ্বান জানিয়ে আসছি, ঈদের পর তা আরেকবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। তিনি কী পদক্ষেপ নেন এবং কী ঘোষণা দেন, তার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করব আমরা। এরপরও প্রত্যাশিত ঘোষণা না এলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরব। তারপরও কাজ না হলে আমরা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে কাছে যাবো।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা সরকারের পতনকে নিজেদের দীর্ঘ আন্দোলনের একটি পরিণতি বা সমাপ্তির অধ্যায় বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন তাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের শেষটা নামিয়েছে ছাত্র-জনতা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও গণতান্ত্রিক লড়াই শেষ হয়নি বলে মনে করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততম সময়ে মৌলিক সংস্কারের পর একটি নির্বাচনে দেবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলে সেটিই হবে গণতান্ত্রিক সরকার। যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সুফল পাবেন দেশের মানুষ।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন, গণতন্ত্রের জন্যই বিএনপিসহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক প্রায় দেড় দশক ধরে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর এখন একটি নির্বাচিত সরকার সবার চাওয়া। কারণ, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের কাছে প্রকৃত দায়বদ্ধতা থাকে না। দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা। এছাড়া একটি পক্ষ নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও দলটির অভিযোগ।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৭ মাস পূর্ণ হতে চললেও সরকার সংস্কার কাজ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। সরকার বারবার বলার চেষ্টা করছে, ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া এখনই ভোট দিলে ফের আরেক স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে পারে। এমন বক্তব্যের পাশাপাশি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্র নেতাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনও ভালোভাবে নেয়নি বিএনপি। কারণ, শুরুতেই এসব ছাত্র নেতারা নির্বাচনকে অগ্রাহ্য করে সংস্কারকে জোর দিয়েছেন।
জানা গেছে, এবারের রমজানে বিএনপির বেশিরভাগ ইফতার পার্টিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ন্যূনতম সংস্কার শেষে একটি জাতীয় নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ে প্রয়োজনে কর্মসূচির ঘোষণার কথাও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন তারা। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতারা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঐকমত্য গঠনে কাজ শুরু করেছেন। ঈদের আগে থেকেই মিত্রদের সঙ্গে দলটি কথাবার্তা বলা শুরু করেছেন।
এছাড়া গত ৩০ মার্চ গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলে মনে করে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রয়োজনে নির্বাচন আদায়ে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি যেকোনো কর্মসূচি পালন করবে।
জানা গেছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পাশে থাকা সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কথা বলবে বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার পর সরকারের মনোভাব বুঝে পরবর্তীতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে যেতে চায় বিএনপি।
এদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ